স্থগিত আট ম্যাচের ভাগ্য নিয়ে সন্দিহান বিসিবি

ছবি: ছবি- ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
চলতি বছর দশটি টেস্ট খেলার কথা ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে মাত্র দুটি টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছে তারা। আর বাকি আটটি ম্যাচ পরিস্থিতি বিবেচনায় স্থগিত করা হয়েছে।
আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের আওতাধীন এই ম্যাচগুলো আদৌ আয়োজন করা সম্ভব হবে কিনা সেটি নিয়ে সন্দিহান বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সময়সীমা বৃদ্ধি করা না হলে স্থগিত আটটি টেস্ট প্রথম চক্রে খেলার উপায় নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।

ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে আকরাম খান বলেন, 'বর্তমান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সময়সীমা যদি বাড়ানো না হয় তাহলে সেই আটটি টেস্ট ম্যাচ প্রথম চক্রে খেলার কোনো উপায় নেই। আমরা অপেক্ষা করছি আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ নিয়ে কি করে সেটা দেখার জন্য। কারণ এর সূচিতে রদবদল না আনা হলে সেই স্থগিত হওয়া আটটি টেস্ট ম্যাচ খেলার সম্ভাবনা খুব কম।'
আকরাম খানের মতো একই কথা বলেছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী। পূর্বের সূচি অনুযায়ী আগামী জুনে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। সেক্ষেত্রে টুর্নামেন্টের সূচিতে পরিবর্তন না আনলে কপাল পুড়বে বাংলাদেশের বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন নিজামউদ্দিন।
তিনি বলেন, 'যদি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল ম্যাচটি পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী মাঠে গড়ায়, যেটি কিনা হওয়ার কথা আগামী জুনে তাহলে এই আটটি টেস্ট হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম। কারণ আগামী জুনের মধ্যে আমাদের এই ম্যাচগুলো খেলার মতো খালি সময় নেই। তবে যদি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের তারিখ বাড়ানো হয় তাহলে হয়তো একটি সুযোগ থাকবে। কিন্তু সময় বৃদ্ধি করলেও অন্যান্য সূচিতে এর প্রভাব পড়বে কারণ ২০২৩ সালে আমাদের আঁটসাঁট ক্রিকেট সূচি রয়েছে।'
আইসিসি ইভেন্ট কিংবা টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সময়সীমা বৃদ্ধি করলে স্থগিত ম্যাচগুলো আয়োজন করা সম্ভব হবে বলে মন্তব্য করেন নিজামউদ্দিন। তবে এক্ষেত্রে সদস্যভুক্ত দেশগুলোরও যে সম্মতি প্রয়োজন সেটিও মানছেন বিসিবির এই উচ্চপদস্ত কর্মকর্তা।
নিজামউদ্দিন বলেন, 'এখন যদি কোনো আইসিসি ইভেন্ট না হয়, তাহলে সেই ম্যাচগুলো আয়োজন করার একটি সুযোগ থাকবে এই সময়ের মধ্যে, কিন্তু এটি নির্ভর করবে দ্বিপাক্ষিক সম্মতির উপরে। তার মানে এটা সম্ভব হবে শুধুমাত্র যদি আমাদের সদস্যভুক্ত দেশগুলো রাজি হয়। যদি আইসিসি ইভেন্ট কিংবা টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের তারিখ বাড়ানো হয় তাহলে হয়তো একটি সুযোগ থাকবে, তবে এই মুহূর্তে এর ভবিষ্যৎ নিয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না।'