|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
নর্থ সাউন্ডে অধিনায়ক শাই হোপের সেঞ্চুরিতে রানের পাহাড়ই গড়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যদিও ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক লিয়াম লিভিংস্টোনের সেঞ্চুরিতে সেই রান টপকে যায় ইংল্যান্ড। দুই অধিনায়কের সেঞ্চুরির ম্যাচে ইংল্যান্ড জিতেছে পাঁচ উইকেটে। সিরিজে ১-১ ব্যবধানে সমতা আনল তারা।
৩২৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শেষ ১০ ওভারে জয়ের জন্য ১০০ রান দরকার ছিল ইংল্যান্ডের। লিভিংস্টোন হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন ৬০ বলে। এরপর সেঞ্চুরি পেতে মাত্র ১৭ বল খেলেন তিনি! ৮৫ বলে পাঁচটি চার ও ৯টি ছক্কায় বিস্ফোরক ১২৪* রানের ইনিংসে দলকে রোমাঞ্চকর জয় এনে দেন তিনি। ১৫ বল বাকি থাকতে ম্যাচটি জিতে ইংল্যান্ড।
ওয়ানডেতে এটাই লিভিংস্টোনের প্রথম সেঞ্চুরি। অনুমিতভাবেই এমন ইনিংসে ম্যাচ সেরার পুরষ্কার জিতে নেন তিনি। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ইংল্যান্ড। যদিও কেউ না কেউ রানের চাকা সচল রাখছিলেন।
উইল জ্যাকস (১২) এবং জর্দান কক্স (৪) ব্যর্থ হলেও এ দিন দলের রান বাড়াতে থাকেন ফিল সল্ট (৫৯) এবং জ্যাকব ব্যাথেল (৫৫)। ১৬০ রানে চতুর্থ উইকেট পড়ে গেলে ১৪০ রানের জুটি গড়েন লিভিংস্টোন এবং স্যাম কারান।
এই জুটিই মূলত সিরিজে ফেরায় ইংল্যান্ডকে। কারান খেলেন ৫২ বলে ৫২ রানের ইনিংস। দলীয় ৩০০ রানে কারান ফিরলেও লিভিংস্টোন হারতে দেননি ইংল্যান্ডকে। ক্যারিবিয়ানদের হয়ে ম্যাথু ফোর্ড নেন তিন উইকেট।
এর আগে হোপের ১২৭ বলে ১১৭ রানের ইনিংসে ভর করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ থামে ৩২৮ রানে। ওয়ানডেতে এটা ১৭তম সেঞ্চুরি হোপের। ক্যারিবিয়ানরা অবশ্য ১২ রান তুলতেই দুই উইকেট হারায়। এরপর ১৪৩ রানের জুটি গড়েন হোপ ও কেসি কার্টি।
৭৭ বলে ৭১ রান করে কার্টি বিদায় নিলে শারফানে রাদারফোর্ডের সঙ্গে ৭৯ রানের জুটি গড়েন হোপ। এই জুটিতেই মূলত দলের বড় সংগ্রহ নিশ্চিত করে দলটি। রাদারফোর্ড করেন ৩৬ বলে ৫৪ রান।
শেষদিকে শিমরন হেটমায়ার ১১ বলে ২৪, রস্টন চেজ ২২ বলে অপরাজিত ২০ এবং ম্যাথু ফোর্ড ১১ বলে অপরাজিত ২৩ রান করেন। ইংল্যান্ডের হয়ে এ দিন বোলিং করেন ৯ জন! ২টি করে উইকেট নেন জন টার্নার ও আদিল রশিদ।