promotional_ad

এশিয়া কাপ ও বাংলাদেশের ইতিহাস

ছবিঃ- গেটি ইমেজ
promotional_ad

এশিয়া কাপে বাংলাদেশের পদচারণার শুরু ১৯৮৬ সালে। গাজি আশরাফ হোসেন লিপুর নেতৃত্বে সেবার তিন জাতির এশিয়া কাপে অংশ নেয় বাংলাদেশ। এর আগেও অবশ্য আরেকবার এশিয়া কাপ আয়োজিত হয়েছিল।


কিন্তু বাংলাদেশের যাত্রা শুরু ১৯৮৬ সালেই। পাকিস্তানের সঙ্গে রাজনৈতিক সম্পর্ক ভাল না থাকায় সেবারের আসর থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয় ভারত। ফলে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও স্বাগতিক শ্রীলংকাকে নিয়েই অনুষ্ঠিত হয় ৮৬'র এশিয়া কাপ।


তিন জাতির সেই সিরিজে চ্যাম্পিয়ন হয় স্বাগতিক শ্রীলংকা, আসরে দুই ম্যাচ খেলে একটিও জয় না পেয়ে বাদ পড়ে বাংলাদেশ। এর ঠিক দুই বছর পর (১৯৮৮) অনুষ্ঠিত হওয়া এশিয়া কাপে অংশ নেয় বাংলাদেশ।


আয়োজক দেশ হিসেবে ৮৮'র এশিয়া কাপে অভিষেক হয় বাংলাদেশের। পুনরায় ভারত সহ যুক্ত হওয়া সেই আসরেও তিনটি ম্যাচ খেলে জয়ের দেখা পায়নি লিপুর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। সেবারের শিরোপা জয়ী দল ছিল ভারত।


তবে একেবারেই খালি হাতে ফেরেনি বাংলাদেশ। ঢাকা-চট্টগ্রামের মানুষদের ক্রিকেটের প্রতি ভালবাসা প্রথমবারের মতো দেখেছে পুরো ক্রিকেট বিশ্ব! আয়োজক হিসেবে প্রশংসাও কুড়িয়েছে বাংলাদেশ।


এরপরের এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯০ সালে। তবে সেটা নিয়েও আছে নানান বিতর্ক। কেননা এশিয়ার চারটি দেশ বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলংকা ছাড়াও সেবার এই আসরে অংশ নিয়েছিলো অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড!


আসরের নামও ছিল অস্ট্রাল-এশিয়া কাপ। আরব আমিরাতের মাঠগুলোতে হওয়া সেই আসরে চ্যাম্পিয়ন হয় পাকিস্তান। সেবারও দুই ম্যাচ খেলে জয়ের দেখা পায়নি লিপু বাহিনী।


তবে সেই বছরের শেষের দিকে (১৯৯০ সালের ২৫ই ডিসেম্বর) আবারো অনুষ্ঠিত হয় এশিয়া কাপ। রাজনৈতিক কারণে ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত হওয়া সেই এশিয়া কাপে অংশ নেয়নি পাকিস্তান।


বাংলাদেশ ও শ্রীলংকাকে সঙ্গে নিয়ে সেই আসর খেলে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। সেই আসরেও জয়ের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। সেই দলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মিনহাজুল আবেদিন নান্নু।



promotional_ad

তবে দুটো ম্যাচেই হারের তিক্ত অভিজ্ঞতা ছিল তার। ১৯৯৫ সালের এশিয়া কাপেও একই চিত্র! শারজাহতেও তিন ম্যাচে হেরেছে বাংলাদেশ। ভারত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সেই আসরে বাংলাদেশের নেতৃত্বে ছিলেন আকরাম খান।


১৯৯৭ সালের এশিয়া কাপের আয়োজনের দায়িত্ব নেয় শ্রীলংকা; আসরে চ্যাম্পিয়নও হয় তারা। তবে আকরাম খানের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ তিন ম্যাচেই হেরেছে।


২০০০ সালে দ্বিতীয়বারের মতো এশিয়া কাপের আয়োজনের দায়ভার নেয় বাংলাদেশ। আমিনুল ইসলাম বুলবুলের অধীনে খেলে কাঙ্ক্ষিত জয় অধরাই থাকে বাংলাদেশের (তিন ম্যাচে)। আসরে চ্যাম্পিয়ন হয় পাকিস্তান।


