|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
পাল্লেকেলেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় এবং ওয়ানডেতে ডাকওয়ার্থ লুইস-স্টার্ন পদ্ধতিতে আট উইকেটে জিতল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তিন বছর পর ওয়ানডে দলে ফিরে অনবদ্য এক সেঞ্চুরি করেন এভিন লুইস। তার অসাধারণ ইনিংসেই ২০০৫ সালের পর এবারই প্রথম শ্রীলঙ্কার মাটিতে ওয়ানডে জয়ের সুবাস পেল ক্যারিবিয়ানরা। গত প্রায় ২০ বছরে দেশটিতে ক্যারিবিয়ানরা হারে টানা ১০ ম্যাচ।
বৃষ্টির কারণে এই ম্যাচে খেলা বন্ধ ছিল পাঁচ ঘণ্টা। খেলা শুরু হলে ম্যাচের দৈর্ঘ্য নেমে আসে ২৩ ওভারে। টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৭.২ ওভারে শ্রীলঙ্কা এক উইকেটে ৮১ রান তুলে ওয়ানডে মেজাজেই এগিয়ে যাচ্ছিল লঙ্কানরা।
এরপর লম্বা সময় খেলা বন্ধ থাকার পর আবারও মাঠে নামে দলটি। ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা এবং কুশল মেন্ডিসের হাফ সেঞ্চুরিতে তিন উইকেটে ১৫৬ রান করে লঙ্কানরা। ৫০ বলে ৩৪ রান করে রস্টন চেজের বলে কট এন্ড বোল্ড হন আভিশকা ফার্নান্দো।
কুশলের সঙ্গে ৫৭ রানের জুটির পর ফিরে যান নিশাঙ্কা। ৬২ বলে ৫৬ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। মাঝে চারিথ আসালঙ্কা ফিরে যান ছয় রানে। ২২ বলে ৫৬ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন কুশল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৩ ওভারে ১৯৫ রানের।
জয়ের বন্দরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ পৌঁছে যায় এক ওভার হাতে রেখে। ২০২১ সালের জুলাইয়ের পর ওয়ানডে খেলতে নেমে ৬১ বলে অপরাজিত ১০২ রান করেন লুইস। নয়টি চার ও চারটি ছক্কায় সাজানো ছিল তার ইনিংস।
পঞ্চম ওয়ানডে সেঞ্চুরি হাঁকানোর পথে হাফ সেঞ্চুরির পরই পায়ে টান লাগে এই ওপেনারের। তারপরও ব্যাটিং চালিয়ে যান তিনি। লক্ষ্য তাড়ায় করতে নেমে প্রথম পাঁচ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তোলে বিনা উইকেটে ৩৫ রান।
পরের ওভারেই অবশ্য বিদায় নেন ১৯ বলে ১৬ রান করা ব্রেন্ডন কিং। শাই হোপের সঙ্গে এরপর ৭২ রানের জুটি গড়েন লুইস। শেষ ১০ ওভারে প্রয়োজন পড়ে ১০১ রানের। ২৭ বলে ২২ রান করে বিদায় নেন হোপ।
তারপর শারফানে রাদারফোর্ডকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন লুইস। কাজটি সহজ ছিল না মোটেও। ৫ ওভারে দরকার ছিল ৫৬ রান। তারপরেও অনবদ্য দুটি ইনিংস ছিল দুই ক্যারিবিয়ানের ব্যাটে। লুইস ও রাদারফোর্ডের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ৮৮ রান আসে মাত্র ৪৫ বলে।
সেঞ্চুরিয়ান লুইসকে উপযুক্ত সঙ্গ দেন রাদারফোর্ড। ২৬ বলে চারটি চার ও তিনটি ছক্কায় ৫০ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। এই জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ২-১ ব্যবধানে শেষ করল ক্যারিবিয়ানরা। সিরিজ হারলেও হোয়াইটওয়াশ হয়নি তারা।