শান্তর কণ্ঠে আবারও পরিকল্পনা বাস্তবায়ন না করতে পারার আক্ষেপ
ছবি:
|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
সিরিজের তৃতীয় এবং শেষ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে রীতিমতো উড়িয়ে দিলো ভারত। ম্যাচ হেরে আবারও পরিকল্পনা কাজে না লাগাতে পারার কথা জানিয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। বাংলাদেশ অধিনায়ক ঘরের মাঠে উইকেট পরিবর্তনের তাগিদ দিয়েছেন।
এই ম্যাচে বাংলাদেশের বোলারদের রীতিমতো কচুকাটা করল ভারত। হায়দরাবাদে রেকর্ড ২৯৭ রান সংগ্রহ করল স্বাগতিকরা। জবাবে ১৬৪ রানে থামল বাংলাদেশ। ১৩৩ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরে হোয়াইটওয়াশ হলো বাংলাদেশ।
৪৭ বলে ১১১ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন সাঞ্জু স্যামসন। ৩৫ বলে ৭৫ রানের আরেকটি ঝড়ো ইনিংস খেলেন সূর্যকুমার যাদব। এ ছাড়া রায়ান পরাগ ১৩ বলে ৩৪ এবং হার্দিক পান্ডিয়া ১৮ বলে ৪৭ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন।
সবমিলিয়ে বাংলাদেশের বোলারদের ওপর এদিন বাড়তি ঝড় যায়। এক ওভারে স্যামসনকে পাঁচটি ছক্কা দেন রিশাদ হোসেন। শেখ মেহেদী ছাড়া বাংলাদেশের সব বোলারের ইকোনমি রেট ছিল ১২.৭৫ এর উপরে। কেবল মেহেদীর ইকোনমি রেট ছিল কম, সেটাও ১১.২৫!
এমন হতশ্রী পারফরম্যান্সে হতাশ বাংলাদেশের অধিনায়ক শান্ত। এর আগের দুটি ম্যাচে বিশেষ কোনো সময়ে বোলাররা ভালো পারফর্ম করলেও এই ম্যাচে একেবারেই সুবিধা করতে পারেননি। শান্তও তাই আফসোস করলেন।
ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, 'আমরা আমাদের সেরা ক্রিকেট খেলিনি। ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আমরা আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করিনি। কয়েক ওভার আমরা কিছু ম্যাচে ভালো বল করেছি কিন্তু আজ আমরা ভালো বোলিং করতে পারিনি। ঘরের মাঠে আমাদের উইকেটে পরিবর্তন আনতে হবে।'
খেলোয়াড়দের দায়িত্ব নেয়ার কথাও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি, 'আমাদের নিজেদের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে যে আমরা যেকোনো দলের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারি। আর খেলোয়াড়দেরও দায়িত্ব নিতে হবে যদি উন্নতি করতে চাই।'
ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে ৪২ বলে ৬৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তাওহীদ হৃদয়। এ ছাড়া ২৫ বলে ৪২ রান করেন লিটন দাস। এ ছাড়া কেউই সেরকম কিছু করতে পারেননি। হৃদয়ের প্রশংসা করে শান্ত বলেন, 'হৃদয়ের ইনিংসটি দারুণ ছিল। আমাদের টপ অর্ডারকেও রানে ফিরতে হবে।'