মার্করামের সেঞ্চুরি, বাভুমার ফিফটিতে শিরোপার অনেক কাছে প্রোটিয়ারা

ছবি: জুটির পথে মার্করাম ও বাভুমা

উইকেট অনুযায়ী এই লক্ষ্য পাড়ি দিতে প্রোটিয়াদের কাঠখড় পোড়াতে হবে সেটা জানাই ছিল। এমন সম্ভাবনা সামনে রেখেই দলীয় মাত্র ৯ রানে আউট হয়ে যান রায়ান রিকেলটন। প্রোটিয়া এই ব্যাটারকে ফিরিয়েছেন স্টার্ক। এই অজি পেসারের ১৩৮ কিলোমিটার গতির বলে স্লিপ কর্ডনে ক্যাচ দেন রিকেলটন। দ্বিতীয় উইকেটে উইয়ান মুল্ডারকে নিয়ে ৬১ রান যোগ করেন মার্করাম।
ভারতকে না করে ইংল্যান্ডকে ৩ ফাইনাল আয়োজনের স্বত্ব দিল আইসিসি
১ ঘন্টা আগে
এই জুটিও ভেঙেছেন স্টার্ক। ৫০ বলে ২৭ রান করা মুল্ডার কাভারে ক্যাচ দিয়েছেন মার্নাস ল্যাবুশেনের হাতে। এরপর প্রোটিয়াদের ইনিংস টানেন মার্করাম ও অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। এই জুটির পথেই ৬৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন মার্করাম। ১৫৬ বলে তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি। তাকে দারুণহ সঙ্গ দিয়েছেন বাভুমা। তিনি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন ৮৩ বলে।
প্রোটিয়াদের আর কোনো বিপদ হতে দেননি এই দুই ব্যাটার। মার্করাম ১৫৯ বলে ১০২ ও বাভুমা ১২১ বলে ৬৫ রান করে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছেন। জয় থেকে তারা মাত্র ৬৯ রানের দূরত্বে দাঁড়িয়ে আছে। নাটকীয় কিছু না ঘটলে প্রোটিয়াদের হাতেই উঠতে চলেছে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা।

সাউথ আফ্রিকাকে শিরোপা জিতিয়ে আইসিসির জুনের সেরা মার্করাম
১৪ জুলাই ২৫
অস্ট্রেলিয়া ৮ উইকেটে ১৪৪ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে। সবাই হয়তো অপেক্ষায় ছিলেন দ্রুতই গুটিয়ে যাবে অজিদের ইনিংস। তবে প্রোটিয়াদের অপেক্ষা বাড়িয়েছেন স্টার্কই। লিডসহ অজিদের রান যখন ২১৮ তখন তারা হারায় ন্যাথান লায়নের উইকেট। নিচের দিকের এই ব্যাটারকে এলবিডব্লিউ করে ফেরান কাগিসো রাবাদা।
লায়নের বিদায়ের পর অস্ট্রেলিয়ার স্কোর দাঁড়িয়েছিল ৯ উইকেটে ১৪৮। এমন সময়ই ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন জশ হ্যাজেলউড ও স্টার্ক। তবে সাবলীল ছিলেন স্টার্কই। তিনি ১৩১ বলে তুলে নেন ১১তম হাফ সেঞ্চুরি। সেই সঙ্গে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে ২ হাজার রানের মাইলফলকও ছুঁয়েছেন।
দশম উইকেটে তিনি ১৩৫ বলে ৫৯ রানের জুটি গড়েন হ্যাজেলউডকে নিয়ে। ইনিংসের ৬৫তম ওভারে হ্যাজলউডকে ফিরিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস গুটিয়ে দেন এইডেন মার্করাম। ৫৩ বল খেলে ১৭ রান করে আউট হন হ্যাজলউড। আর ১৩৬ বলে ৫ চারে ৫৮ রান করে অপরাজিত থাকেন স্টার্ক।