ভারত - বাংলাদেশ সিরিজ

তামিলনাডুর টি-টোয়েন্টি লিগের ব্যাটিং কাজে লাগিয়ে অশ্বিনের এমন সেঞ্চুরি

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
প্রকাশের তারিখ: 19:23 বৃহস্পতিবার, 19 সেপ্টেম্বর, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

সাকিব আল হাসানকে মিড উইকেটের উপর দিয়ে ছক্কা মারলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। দিনের শেষ বেলায় ভারতের ব্যাটার ছক্কা মারলেন মেহেদী হাসান মিরাজের বলেও। ছক্কার সঙ্গে নাহিদ রানা, হাসান মাহমুদ, তাসকিন আহমেদের বিপক্ষে বাউন্ডারি মেরেছেন অনায়াসে। এমন ওয়ানডে মেজাজের ব্যাটিংয়ের পেছনে তামিলনাডু প্রিমিয়ারের লিগের (টিএনপিএল) অবদান দেখছেন অশ্বিন।

বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট খেলতে নামার আগে তামিলনাডু প্রিমিয়ার লিগে খেলেছেন অশ্বিন। দিন্দীগুল ড্রাগনসের হয়ে ১০ ম্যাচের ৯ ইনিংসে ব্যাটিং করে ২৫২ রান করেছিলেন তিনি। ভারতের এই প্রাদেশিক টুর্নামেন্টের পঞ্চম সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন ডানহাতি এই ব্যাটার। টিএনপিএলে খেলার সময় নিজের ব্যাটিং নিয়ে নিয়মিত কাজ করেছেন অশ্বিন। সাম্প্রতিক সময়ে টি-টোয়েন্টি লিগ খেলার ছাপ রেখেছেন বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টেস্টেও।

লোকেশ রাহুল যখন মিরাজের বলে সাজঘরে ফেরেন তখন ভারতের রান ৬ উইকেটে ১৪৪। এমন অবস্থায় রবীন্দ্র জাদেজাকে সঙ্গ দিতে ব্যাটিংয়ে আসেন অশ্বিন। ব্যাটিংয়ে নামার পর নাহিদের এক ওভারে তিনটি চার মেরেছেন তিনি। হাসান কিংবা সাকিব, কাউকেই ছাড় দেননি ডানহাতি এই ব্যাটার। দারুণ ব্যাটিংয়ে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি তুলে নেয়া অশ্বিন দিন শেষ করেছেন ১০২ রানে।

এমন ইনিংস খেলতে ১০টি চারের সঙ্গে দুটি ছক্কাও মেরেছেন। আক্রমণাত্বক ব্যাটিংয়ের রহস্য জানাতে গিয়ে অশ্বিন বলেন, ‘আমি মাত্রই টিএনপিএল খেলে এসেছি, এটা আমাকে অনেকটা সহায়তা করেছে। টুর্নামেন্ট চলাকালীন ব্যাটিং নিয়ে আমি কিছুটা কাজ করেছি। অবশ্যই, আমি অফ স্টাম্পের বাইরের বাতাস কাজে লাগিয়ে খেলতে পছন্দ করি। বেশ কিছু জায়গায় কাজ করেছি এবং উইকেটে একটু সুবিধাও আছে।’

লাল মাটির উইকেটের সঙ্গে খানিকটা ঘাস থাকায় পেসাররা বাড়তি সুবিধা পেয়েছেন। দিনের বেশিরভাগ সময়ই নাহিদ এবং হাসানের বোলিংয়ে বাড়তি বাউন্সও পরিলক্ষিত হয়েছে। বাংলাদেশের বোলারদের তুলোধুনো করে সেঞ্চুরি তুলে নেয়া অশ্বিন জানালেন, এটি চেন্নাইয়ের প্রথাগত উইকেট।

দিনের খেলা শেষে উইকেট নিয়ে অশ্বিন বলেন, ‘এটা অনেকটা চেন্নাইয়ের প্রথাগত উইকেটের মতো। যেখানে একটু বাউন্স আছে এবং এটি ক্যারিও করে। আপনি যদি লাইনে থাকেন তাহলে লাল মাটির উইকেট আপনাকে শটস খেলার সুযোগ দেবে। বল যখন একটু বাইরে থাকে তখন জোরে মারতে সহজ হয়।’

১৯৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ার পর জাদেজার ব্যাটিং নিয়ে অশ্বিন বলেন, ‘সে সবচেয়ে বেশি সহায়তা করেছে। একটা সময় আমি প্রচুর ঘামছিলাম এবং ক্লান্ত হয়ে পড়ছিলাম। জাদ্দু এটা দ্রুত খেয়াল করে এবং সেই সময়টা পেরিয়ে যেতে আমাকে গাইড করে। সবশেষ কয়েক বছরে আমাদের দলে জাদ্দু অন্যতম সেরা ব্যাটারদের একজন। আমরা দুই রানকে তিনে কনভার্ট করতে যাবো না। এটা বলেও আমাকে সহায়তা করছিল।’