|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
সুপার ওভারের রোমাঞ্চকর ম্যাচে হ্যাম্পশায়ার হকসের বিপক্ষে হারের মুখ দেখলো রংপুর রাইডার্স। গ্লোবার সুপার লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা দলটি মুখোমুখি হয়েছিল ইংল্যান্ডের প্রথম শ্রেনীর কাউন্টি দলটির বিপক্ষে। আর সেই ম্যাচে একেবারে তীরে এসে তরী ডুবল রংপুরের। বৃথা যায় জ্যাক চ্যাপেলের ফাইফার। পরাজয় দিয়েই নিজেদের যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের (বিপিএল) দলটি।
১৩৩ রান লক্ষ্যের ম্যাচ ড্র হলে সুপার ওভারে শুরুতে ব্যাটিং করতে নামেন রংপুরের দুই ব্যাটার খুশদিল শাহ এবং স্টিভ টেইলর। ক্রিস উডের বলে খুশদিলের ছক্কায় রাউডার্সদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১২ রান। ১৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে হ্যাম্পশায়ারের ব্যাটার জেমস ফুলার প্রথম বলেই হাকান ছক্কা। পরের বলে উইকেট হারালেও পঞ্চম বলে আরেক ব্যাটার লিয়াম ডওসন ছক্কা হাকালে নিশ্চিত হয় নুরুল হাসান সোহানের দলের পরাজয়।
সুপার ওভারে যাওয়ার আগে ১২০ বলে মাত্র ১৩৩ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে বেশ ভালো শুরু করে রংপুরের দুই ওপেনার টেইলর এবং সৌম্য সরকার। দুজনে মিলে গড়েন ৪৬ রানের ওপেনিং জুটি। পঞ্চম ওভারে ১২ বলে ২০ রান করে আউট হন টেইলর। পরের ওভারেই টানা দুই বলে দুই উইকেট হারায় রংপুর।
তিনটি চার আর একটি ছক্কায় ২০ বলে ২৭ রান করে সৌম্য আউট হওয়ার পরের বলেই আউট হন আরেক ব্যাটার আফিফ হোসেন ধ্রুব। রিভিউ নিলেও সেটি আফিফকে গোল্ডেন ডাক থেকে বাঁচাতে পারেনি। পাওয়ার প্লে'র ছয় ওভার শেষে রংপুর রাইডার্সের সংগ্রহ দাঁড়ায় তিন উইকেট হারিয়ে ৫৭ রান।
পরবর্তীতে ইতালির ব্যাটার ওয়েন ম্যাডসেন এবং রংপুর অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান চেষ্টা করেন উইকেটে থিতু হতে। তবে কমতে থাকে তাদের রানের গতি। ১৩তম ওভারে অধিনায়ককে হারায় বিপিএলের দলটি। সোহান সাজঘরে ফেরেন ২৩ বলে ২৪ রান করে।
সোহানের বিদায়ের পর খুশদিল শাহ এসে দায়িত্ব নেন দলকে রানে ফেরানোর। ১৫তম ওভারে দুই চার হাকিয়ে জমতে থাকা চাপ অনেকটাই দূর করেন এই পাক মিডল অর্ডার ব্যাটার। তবে নিজেদের মাঝে ভুল বোঝাবোঝিতে রান আউট হন খুশদিল। ২০ বলে ২৫ রান করে ফেরেন প্যাভিলিয়নে।
পরের ওভারে ম্যাডসেন রান আউটের শিকার হয়ে ফিরলে আবারও চাপে পরে গ্লোবাল সুপার লিগে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা দলটি। ২৫ বলে ১৭ রান কিংবা ১২ বলে ১০ রানের লক্ষ্যও মনে হচ্ছিলো কঠিন। ৯ বলে তিন রান করে মেহেদী আউট হলে রংপুরের লক্ষ্য দাড়ায় শেষ ওভারে ৭ রানের। শেষবলে যখন ৩ রান দরকার, তখন রিশাদের ব্যাট থেকে আসে ২ রান। খেলা গড়ায় সুপার ওভারে।
এর আগে প্রথম ইনিংসে হ্যাম্পশায়ার হকসের ইনিংস থামে মাত্র ১৩২ রানে। আর এতো কম রানে এই কাউন্টি ক্লাবকে আটকাতে বল হাতে সব থেকে বড় অবদান রাখেন ইংলিশ বোলার জ্যাক চ্যাপেল। চার ওভার বোলিং করে এই ডানহাতি পেসার একাই নেন পাঁচ উইকেট।
ইনিংসের চতুর্থ ওভারে দুই উইকেট নিয়ে শুরুর দিকেই থামিয়ে দেন তাদের রানের চাকা, বাকি তিনটি উইকেট আসে ইনিংসের শেষ ওভারে। আমেরিকার বোলিং অলরাউন্ডার হারমিত সিং সাজঘরে ফেরান দুই ব্যটারকে।
একটি করে উইকেট তুলে নেন বাংলাদেশি লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন এবং পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাউফউদ্দিন। চার ওভার করে বোলিং করে এই দুই বোলার খরচ করেন যথাক্রমে ২৩ এবং ২২ রান। হ্যাম্পশায়ারের পক্ষে সর্বোচ্চ রান আসে পাকিস্তানের টেস্ট অধিনায়ক শান মাসুদের ব্যাট থেকে। ৪১ বলে ৫৬ রান করেন এই পাক টপ অর্ডার ব্যাটার।