টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

জর্ডানের হ্যাটট্রিকের পর বাটলারের বিধ্বংসী ইনিংসে সেমি ফাইনালে ইংল্যান্ড

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
Publish Date: 23:05 Sunday, June 23, 2024

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||

ক্রিস জর্ডানের হ্যাটট্রিকসহ ৪ উইকেটের তোপে যুক্তরাষ্ট্র ১১৫ রানেই অল আউট হয়ে গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এরপর সহজ লক্ষ্যে খেলতে নেমে বিধ্বংসী এক ইনিংসে ইংল্যান্ডের ১০ উইকেটের জয় এনে দিয়েছেন জশ বাটলার। সেমি-ফাইনালের টিকেট পেতে ইংল্যান্ডের জিততে হতো ১৮.৪ ওভারের মধ্যে। সেই লক্ষ্য ইংল্যান্ডের পাড়ি দিতে লেগেছে কেবল ৯.৪ ওভার।

ছোটো লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইংল্যান্ডকে কোনো বেগ পেতে দেননি বাটলার ও ফিল সল্ট। বাটলার মাত্র ৩৮ বলে ৮৩ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। তার ইনিংস জুড়ে ছিল ৭টি ছক্কা ও ৬টি চারের মার। বাটলার এদিন সবচেয়ে বেশি চড়াও হয়েছিলেন হারমিত সিংয়ের ওপর।

যুক্তরাষ্ট্রের এই বাঁহাতি স্পিনারকে টানা চারটি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন তিনি। হারমিতের করা দশম ওভার থেকেই এসেছে ৩২ রান। বাটলার একপ্রান্তে বিধ্বংসী ব্যাটিং করলেও অন্যপ্রান্তে বেশ শান্ত ছিলেন সল্ট। তিনি ২১ বলে ২৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন শেষ পর্যন্ত।

এই ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যদিও ৫ উইকেটেই ১১৫ রান করে ফেলেছিল তারা। শেষ দুই ওভারে মারমুখী ব্যাটিংয়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল যুক্তরাষ্ট্র। তারা কোনো রান না করেই ৬ বলের মধ্যে ৫ উইকেট হারায়। 

১৮তম ওভারের শেষ বলে হারমিতকে আউট করেন স্যাম কারান। এরপর ১৯তম ওভারে এসে রীতিমতো তান্ডব চালান জর্ডান। প্রথম বলেই কোরি অ্যান্ডারসনকে হ্যারি ব্রুকের ক্যাচ বানিয়ে আউট করেন তিনি। এক বল পর লেংথ ডেলিভারিতে বোল্ড করেন আলী খানকে।

পঞ্চম বলে নশঠুস কেঞ্জিগকে লেগ বিফোর উইকেট বানিয়ে আউট করেন এই ইংলিশ পেসার। আর পঞ্চম বলে সৌরভ নেত্রভাল্কারকে বোল্ড করে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন জর্ডান। আর তাতেই বিশ্বকাপের ইতিহাসে মাত্র দ্বিতীয় বোলার হিসেবে এক ওভারে চার উইকেট নেয়ার কীর্তি গড়েন জর্ডান।

এর আগে এই কীর্তি ছিল শুধু আইরিশ পেসার কার্টিস ক্যাম্ফারের। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলেন জর্ডান। সেই সঙ্গে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারিদের তালিকায় তিনে উঠে এসেছেন তিনি। তার শিকার এখনও পর্যন্ত ২৮ উইকেট।

৩০টি করে উইকেট নিয়ে তার উপরে আছেন কেবল আদিল রশিদ ও স্টুয়ার্ট ব্রড।এবারের বিশ্বকাপে এর আগে দুটি হ্যাটট্রিক হয়েছে। বাংলাদেশের বিপক্ষে হ্যাটট্রিকের পর আফগানিস্তানের বিপক্ষেও হ্যাটট্রিকের স্বাদ পেয়েছেন অজি পেসার। আর যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করলেন জর্ডান।