এশিয়া কাপে খেলবেন তো সাকিব?

ছবি: সাকিব আল হাসান। ক্রিকফ্রেঞ্জি

দেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজে আঙ্গুলের ইনজুরিতে পড়েছিলেন টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এরপর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে অনুপস্থিত ছিলেন তিনি।
তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে শেষে আবারও দুঃসংবাদ শুনতে হয়েছে সাকিবকে। জানা গেছে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে খেলতে গিয়ে পুরনো ইনজুরি আবারও মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে সাকিবের।
আর সেই কারণে তাঁর আঙ্গুলের অপারেশন প্রয়োজন হবে আবারও বলে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী। সাকিব বেশ কয়েকবার এই বিষয়টি চিকিৎসকদের জানিয়েছিলেন বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। দেবাশীষ বলেন,
'সাকিবের বাঁহাতের লিটল ফিঙ্গারে একটা ডিসলোকেশন ছিল। জয়েন্ট ডিসলোকেশন যেটিকে বলে। সে মূলত ব্যাটিংয়ে সমস্যা অনুভব করছে। সে ব্যাটিংয়ে শতভাগ দিতে পারছে না। এটা নিয়ে বেশ কয়েকবার আমাদের জানিয়েছে। এই জন্য ওকে একজন হ্যান্ড সার্জনের কাছে পাঠানো হয়েছিল, অস্ট্রেলিয়াতে।'

দেবাশীষের কাছ থেকে আরও জানা গেছে অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার পর সাকিবকে একটি ব্যাথানাশক ইনজেকশন দেয়া হয়েছিলো। যার ফলে তাঁর ব্যাথা কমে আসায় উইন্ডিজ সফরে খেলেন তিনি। বিসিবির এই চিকিৎসকের ভাষায়,
'অস্ট্রেলিয়াতে ডাক্তার ডেভিডের তত্ত্বাবধানে ওকে একটা ইঞ্জেকশন দেয়া হয়। এরপর প্রদাহটা কিছুটা কমে আসে। ফলে গত কয়েক মাস সে মোটামোটি পেইন ফ্রি ভাবেই খেলতে পেরেছে। যদিও কিছু সমস্যা থেকেই গেছে। হ্যান্ড সার্জনের কথা মত শর্ট টার্ম ম্যানেজমেন্টের জন্য ইনজেকশনটা দেয়া হচ্ছে। কিন্তু লং টার্মে এটা খুব একটা কাজ করবে না।'
বাংলাদেশ দল ফ্লোরিডাতে যাওয়ার পর সেখানেও আরেকটি ইনজেকশন দেয়া হয়েছিলো সাকিবকে। কেননা অপারেশন করলে অন্তত দুই মাস মাঠের বাইরে কাটাতে হতো সাকিবকে। ফলে সফরের মাঝামাঝি সময়েই হয়তো তাঁকে ফিরতে হতো দেশে। দেবাশীষ বলেন,
'দল ফ্লোরিডা যাওয়ার পর সেখানকার ডাক্তার একটি ইনজেকশন দিয়েছেন। সেখানকার ডাক্তারও বলেছে এমন ম্যানেজমেন্ট খুবই শর্ট টার্মের জন্য কাজে লাগবে। এই জন্য টিম ফেরার পর সাকিব, ম্যানেজমেন্ট ও আমরা সবাই মিলে বসে একটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কারন এই অপারেশন হলে প্রায় দেড়-দুইমাস রিহ্যাবের জন্য দরকার পড়বে।'
তবে সাকিবের অপারেশন ঠিক কবে হবে সেটি নিশ্চিত করেননি ডাক্তার দেবাশীষ। এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে সাকিব এবং টিম ম্যানেজমেন্টের সাথে আলোচনা করার পরেই। অবশ্য দেশে ফিরে আসার পর ইনজেকশন দিয়েও অনুশীলন চালিয়ে যেতে পারবেন সাকিব জানিয়ে দেবাশীষের ভাষ্য,
'সাকিব ও ম্যানেজমেন্টের সাথে আলাপ করেই অপারেশনের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আপাতত এই ইনজেকশনের পর ব্যথা অনেকটাই কমে এসেছে। ফিরে আসার পর এশিয়া কাপের অনুশীলন যখন শুরু হবে, তখন যদি সে মানিয়ে নিতে পারে তাহলে হয়তো এভাবেই আমরা চালিয়ে যাবো। আর অনুশীলনের সময় যদি ওর সমস্যা বেড়ে যায় তাহলে হয়তো আমাদের চিন্তা করতে হবে, ওর পরবর্তী ম্যানেজমেন্টের ব্যাপারে।'