কারস্টেন-গিলেস্পির সমর্থন পেলেন বাবর-মাসুদ
ছবি:
|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
কিছুদিন ধরেই পাকিস্তান দলের সীমিত ওভারের অধিনায়ক বাবর আজম ও টেস্ট অধিনায়ক শান মাসুদকে সরিয়ে দেয়ার জোর গুঞ্জন চলছে। তবে এই ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে চাইছেন না পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সভাপতি মহসিন নাকভি। এই সিদ্ধান্ত নেয়ার দায়ভার দলটির দুই হেড কোচ গ্যারি কারস্টেন এবং জেসন গিলেস্পির সিদ্ধান্তের ওপর ছেড়ে দিয়েছিলেন তিনি। জানা গেছে কারস্টেন-গিলেস্পির সিদ্ধান্তে টিকে গেছেন বাবর-মাসুদের দুজনই।
সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর হুট করেই তিন ফরম্যাটের অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন বাবর। তবে নাকভির অনুরোধে আবারও সীমিত ওভারের অধিনায়কত্ব ফেরেন বাবর। যদিও ব্যাট হাতে পারফর্ম করতে না পারায় সেই অধিনায়কত্ব আবারও চাপ হয়ে দাঁড়ায় তার জন্য।
পাকিস্তানের গণমাধ্যমে গুঞ্জন ওঠে সাদা বলে বাবরের পরিবর্তে পাকিস্তানের নেতৃত্ব পেতে পারেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। বাবরের নেতৃত্বে সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ৯ ম্যাচের পাঁচটিতে হেরে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয় পাকিস্তান। এরপর চলতি বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে নেমে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে হেরে প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নেয়।
সেই সঙ্গে বাবরের ফর্ম তার হয়ে কথা বলছে না বেশ কয়েকদিন ধরেই। বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বশেষ দুই টেস্টে ৪ ইনিংসে সর্বোচ্চ ৩১ রানের ইনিংস খেলেন এই পাকিস্তানি ব্যাটার। এদিকে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে ভরাডুবির পর টেস্টের অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেয়ার কথা ওঠে শান মাসুদকে নিয়েও।
তার বিকল্প হিসেবে বেছে নেয়া হতে পারে রিজওয়ান বা সাউদ শাকিলের মধ্যে কাউকে। যদিও সাদা বলের হেড কোচ কারস্টেন এবং লাল বলের হেড কোচ গিলেস্পির চাওয়া নিজেদের প্রমাণে আরও লম্বা সময় পাক এই দুজন।
বোর্ডের সূত্রের বরাতে পিটিআই এমন উদ্ধৃতি প্রকাশ করেছে, ‘অধিনায়কত্ব পরিবর্তন নিয়ে কোনো আলোচনাই হয়নি। পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি অধিনায়কত্ব নিয়ে সিদ্ধান্তের ভার দুই কোচ ও নির্বাচকদের হাতে ছেড়ে দিয়েছেন। শান মাসুদ ও বাবর আজম কেমন অধিনায়ক সে বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর আগে তাদের লম্বা সময় দেওয়ার বিষয়ে দুই কোচ একমত।’
আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর পিসিবির পক্ষ থেকে সংযোগ ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছে। এই ক্যাম্পের মূল উদ্দেশ্য পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেটের পর্যালোচনা করা। পিসিবির সেই সভায় পাকিস্তানের দুই কোচ কারস্টেন ও গিলেস্পিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এই ক্যাম্পেও অধিনায়কত্ব ইস্যুতে কোনো আলোচনা হবে না বলে নিশ্চিত করেছে বোর্ডের সেই সূত্র।
‘সব স্টেকহোল্ডারদের মতামতের জন্যই কর্মশালার আয়োজন করা হচ্ছে, বিশেষ করে ঘরোয়া দলগুলোর কোচ, নির্বাচক ও কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটারদের। এর উদ্দেশ্য ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মানের পার্থক্য কমিয়ে আনা।’