|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
অ্যান্টিগা টেস্টে ব্যাট হাতে আবারও ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশের টপ অর্ডারের ব্যাটাররা। মাহমুদুল হাসান জয়, শাহাদাত হোসেন দিপুরা নিজেদের একেবারেই মেলে ধরতে পারেননি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে টপ অর্ডারের ব্যাটে রান চান জাকের আলী।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের করা ৪৫০ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে ২৬৯ রান করে বাংলাদেশ। দলটির হয়ে মুমিনুল হক করেন ৫০ রান, লিটনের ব্যাটে আসে ৪০ রান । নিচের দিকে নামা জাকের করেন ৫৩ রান।
এরপর তাসকিন আহমেদের অনবদ্য বোলিংয়ে ক্যারিবিয়ানদের ১৫২ রানে থামালেও চতুর্থ ইনিংসে সফল হতে পারেনি বাংলাদেশ। চতুর্থ ইনিংসে টাইগাররা অলআউট হয় ১৩২ রানে। এই ইনিংসে মেহেদী হাসান মিরাজ করেন ৪৫ রান।
আলজারি জোসেফে বলে লেগ বিফোর উইকেটের শিকার হওয়ার আগে জাকেরের ব্যাটে আসে ৩১ রান। ম্যাচ শেষে বিসিবির প্রকাশিত ভিডিওতে টপ অর্ডারের রান না পাওয়ায় আফসোস করেন জাকের।
তিনি বলেন, ‘নতুন বল আমরা ব্যাটিং ইউনিট ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারছি না। আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি। আমার আশা থাকবে পরের ম্যাচে টপ অর্ডার থেকে কেউ বড় স্কোর করবে।’
নিজের ইনিংস নিয়ে তার মূল্যায়ন, ‘প্রথমে আমার পরিকল্পনা ছিল যত বেশি সময় সম্ভব উইকেটে টিকে থাকা। এই প্ল্যান নিয়েই ব্যাটিং করছিলাম। ওয়ান বাই ওয়ান বল খেলার দিকে মনোযোগ ছিল, নিজের মনোযোগ ধরে রাখার চেষ্টা ছিল। কারণ এখানে অনেক সুইং থাকে, বাউন্স থাকে। আমার চেষ্টাই ছিল যত বেশি বল খেলা যায়, মানিয়ে নেওয়া যায়।’
প্রথম ইনিংসে এক পর্যায়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বেশ ভালোভাবেই চেপে ধরেছিল বাংলাদেশ। ৭ উইকেটে ২৬১ রানে থাকা দলটিকে দারুণ এক জুটি গড়ে চারশ পার করান জাস্টিন গ্রেভস ও কেমার রোচ। রোচের ৪৭ এবং গ্রেভসের অপরাজিত ১১৫ রানের ইনিংসে ৪৫০'তে পৌঁছায় ক্যারিবিয়ানরা।
ব্যাটিং ব্যর্থতার পাশাপাশি এই জুটির কাছে ম্যাচ হারার কথা স্বীকার করলেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মিরাজও, 'আমার মনে হয়, আমরা ভালো বোলিং করেছি। তাসকিন ৬ উইকেট নিয়েছে। তবে সাত উইকেট পড়ার পর ওরা ভালো একটি জুটি গড়ে, ১৪০ রানের জুটি। আমার মনে হয়, ম্যাচ ওখানেই বেরিয়ে গেছে।'
'সত্যি বলতে, এই ম্যাচে আমরা ভালো ব্যাটিং করতে পারিনি। কিছু ভুল আমরা করেছি। এরকম হতে পারে ক্রিকেটে।'