|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
স্বপ্ন ছিল নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল। বাজে হারে সেই স্বপ্ন রীতিমতো পিষ্ট হয়েছে। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নিগার সুলতানা জ্যোতিকে সবচেয়ে বেশি কষ্ট দিয়েছে নিজ দলের ব্যাটিংয়ের ধরনে। আরও ভালো ব্যাটিংয়ের প্রত্যয় নিয়ে মাঠে নামা বাংলাদেশ এ দিন ডট বলই খেলেছে ৫৭টি!
গোটা ইনিংসে বাংলাদেশ বাউন্ডারি হাঁকায় মোটে ৯টি। প্রথম চার ব্যাটারের পর আর কেউই বল পাঠাতে পারেননি সীমানায়। এমনকি ইনিংসের শেষ ৪৯ বলে একটি বাউন্ডারিও মারতে পারেনি বাংলাদেশ। সবমিলিয়ে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে আগে ব্যাটিং করে আট উইকেটে ১০৩ রান করে বাংলাদেশ।
সেই লক্ষ্য ১২.৫ ওভারের মাঝেই তাড়া করে ক্যারিবিয়ানরা। আট উইকেটের হারে সেমিফাইনালের স্বপ্ন একরকম ধূলিসাৎ হয়ে যায় জ্যোতিবাহিনীর। ম্যাচ শেষে হতাশা প্রকাশ করেন জ্যোতি নিজেও।
'আমাদের শুরুটা খুব ভালো ছিল। তবে মাঝের সময়টায় আমরা অনেক বেশি ডট খেলেছি এবং পরে তাদেরকে অনেক উইকেট বিলিয়ে দিয়েছি। মাঝের ওভারগুলোয় তাদের বোলাররা সত্যিই অনেক ভালো বল করেছে এবং আমাদেরকে শট খেলার জায়গা দিচ্ছিল না। সিঙ্গেল নেওয়ার অনেক সুযোগও আমরা হাতছাড়া করেছি, যা চাপ তৈরি করেছে আমাদের ওপর।'
১২ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ছিল দুই উইকেটে ৭১। সেখান থেকে লড়াই চালানোর মতো সম্মানজনক একটি স্কোর প্রত্যাশা করাই যায়। কিন্তু সোবহানা মোস্তারির সঙ্গে জ্যোতির ৪০ রানের জুটি ভাঙার পর আর কোনো জুটিই গড়ে ওঠেনি। সোবহানা ১৬ এবং জ্যোতি করেন ৩৯ রান।
ব্যাটিংয়ে উন্নতির তাগিদ দিয়ে জ্যোতি আরও বলেন, 'শিক্ষণীয় অনেক কিছুই আমরা সামনে বয়ে নিতে পারি। বিশেষ করে, এই ধরনের টুর্নামেন্টে কীভাবে ইতিবাচক থাকতে হয়। আমাদের দলটা এই ধরনের টুর্নামেন্টে খুব বেশি অভিজ্ঞ নয়। আমাদের জন্য জরুরি হলো ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আমাদের আরও বেশি তাড়না দেখানোয় মনোযোগ দেওয়া। আমাদের বোলাররা প্রতিটি ম্যাচেই তাদের কাজ করতে পেরেছে। ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আমাদের দায়িত্ব আরও শক্তিশালী হওয়ার।'
শনিবার শেষ ম্যাচে সাউথ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিদায়ী ম্যাচটি রাঙাতে চান জ্যোতি, '(সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে) ভালো ক্রিকেট খেলা ও জয়ের চেষ্টা করা উচিত আমাদের। এটা স্রেফ আরেকটি খেলা এবং আমরা দল হিসেবে খেলতে চাই, মনে রাখার মতো কিছু নিয়ে ফিরতে চাই।'