দাদার মৃত্যুকে পেছনে ফেলে শান্তর সেঞ্চুরি

ছবি: ছবি- সংগৃহীত

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ চলাকালীন নিজের বড় বোনের মৃত্যু হয় বাংলাদেশ যুব দলের অধিনায়ক আকবর আলীর। বোনের মৃত্যু শোক বুকে চেপে রেখে দেশকে বিশ্বকাপ জিতিয়ে ফেরেন এই তরুণ তুর্কি। শোককে শক্তিতে পরিণত করে মাঠে নামার আরেকটি নজীর রাখলেন আরেক তরুণ ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত।
বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) তৃতীয় রাউন্ডে দক্ষিণাঞ্চলের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন মধ্যাঞ্চলের হয়ে খেলতে নামা শান্ত। দিন শেষে ১২২ রানে অপরাজিত রয়েছেন তিনি। তাঁর এই ইনিংসের সুবাদে দক্ষিণাঞ্চলের চেয়ে ৩৩০ রানে এগিয়ে রয়েছে মধ্যাঞ্চল।

সেঞ্চুরি করার আগের রাতেই ইন্তেকাল করেন শান্তর দাদা। এরপরেও সবকিছু ভুলে মাঠে নামেন তিনি। ওয়ালটনের ম্যানেজার মিল্টন আহমেদ শান্তর দাদার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, 'আমি ওকে ক্যাপ্টেন বলে ডাকি। সকালে ম্যাচের আগে শান্তর মন খুব খারাপ মনে হচ্ছিল। চেহারা দেখে নিশ্চিত অনুমান করা যায় রাতে ঘুম হয়নি। জিজ্ঞাসা করলাম কি সমস্যা? গতকাল রাতে শান্তর দাদা মারা গিয়েছেন বলে জানালো। রাত সাড়ে নয়টায় সংবাদ শোনামাত্র শান্তর মনটা হুহু করে কেঁদে উঠেছিল।'
কক্সবাজার থেকে সরাসরি ঢাকার কোনো ফ্লাইট না থাকায় দাদার সঙ্গে শেষ দেখা করতে পারেননি শান্ত। তাই মনের দুঃখ মনে চেপেই ব্যাটিং করতে থাকেন তিনি। শান্তর এই লড়াকু মানসিকতায় মন্ত্রমুগ্ধ মিল্টন। তাঁর প্রত্যাশা ভবিষ্যতে জাতীয় দলের হয়েও নিজের সেরাটা দেবেন শান্ত।
ওয়ালটনের ম্যানেজার বলেন, 'রাতে কক্সবাজার টু ঢাকাগামী কোন ফ্লাইট থাকলে চলে যেত, সেখান থেকে ট্রেনে করে রাজশাহি। কিন্তু সন্ধ্যার পর কক্সবাজারে কোন ফ্লাইট আসা যাওয়া করেনা। অগত্যা মন খারাপ নিয়ে ব্যাটিং এ নামে সে। মন খারাপ নিয়ে সারাটা দিন দারুন ব্যাটিং করে গেলো। এমন মানসিকতা নিয়ে দলের প্রয়োজনের সময়ে এভাবে হাল ধরা খুব কঠিন। সেই কঠিন কাজটিই একা করে গেলো শান্ত। ভবিষ্যতে এভাবে জাতিয় দলকে সেরাটা দিয়ে যাবে এই প্রত্যাশা রইলো।'