অধ্যবসায়ের ফলাফল পেয়েছেন আশরাফুল

ছবি: ছবিঃ সংগৃহীত

|| ক্রিকফ্রেঞ্জি করেসপন্ডেন্ট ||
বর্তমান সময়ে ক্রিকেটে সব থেকে বেশী গুরুত্ব দেয়া হয় ক্রিকেটারদের ফিটনেসকে। এমনকি এখন থেকে দেশের ঘরোয়া লীগে অংশ নিতে হলে ক্রিকেটারদেরকে ফিট থাকতে হবে।
এসব কিছু মাথায় রেখেই গেল আড়াই মাস ধরে নিজেকে ফিট করে তুলতে কঠোর পরিশ্রম করেছেন বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মাদ আশরাফুল। চেষ্টা করেছেন আপ্রান যেন নিজেকে আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেটারদের মত ফিট করে তুলতে পারেন।
চেষ্টা করার পর সেটার ফলও পেয়েছেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। পাচ বছরের নিষেধাজ্ঞা কেটে যাওয়ার পর এখন নিজেকে জাতীয় দলে দেখতে চান তিনি। কিন্তু তার আগে নিজেকে আসন্ন ঘরোয়া লীগে (এনসিএল) প্রমান করতে চান তিনি। সেই লক্ষ্যেই নিজেকে ফিট প্রমান করে তারপর মাঠে নামতে মরিয়া আশরাফুল। তার ভাষায়,

'আমি গত তিন মাস ধরেই প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, ন্যাশনাল লীগের জন্য। আমি প্রথম ম্যাচ থেকে পুরোপুরি ফিট থাকতে চেয়েছিলাম। চেয়েছিলাম আমার ফিটনেস লেভেলটা যেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মানের হয়। আমি ১৩ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছি, অধিনায়কত্বও করেছি।
তো আমি জানি যে আসলে কোন লেভেলে যেতে হয়। সেই জন্য মানসিকভাবে আপনাকে অনেক শক্তিশালী হতে হয়, শারীরিক ট্রেনিংও করতে হয়। এই বিপ টেস্টে ১১.৪ পাওয়া বা এর জন্য গত আড়াই মাস আমি ট্রেনিং করেছি। সেটা আমার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল।'
এদিকে আশরাফুল নিজেই জানিয়েছেন, কাজটা তার জন্য মোটেও সহজ ছিলনা। নিজেকে ফিট করে তুলতে বিসর্জন দিয়েছেন অনেক কিছু। ডায়েটের পাশাপাশি নিয়মিত ট্রেনিং করেছেন বলেও জানান তিনি। তিনি আরও বলেন,
'সত্যি কথা বলতে গেলে, গত আড়াই মাসে আমি একদম ভাতের পরিমান খুবই কম করে খেয়েছি, একদম খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছি বলতে পারেন। ডায়???ট তো অবশ্যই আছে। সাথে সাথে আমি ট্রেনিং করছি। শুধু ডায়েট করলেই হবে, এটা আমি মনে করি না।
ফিটনেস যদি কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে নিতে হয় তাহলে আমাকে সেই লেভেলে ট্রেনিং করতে হবে। জিম, রানিং এর সাথে আমি ভাতের পরিমান কমিয়ে এনেছি। সবজি বা অন্যান্য জিনিস খাচ্ছি, এটা সত্যি আমি খুবই খাদ্য রসিক মানুষ। আমি খাওয়া পছন্দ করি, কিন্তু এখন আসলে খাওয়াটা বন্ধ করে দিয়েছি।'