মানুষের সমালোচনাকেও সম্মান দিচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ

ছবি: ছবি- ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
মাশরাফি, তামিম, সাকিব, মুশফিক এবং মাহমুদউল্লাহ- এই পাঁচজনকে বাংলাদেশের ক্রিকেটে বলা হয় পঞ্চপান্ডব। তবে শেষের জন অর্থাৎ মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে এখন পর্যন্ত কম সমালোচনা হয়নি। বাকি চার জনের সঙ্গে পারফরম্যান্সের বিচারে কিছুটা পিছিয়েই আছেন মাহমুদউল্লাহ। ১৮৮টি ওয়ানডে খেলে ফেললেও ব্যাট হাতে এখনও পাঁচ হাজার রান পূর্ণ করতে পারেননি তিনি।
সমালোচকদের কটূক্তি তাই কম শুনতে হয়নি তাঁকে। এমনকি অনেকে প্রশ্ন তুলেছিলেন পঞ্চপান্ডবের একজন হিসেবে তাঁকে মনোনীত করা নিয়েও। বৃহস্পতিবার (২১ মে) ক্রিকফ্রেঞ্জির লকডাউন লাইভ সেশনে এসব ব্যাপার নিয়েই মাহমুদউল্লাহকে প্রশ্ন করেন অনুষ্ঠান সঞ্চালক কাজী সাবির। জানতে চান সমালোচনার ইস্যু কিভাবে দেখেন মাহমুদউল্লাহ। জবাবে ৩৪ বছর বয়সী অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার জানিয়েছেন বিষয়গুলো নিয়ে একেবারেই ভাবেন না তিনি। বরং মানুষের ভাবনাগুলোকে সম্মান দিয়ে সামনে এগোতে চান।

মাহমুদউল্লাহ বলেছেন, 'প্রথমত আমি খুব একটা মিডিয়া কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া ফলো করি না। দ্বিতীয়ত হলো আমার কানে কিংবা চোখে যদি এসব আসে আমি তেমন একটা গুরুত্ব দেই না। আমি আমার কাজটি নিয়েই সবসময় চিন্তা করি। কে কি বলছে সেটা নিয়ে ভাবি না। কারণ সাধারণ মানুষ অনেক সময় অনেক কথা বলতে পারে, সেটা আবেগ থেকে হতে পারে বা ওনাদের ভালো লাগা থেকে বলতে পারে। এটা তাদের নিজস্ব মতামত। সেটা আমার মনে হয় সবসময় সম্মান করা উচিত এবং করতে হবে। ওনাদের ভালোবাসার কারণে বাংলাদেশের ক্রিকেট এতদূর এগিয়েছে। এই জিনিসগুলো নিয়ে মন খারাপ করে বসে থেকে তো লাভ নেই। আমি যদি আমার কাজটি দিন শেষে ভালোমতো না করতে পারি তাহলে সেই আত্মতৃপ্তি আমি পাবো না।'
ক্রিকেট নিয়েই সর্বদা ভাবেন মাহমুদউল্লাহ। খেলাটি যেন রক্তে মিশে গেছে তাঁর। তাই সারাদিন এর পেছনেই সময় দেন তিনি। মাহমুদউল্লাহর ভাষায়, 'আমি সারাদিন কষ্ট করছি, সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কষ্ট করছি। আমার ব্যাটিং, বোলিং কিংবা শারীরিক ফিটনেস হোক, পরিবার থেকে দূরে থাকছি দিনের পর দিন। তাই দিন শেষে আমার কাজটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমি খেলাটিকে ভালোবাসি। ক্রিকেট এখন আমার রক্তের ভেতরে আছে। সারাদিন আমি এটার পেছনে কষ্ট করি। এটা আমার জীবিকার উৎস। আমি যদি এর পেছনে কাজ করতে থাকি তাহলে আজ হোক, কাল হোক এর ফলাফল পাবো।'
ব্যাটিংয়ে সাধারণত মিডল অর্ডার কিংবা লোয়ার মিডল অর্ডারে খেলতে নামেন মাহমুদউল্লাহ। সেকারণে রান করার সুযোগটিও কম থাকে তাঁর। এই বাস্তবতা তিনি তুলে ধরেছেন আবারো। বলেছেন, 'যখন ক্রিকেট বিশ্লেষণ করা হবে তখন আমার সুযোগ কাউন্ট করতে হবে। আমার ব্যাটিং অর্ডার দেখতে হবে, পরিস্থিতি বুঝতে হবে। এই বিষয়গুলো সবসময় বিবেচনায় থাকা উচিত। যেহেতু আমি মিডল অর্ডার কিংবা লোয়ার মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করি। যদিও এটা কোনও অজুহাত হতে পারে না। আমার মনে হয় আমার জায়গায় আমাকে আরো ধারাবাহিকতা দেখাতে হবে এবং আমি সেটাই সবসময় চেষ্টা করি।'