বিজয়ের সুযোগ হাতছাড়া
ছবি: ছবিঃ ক্রিকফ্রেঞ্জি

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ
খেলাঘরঃ ১৯৫ অল আউট (৪৬.৫ ওভার)
অমিত ৩৬, মেনারিয়া ৩৫, আরিফুল হক ৪/২৪।
প্রাইম ব্যাংকঃ ৬৩/১ রান (১৪ ওভার)

রুবেল ২৩*, সুদীপ ০*
সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়াঃ ছোট পুঁজি তাড়া করতে নামা প্রাইম ব্যাংকের হয়ে বড় ইনিংস খেলতে পারলেন না অধিনায়ক বিজয়। উইকেটে জমে গিয়ে রবিউলের বাউন্সারে পুল শট খেলতে গিয়ে থার্ড ম্যাচ অঞ্চলে ক্যাচ আউট হন তিনি। এর আগে ২৩ রানে থাকা অবস্থায় ইরফানের বাউন্সারে একই ভঙ্গিতে পুল করতে গিয়ে শর্ট থার্ড ম্যানে ক্যাচ তোলেন তিনি। কিন্তু সেবার ফিল্ডারের ভুলে রক্ষা পান তিনি। কিন্তু এই যাত্রায় ব্যক্তিগত ৩৭ রানে মোসাদ্দেকের তালুবন্দী হন বিজয়। ১৪তম ওভারে দলীয় ৬৩ রানে আউট হন তিনি।
বিজয়ের ব্যাটে রানঃ ১৯৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে আনামুল হক বিজয় ও রুবেল মিয়ার ব্যাটে ভালো সূচনা পেয়েছে প্রাইম ব্যাংক। খেলাঘরের পেসার রবিউল হক, মোহাম্মদ ইরফান ও মাসুম খানরা নিয়ন্ত্রিত বোলিং করলেও পাওয়ারপ্লেতে শক্তি ভিত দাঁড় করিয়েছে বিজয় ও রুবেল। বিজয় তাঁর ব্যক্তিগত ২৩ রানের সময় ইনিংসের দশম ওভারে ইরফানের বাউন্সার পুল করতে গিয়ে ক্যাচ তুললেও শর্ট থার্ড ম্যান ফিল্ডার সুযোগ লুফে নিতে ব্যর্থ হন। জীবন পেয়ে পয়েন্ট বাউন্ডারিতে চার আদায় করে নেন বিজয়।
খেলাঘরের মামুলি স্কোরঃ মিডেল ওভারে দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে বসা খেলাঘরকে ঘুরে দাঁড়াতে দেয়নি প্রাইম ব্যাংক। নাজিমউদ্দিন ২৯ রান যোগ করে লড়াই করার ইঙ্গিত দিলেও আরিফুল ফিরতি স্পেলে বল করতে এসে নাজিমকে সাজঘরে পাঠান। মাসুম খান টুটুল ও রবিউল হক যথাক্রমে ১৭ ও ১৪ রান যোগ করে আউট হলে ৪৬.৫ ওভার ব্যাট করে ১৯৫ রান তুলতে সক্ষম হয় খেলাঘর। ৭.৫ ওভার বল করে প্রাইম ব্যাংকের সবচেয়ে সফল বোলার চার উইকেট শিকার করা আরিফুল। মাত্র ২৪ রান খরচা করেছেন তিনি। এছাড়া অলক কাপালি তিন উইকেট শিকার করেন। জয়ের জন্য প্রাইম ব্যাংকের দরকার ১৯৬ রান।
তিন ওভারে তিন উইকেটঃ অশোক ও অমিতের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়াতে পারত খেলাঘর। কিন্তু মিডেল ওভারে এসে দুই অভিজ্ঞ আব্দুর রাজ্জাক ও অলক কাপালির স্পিনে ধরাশায়ী হয় খেলাঘরের ব্যাটিং লাইন আপের দুই স্তম্ভ। দলীয় ১২৪ রানেই দুই ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে বসে দলটি। মেনারিয়া কাপালির বলে স্লগ সুইপ খেলতে গিয়ে ৩৫ রান যোগ করে ৩০তম ওভারে সরাসরি বোল্ড হন। ঠিক পরের ওভারে রাজ্জাকের ক্যাচ তোলেন ৩৬ রান করা অমিত মজুমদার। পরের ওভারে এসে ফের আঘাত হানেন অলক। মইনুল ইসলামকে ০ রানে আউট করে খেলাঘরের মিডেল অর্ডারে ধস নামায় প্রাইম ব্যাংক।
অমিত-অশোকের লড়াইঃ তিন উইকেট পতনের পর দলের হাল ধরেন অমিত মজুমদার ও বিদেশি রিক্রুট অশোক মেনারিয়া। জুটি বেঁধে দলের স্কোর বাড়াতে থাকেন এই জুটি। অমিত মজুমদার দেখেশুনে খেললেও মেনারিয়া আগ্রাসী ব্যাটিং করেন।
পেসারদের দাপটঃ গতকালের আবাহনী-বিকেএসপি ম্যাচের মতই প্রথম সকালে পেসাররা বাড়তি সুবিধা পেয়ে থাকে। প্রাইম ব্যাংকের দুই পেসার আল আমিন হোসেন ও মোহর শেখ দারুণ বোলিং করেছেন। ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই ওপেনার মাহিদুল ইসলাম আখনকে ব্যক্তিগত ৪ রানে উইকেটকিপার বিজয়ের তালুবন্ধি করেন আলি আমিন। উইকেট হারালেও রবিউল ইসলাম রবি ও তিন নম্বরে নামা অমিত মজুমদার পাওয়ারপ্লেতে সতর্ক ব্যাটিং করে ৪৬ রান তোলেন। কিন্তু নিজের প্রথম স্পেলে এসে দুর্দান্ত সূচনা করেন অলরাউন্ডার আরিফুল। ২৫ বলে ১৬ রান যোগ করা রবিউলকে ১১তম ওভারে কট বিহাইন্ডের ফাঁদে ফেলেন তিনি। একই ১৭তম ওভারে ফের আঘাত হানেন আরিফুল। সাজঘরে পাঠান উইকেটে জমে যাওয়া মোসাদ্দেক ইফতেখারকে। ভালো খেলে ১৯ রান যোগ করে আউট হন তিনি। দলীয় ৬৭ রানে ৩ উইকেট তুলে নিয়ে খেলাঘরকে বিপদে ফেলে প্রাইম ব্যাংক।
টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে প্রাইম ব্যাংকঃ মিরপুরে ঢাকা লীগের ম্যাচে খেলাঘরের বিপক্ষে টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়েছে প্রাইম ব্যাংক। ডিপিএল নিজেদের প্রথম ম্যাচে মিরপুরের উইকেটের সুবিধা নেয়ার লক্ষ্যে খেলাঘরকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় আনামুল হক বিজয়।