এর চার বছর পরে (২০০৪ সালে) নিয়মিত চার দলের বাইরে হংকং ও আরব আমিরাতকে সঙ্গে নিয়ে শ্রীলংকার মাটিতে অনুষ্ঠিত হয় এশিয়া কাপ। ওই আসরেই ইতিহাসের সূচনা করে বাংলাদেশ।


আসরের প্রথম ম্যাচেই হংকংয়ের বিপক্ষে ১১৬ রানের বড় জয় তুলে নেয় হাবিবুল বাশারের বাংলাদেশ। যদিও আসরের বাকী দুই ম্যাচে (ভারত ও শ্রীলংকার বিপক্ষে) হারে তারা। প্রেমাদাসায় ফাইনাল ম্যাচে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় স্বাগতিক শ্রীলংকা।


ঠিক এই ছয়টি দলকে নিয়েই ২০০৮ সালে পাকিস্তানের মাটিতে অনুষ্ঠিত হয় জনপ্রিয় এই টুর্নামেন্ট। এবার অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুলের সেঞ্চুরিতে আরব আমিরাতের বিপক্ষে জয় পায় বাংলাদেশ। 


যদিও পাঁচ ম্যাচের চারটিতেই হেরেছিল টাইগাররা। এর দুই বছর পরে (২০১০ সালে) আবারো শ্রীলংকার মাটিতে এশিয়া কাপের আসর বসে। হংকং ও আরব আমিরাতকে বাদ দিয়ে আয়োজন করা সেই আসরে তিন ম্যাচ খেলেও জয় পায়নি সাকিব আল হাসানের অধীনে খেলা বাংলাদেশ।


আসরে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। বাংলাদেশের জন্য মনে রাখার মতো এশিয়া কাপের আসরটি ছিল ২০১২ সালে, নিজ দেশের মাটিতে। মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বে খেলতে নামা বাংলাদেশের চেহারাই ছিল ভিন্ন।


গ্রুপ পর্বের ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে হারলেও ভারত ও শ্রীলংকাকে হারিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলে বাংলাদেশ। যদিও ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে মাত্র দুই রানের ব্যবধানে হেরে যায় তারা।



বাংলাদেশের ক্রিকেটের ইতিহাসে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের সেই দিনটিকে এখনো সম্মানের সাথে মনে করা হয়, ব্যর্থতার কালচিত্র অঙ্কন করেও 'সফল' হয়েছিল বাংলাদেশ।


কেননা প্রথমবারের মতো ফাইনাল খেলার 'স্বাদ' পেয়েছিল টাইগাররা। ২০১৪ সালেও নিজেদের মাঠে এশিয়া কাপ খেলে বাংলাদেশ। আসরে চারটি ম্যাচ খেলে একটি জয়ের দেখাও পায়নি তারা।


এমনকি আসরের নবাগত দল আফগানিস্তানের বিপক্ষেও হার মানতে হয়েছে মুশফিকুর বাহিনীকে। এরপরের আসরের আগে নতুন নিয়মের আওতায় আসে এশিয়া কাপ।


শুরু থেকেই ৫০ ওভারের ওয়ানডে ম্যাচ করা হতো এশিয়া কাপের খেলায়। এবার নিয়ম করা করা হয়, ঠিক পরের বিশ্বকাপটি যে ফরম্যাটে হবে (ওয়ানডে/টি-টুয়েন্টি), সেই ফরম্যাটেই খেলা হবে এশিয়া কাপের ম্যাচ।


সেই সুবাদে ২০১৬ সালের এশিয়া কাপটি হয় টি-টুয়েন্টি ফরম্যাটে। বাংলাদেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত হওয়া সেই আসরে ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকার পাশাপাশি যোগ দেয় আরব আমিরাত। 


মাশরাফি বিন মর্তুজার অধীনে খেলা বাংলাদেশ তাক লাগিয়ে দিয়েছিল। আরব আমিরাত, পাকিস্তান ও শ্রীলংকাকে হারিয়ে সেই আসরেও ফাইনাল খেলে বাংলাদেশ।


তবে বৃষ্টি বিঘ্নিত ফাইনালে শিরোপা হাতে নিতে পারেনি বাংলাদেশ। ফাইনালে ভারতের কাছে আট উইকেটে হেরে যায় টাইগাররা। ২০১৮ সালের ১৫ই সেপ্টেম্বরে আবারো এশিয়া কাপে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ।


যেহেতু সামনে ওয়ানডে বিশ্বকাপ, তাই ওয়ানডে ফরম্যাটেই হচ্ছে এবারের আসর। আসরটি বসবে আরব আমিরাতে। গ্রুপ পর্বে আফগানিস্তান ও শ্রীলংকার বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ।



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball