ঘরোয়াতে আরও বেশি ম্যাচ খেলুক রিশাদরা, চাওয়া বদ্রির
ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি
তবে এমন পারফরম্যান্সের পরও এই বোলার নজর কেড়েছেন সাবেক ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটারদের। বিশেষ করে, রিশাদকে মনে ধরেছে সাবেক ক্যারিবিয়ান লেফ স্পিনার স্যামুয়েল বদ্রির। তিনি নিজে ছিলেন লেগ স্পিনার, তাই ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে নজর রাখছেন বাংলাদেশী লেগির উপর। ক্রিকফ্রেঞ্জিকে দেয়া একান্ত সাক্ষাতকারে এই জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার জানান, আগামীতে তাকে আরও বেশি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেখতে মুখিয়ে আছেন তিনি।
'আমি রিশাদকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও দেখেছি। ওয়ানডেতে সে অবশ্যই নতুন একজন খেলোয়াড়। আমি তার লাইন লেংথ পছন্দ করেছি। সে উইকেট টু উইকেট বোলিং করে। তাকে আমি আরও ধারাবাহিক দেখতে চাই। সে মাঝেমধ্যে কিছু শর্ট বল করে থাকে। এগুলোতে সে মার খায়। তাই তার আরও ধারাবাহিক হওয়া প্রয়োজন।'
'তবে তার লাইন লেংথ আমার পছন্দ, তার উচ্চতা দারুণ, পেসের তারতম্যেও দারুণ, সম্ভবত তার গুগলিও আছে.. সেটা আরও বেশি বেশি করত হবে। আগামীতে তাকে দেখতে মুখিয়ে আছি।'
তবে যেই রিশাদ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কুড়াচ্ছেন এতো প্রশংসা, সেই লেগি ঘরোয়া লিগে খেলতে পেরেছেন খুব কম সংখ্যক ম্যাচ। এমনকি যেই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এই স্পিনারের পারফরম্যান্স সব থেকে ভালো, সেই ফরম্যাটে আয়োজিত দেশের সব থেকে বড় আসর বিপিএলেও খেলেছেন মাত্র ২ আসরে।
তাও দুই আসর মিলিয়ে ম্যাচ পেয়েছেন মোটে পাঁচটি। ব্যাপারটি নজর এড়ায়নি বদ্রির। ঘরোয়া লিগে লেগ স্পিনারদের খুব বেশি ম্যাচ খেলতে না পারার কারণেই উন্নতি হচ্ছে না বাংলাদেশের ক্রিকেটে, এমনটা দাবি করে বদ্রি।
তিনি বলেন, 'লেগ স্পিনে সফল হতে অনেক বেশি অনুশীলন প্রয়োজন, সবার আগে। খেলার সুযোগও পেতে হবে।আমার জানামতে বাংলাদেশ বোর্ড এই তরুণ লেগিকে ঘরোয়াতেও যথেষ্ট সুযোগ দিতে চাচ্ছে। তবে আর্টিকেলে আমি যা পড়েছি সব দল লেগ স্পিনার খেলাতেও চায় না। এমনকি রিশাদেরও ঘরোয়াতে ম্যাচ পেতে কষ্ট হয়েছে। না খেলতে পারলে আপনার উন্নতি হবে না। তাই এটা দুদিক থেকেই আসতে হবে। আপনি কর্তা হিসেবে আমার কাজের অভিজ্ঞতা দেখতে চাইতে পারেন, কিন্তু আপনি যদি আমাকে না খেলান তাহলে অভিজ্ঞতা কোথা থেকে আসবে।'
'বোলারের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা একই। যদি সে না-ই খেলতে পারে তাহলে তার অভিজ্ঞতা কোথা থেকে আসবে। আমার দিক থেকে আমি চাই, এটা ছেলেরা ঘরোয়াতে আরও বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাক। এভাবে যদি রিশাদের মতো একজন ক্রিকেটারও বের হয়ে আসে, সে পুরো প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করতে পারবে, যেমনটা রশিদ খান আফগানিস্তানে করেছে। তাই আপনার একটা ব্রেক থ্রু দরকার। এরপরই আপনি ফ্লোর পেয়ে যাবেন।'