বড়দের পর এশিয়া কাপের শিরোপা জিতল ভারতের যুবারা

ছবি: ভারতীয় যুব দল

|| ডেস্ক রিপোর্ট ||
যুব এশিয়া কাপের ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে ১৪৪ রানের ব্যবধানে হারিয়ে এই টুর্নামেন্টের ষষ্ঠ শিরোপা ঘরে তুলেছে ভারত। কদিন আগেই বড়দের এশিয়া কাপে বাংলাদেশকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল রোহিত শর্মারা।
এবার সেই ধারা অব্যহত রেখেছে ভারতীয় যুব দল। ৩০৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ভারতীয় পেসার হার্শ ত্যাগির বোলিং তোপে মাত্র ১৬০ রানে গুটিয়ে গেছে শ্রীলঙ্কা। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেম শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে লঙ্কানরা।
ওপেনার নিশান মাদুশঙ্কার ৪৯, নাভোদ পার্নাভিতানার ৪৮ ও পাসিন্ডু সুরিয়াবান্দারার ৩১ ছাড়া আর কেউই বলার মতো রান করতে পারেনি। ফলে নির্ধারিত ৫০ ওভারের ৬৮ বল বাকি থাকতেই ১৬০ রানে গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা।

ভারতের হয়ে একাই ৬ উইকেট নিয়েছেন পেসার হার্শ ত্যাগি। তাছাড়া ২ টি উইকেট দখল করেছেন সিদ্ধার্থ দেশাই। আর ১ টি উইকেট নিয়েছেন মোহিত জাংরা।
এর আগে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। উদ্বোধনী জুটিতে ১২১ রান যোগ করেন দুই ওপেনার যশসভী জয়সওয়াল ও অনুজ রাওয়াত।
৭৯ বলে চারটি চার ও তিন ছক্কায় ৫৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন রাওয়াত। ১১৩ বল খেলে আট চার ও এক ছক্কায় ৮৫ রান করেন জয়সওয়াল। ৩১ রান করে ফেরেন পাদিকল। দ্রুত ৩ উইকেট হারানোর পর চতুর্থ উইকেটে আয়ুস বদনীকে সঙ্গে নিয়ে অবিচ্ছিন্ন ১১০ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক সিমরান সিং।
মাত্র ৩৭ বল খেলে তিন চার ও চারটি ছক্কার সাহায্যে ৬৫ রান করেন সিমরান। ২৮ বল খেলে দুই চার ও পাঁচটি ছক্কায় ৫২ রান করে অপরাজিত থাকেন বদনি। এই দুজনের ব্যাটেই বড় সংগ্রহ গড়ে ভারত।
নির্ধারিত ৫০ ওভারে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩ উইকেট হারিয়ে ৩০৪ রান। এদিকে, ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত যুব এশিয়া কাপের প্রথম আসরের ফাইনালে শ্রীলংকাকে ৭৯ রানে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল ভারত।
এরপর ২০০৩ সালে ফের ফাইনালে ভারতের কাছেই ৮ উইকেটে হেরে ট্রফি হাতছাড়া করেছিল লঙ্কানরা। এবারও সেই হতাশাই সঙ্গী হয়েছে শ্রীলঙ্কা যুব দলের।