দেরাদুনে চরম অব্যবস্থাপনার কবলে বাংলাদেশ

ছবি:

বাংলাদেশ-আফগানিস্তানের মধ্যকার ৩ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি২০ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রেখেছে দেরাদুনের রাজীব গান্ধি স্টেডিয়াম। তবে, নানা অনিয়মের কারণে শুরু থেকেই সংবাদ মাধ্যমের শিরোনাম হচ্ছে স্টেডিয়ামটি।
সিরিজের প্রথম ম্যাচের আগে জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হলেও মাঠে থাকা বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটররা শুনতে পাননি। তাছাড়া স্টেডিয়াম থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে টিম হোটেল। ফলে অনুশীলন বা প্রেস ব্রিফিং করতে আসলেও প্রায় ১ ঘন্টা সময় লেগে যায় ক্রিকেটারদের।
এবার বাংলাদেশ থেকে দেরাদুনে যাওয়া সাংবাদিকরা অভিযোগ করেছেন প্রেস বক্সের সুযোগ সুবিধা নিয়ে। সিরিজের প্রথম ম্যাচেই ইন্টারনেট সমস্যায় ভোগান্তিতে পড়তে হয় গণমাধ্যমকর্মীদের। চরম অব্যবস্থাপনায় তাই হতাশা প্রকাশ করেন তারা।

অনেকেই উত্তরাখণ্ড সরকার ও সিরিজ আয়োজক আফগানিস্তানকে দুষছেন। প্রেস বক্সে ল্যাপটপ চার্জের কোনো ব্যবস্থা নেই, নেই ভালো ইন্টারনেট সংযোগ। ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাংবাদিকদের।
স্টেডিয়ামটা একেবারেই ছবির মতো, চমৎকার অবকাঠামোগুলোও। তবে, প্রেস বক্সের বেহাল অবস্থা হতাশ করেছে সবাইকে। বহু অভিযোগের পর যে সংযোগ দেয়া হলো তাতে ইন্টারনেট আসে আর যায়। ইন্টারনেটের যে গতি তাতে ঠিকমতো কাজই করতে পারছেন না গণমাধ্যমকর্মীরা।
ক্রিকেটের খুঁটিনাটি অনেক তথ্যই যাচাই করতে হয় ইন্টারনেট থেকে। সেই কাজটা করাই দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্কোর দেখার জন্যও নেই কোনো ব্যবস্থা। জায়ান্ট স্ক্রিন থাকলেও সেখানে খেলা দেখানো হচ্ছে না।
সাংবাদিক নাজমুস সাকিব জানিয়েছেন, 'এই প্রেসবক্সটা খুবই অব্যবস্থাপনার মধ্যে রয়েছে। ইন্টারনেট আসছে আর যাচ্ছ। কারও কোন মাথাব্যথা নেই।' হিন্দুস্তান টাইমসের সাংবাদিক কল্যাণ দাস বলেছেন, 'উত্তরাখণ্ড ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন একেবারেই অনভিজ্ঞ। এখানে ঠিকমতো পানির ব্যবস্থাও নেই।'
প্রথম আলোর দিল্লি প্রতিনিধি সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তুলেছেন কর্মকর্তাদের পেশাদারিত্ব নিয়ে, 'এখানে যদি একটা স্থানীয় অ্যাসোসিয়েশন থাকতো, বিসিসিআই'র কোন লোক থাকতো তাহলে তারা বুঝতো। এরা অনেক অনভিজ্ঞ।'