ভেন্যুকে দোষ দিতে নারাজ জ্যোতি, ‘অনেক প্রশ্ন’ নিয়ে ফিরছেন দেশে
ছবি:
|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের কারণে এবারের নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাংলাদেশ থেকে সরে গিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে হচ্ছে। সেখানে ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বে চারটি ম্যাচের মধ্যে তিনটিতে হেরে দেশে ফিরছে বাঘিনীরা। শেষ ম্যাচ হারের পর ভেন্যুর অজুহাত দিচ্ছেন না নিগার সুলতানা জ্যোতি। নারী দলের অধিনায়ক দেশে ফিরছেন 'অনেক প্রশ্ন' নিয়েই।
স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপে উড়ন্ত সূচনা পায় বাংলাদেশ। কিন্তু এরপর ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং সাউথ আফ্রিকাকে হারিয়ে স্বপ্ন ভঙ্গ হলো বাংলাদেশের। গত রাতের ম্যাচে সাউথ আফ্রিকাকে মাত্র ১০৬ রানের লক্ষ্য দিতে পেরেছেন জ্যোতিরা।
শুধু এই ম্যাচ নয়, প্রতি ম্যাচেই ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ। চার ম্যাচের একটিতেও দলের রান ১২০ স্পর্শ করেনি। এমনকি হাফ সেঞ্চুরির দেখাও পাননি কোনও ব্যাটার। সোবহানা মোস্তারি ও নিগার সুলতানা ছাড়া ব্যাট হাতে বলার মতো পারফরম্যান্স করেননি একজনও।
সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে সাত উইকেটে হেরে সংবাদ সম্মেলনে জ্যোতি বলেন, 'বাংলাদেশের সঙ্গে শারজাহর উইকেটের পার্থক্য খুব একটা ছিল না। স্পিন সহায়ক উইকেট ছিল। স্পিনাররা ভালো করেছে। ব্যাটাররা নিজেদের মেরে ধরতে পারেনি। ভেন্যু তাই কোনো কিছু নয়। দল হিসেবে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। ভেন্যুকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। এটা অজুহাত হবে।'
গত শনিবার পর্যন্ত আসরের সেরা চার রান স্কোরারের দুই জন ক্রিকেটারই ছিল বাংলাদেশের। চার ইনিংসে ৮৮.৭৪ স্ট্রাইক রেটে ১৩৪ রান করেন সোবহানা, আর ৮৬.৬৬ স্ট্রাইক রেটে ১০৪ রান করেন নিগার।
এ ছাড়া বর্ণহীন ছিল অন্যদের পারফরম্যান্স। চার ম্যাচ মিলিয়ে বাংলাদশ ছক্কা হাঁকায় মাত্র দুটি, চার মাত্র ৩০টি। এক-দুই রান নিতে না পারার দুর্বলতা তো ছিলই। সবকিছু মিলিয়ে অনেক প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে জ্যোতির মনে। সেসব নিয়েই দেশে ফিরছেন তিনি।
'সমস্যাটি খুবই দৃশ্যমান যে, ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আমরা ধুঁকছি। যদি পাওয়ার প্লেতে আমরা ভালো শুরু পাই, তাহলে মিডল অর্ডারে ধুঁকতে হয়। কখনও কখনও সেভাবে শেষ করতে পারি না, যেভাবে করা উচিত। অনেক প্রশ্ন নিয়েই তাই আমরা যাচ্ছি। সামনের পথচলায় প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতে হবে আমাদের।'
'বোলাররা ভালো করেছে, ব্যাটাররা রান করতে পারেনি। ইংল্যান্ড ১১৯ রান করেছে, আমরা সেটা তাড়া করতে পারিনি। এটা তো আমাদেরই ব্যর্থতা। এসব পর্যায়ে আসলে ক্রিকেটারদের মানসিক দিকটা আরও শক্তিশালী হওয়া উচিত। দল যথেষ্টই অভিজ্ঞ, বলব আমি। তবে এরকম টুর্নামেন্টে এসে যদি দলীয় প্রচেষ্টা না হয় বা কোনো পারফরম্যান্স না হয়, তাহলে সেটা ম্যাচ জেতার দিকে যায় না। দু-একটি ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স এত বড় পর্যায়ে এসে ম্যাচ জেতায় না।'