ঘরের মাঠেই টেস্টকে বিদায় বলবেন সাকিব, চাওয়া ক্রীড়া উপদেষ্টার
ছবি:
|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুরে সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন সাকিব আল হাসান। এ কারণে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি ফারুক আহমেদের কাছে নিরাপত্তাও চেয়েছিলেন তিনি। যদিও তাকে শুধুমাত্র বিসিবির পক্ষ থেকে নিরাপত্তা দেয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছিলেন ফারুক। এবার যুব এবং ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া অবশ্য বলছেন ভিন্ন কথা। টেস্টে সাকিবকে ঘরের মাঠ থেকেই বিদায় দিতে চান তিনি।
সরকার পতনের পর সাকিবের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। কয়েকদিন আগে শেয়ার বাজারে কারসাজির কারণে তাকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
সাকিবকে ব্যক্তিগতভাবে জরিমানা করার সঙ্গে তারই প্রতিষ্ঠান মোনার্ক মার্টকে আরও ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়ে। মূলত প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির শেয়ার কারসাজিতে জড়িত বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে মোট এক কোটি ৬৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে সাউথ আফ্রিকা সিরিজে সাকিবের খেলাটা নির্ভর করছে তাকে নিরাপত্তা দেয়ার উপর।
এই বিষয়ে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘তিনি (সাকিব) এমন একজন খেলোয়াড়, যার দেশের জন্য অনেক অবদান রয়েছে। তিনি যেহেতু বাংলাদেশে নিজের শেষ টেস্ট খেলতে চান, আমি ব্যক্তিগতভাবে চাই সেই সুযোগ তিনি পান।’
‘আমাদের একজন খেলোয়াড়কে অবশ্যই আমরা সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেব। কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে, সেটা ভিন্ন বিষয়। সেই বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারি না, কারণ সেটা আইন মন্ত্রণালয়ের বিষয়। আমরা সাকিব আল হাসানের নিরাপত্তার কথা এরইমধ্যে বলেছি, সেটা আমরা নিশ্চিত করব।’
এর আগে সাকিবকে নিরাপত্তা দেয়া নিয়ে ফারুক আহমেদ বলেছিলেন, 'আমি কোনো এজেন্সি না, পুলিশ বা র্যাবও না। সরকারের তরফ থেকে নিরাপত্তার বিষয়টা আসতে হবে। এই মুহূর্তে বোর্ড থেকে এ সম্পর্কে কিছু বলা সম্ভব না। বোর্ড ব্যক্তিগতভাবে কাউকে নিরাপত্তা দিতে পারবে না আসলে। সাকিব যদি এখান থেকে শেষ টেস্ট খেলতে পারে, ওর মতো আমিও বিশ্বাস করি এর থেকে ভালো কিছু হতে পারে না।'
কয়েকদিন আগেই ভারত থেকে কানপুর টেস্ট উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হওয়া সংবাদ সম্মেলনে এসে টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেন সাকিব। এরপর সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্ট ম্যাচ শেষে অবসর নেয়ার কথা জানান তিনি। নামের পাশে বিভিন্ন ধরনের মামলা থাকায় বাংলাদেশের নিরাপত্তা নিয়ে বিসিবির কাছে নিজের মনোভাব প্রকাশ করেন তিনি।
সাকিব বলেছিলেন, 'যদি সুযোগ থাকে, আমি যদি দেশে যাই, খেলতে পারি, তাহলে মিরপুর টেস্ট হবে আমার জন্য শেষ। সেই কথাটা বোর্ডের সবার সঙ্গে বলা হয়েছে। তাঁরা চেষ্টা করছেন কীভাবে সুন্দরভাবে আয়োজন করা যায়। এভাবেই ফারুক ভাইয়ের সঙ্গে ও নির্বাচকদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। যদি সুযোগ থাকে, আমি যদি দেশে যাই, খেলতে পারি, তাহলে মিরপুর টেস্ট হবে আমার জন্য শেষ। সেই কথাটা বোর্ডের সবার সঙ্গে বলা হয়েছে। তাঁরা চেষ্টা করছেন কীভাবে সুন্দরভাবে আয়োজন করা যায়।'