স্টিভ রোডসই কেন?

ছবি:

৭ মাসের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে নতুন কোচ পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ দল। শোনা যাচ্ছে ইংলিশ সাবেক উইকেট রক্ষক স্টিভ রোডসকে দায়িত্ব তুলে দিবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
এই ব্যাপারে চূড়ান্ত ভাবে নিশ্চিত হওয়া যাবে আসন্ন শুক্রবার। জানা গিয়েছে কয়েকদিনের মধ্যেই তার সঙ্গে চুক্তি সেরে ফেলতে চাইছে ক্রিকেট বোর্ড।
আগেই জানা ছিল, উইন্ডিজ সিরিজের আগেই নতুন কোচ পাবে বাংলাদেশ। আর সেটাই হতে যাচ্ছে। ঈদের পরই হয়তো সাকিব-মাশরাফিদের নিয়ে কাজ করা শুরু করবেন তিনি।
এদিকে ক্রিকেট বোর্ড থেকে জানানো হয়েছে চলতি সপ্তাহের মধ্যেই রোডস বাংলাদেশে আসবেন। বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন,
'একজন যখন চূড়ান্ত সাক্ষাৎকারে আসে তখন তাঁর সাথে বেসিক কিছু টার্মস এবং কন্ডিশনের কথা মাথায় রেখেই আনা হয়। এগুলো আমরা সবার ক্ষেত্রেই করেছি, ওনার ক্ষেত্রেও করবো। আমরা আশা করছি এই সপ্তাহের মধ্যেই তিনি চলে আসবেন।'
এদিকে আরও জানা গিয়েছে কোচ নির্বাচনের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতাকে বেশী প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। এছাড়াও তাদের ব্যস্ততার কথাও চিন্তা করা হয়েছে এবার। আর সামনে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ তাই সেখানকার কন্ডিশনের বিবেচনাও করা হয়েছে বলে জানান নিজাম উদ্দিন। তার ভাষায়,

'আমরা যেটি করেছি সেটি হলো মূলত অভিজ্ঞতাকে আমরা প্রাধান্য দিয়েছি। আপনারা জানেন যে আমরা বেশ কিছু কোচের সাথে কথা বলেছি যাদের অনেক সুনাম এবং অভিজ্ঞতা দুটোই ছিলো।
কিন্তু হয়তো বিভিন্ন কারণে তারা ফ্রি ছিলেন না বা পরিবারের কারণে তারা আসতে পারেননি। কিন্তু এই মুহূর্তে যেসব কোচ পাওয়া গেছে তাদের মধ্যে রোডস হচ্ছেন সবথেকে বেশি অভিজ্ঞ।
মূলত আমরা তাঁর অভিজ্ঞতাকেই প্রাধান্য দিচ্ছি এবং একই সময়ে আপনারা জানেন যে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপটি ইংল্যান্ডে হবে সেহেতু সেটাও একটি বিবেচ্য বিষয়। ইংল্যান্ডের কন্ডিশনের কাউকে বাঁ ঐ ধরণের কন্ডিশনের কাউকে যদি সম্পৃক্ত করা যায় সেক্ষেত্রে কিছু বাড়তি সুবিধা পাওয়া যেতে পারে।'
ভারতের দেরাদুনে আফগানিস্তানের সাথে সিরিজ খেলতে ব্যস্ত বাংলাদেশ দল। সেখান থেকে বাংলাদেশ দল ফিরে আসার পর তাদের পরবর্তী ক্যাম্পের আগেই নতুন কোচকে পাওয়া যাবে বলেও জানান তিনি। আরও বলেন,
'আপনারা জানেন যে বাংলাদেশ দল এখন ভারতের দেরাদুনে আছে। তারা ফিরবে এই মাসের ৮ অথবা ৯ তারিখে। এরপর দলের একটি বিরতি হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের আগে। যে কোচই দলের সাথে যোগ দিক আমরা আশা করবো পরবর্তীতে যে ক্যাম্প শুরু হবে তখন যেন তাঁকে পাওয়া যায়।'
অন্যদিকে অভিজ্ঞ কোচ বাংলাদেশকে আরও দূরে নিয়ে যাবে বলেও আশাবাদি বিসিবির এই প্রধান নির্বাহী। আর দক্ষিন আফ্রিকার সাবেক ক্রিকেটার গ্যারি কারস্টেনের পরামর্শকেও কোচ নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। নিজাম উদ্দিন আরও জানান,
'আমি আবারো বলছি আমরা দীর্ঘদিন থেকে কাজ করছি অভিজ্ঞ এবং জাতীয় দলের সাথে সম্পৃক্ত আছেন এমন কাউকে পাওয়া যায় কিনা। সেক্ষেত্রে যখন বেশ কিছু কোচের নাম আমাদের হাতে এসেছে আমরা যোগাযোগ করেছি ।
পরবর্তীতে দেখা গেছে বিভিন্ন দেশে যেগুলো টুর্নামেন্টগুলো হচ্ছে তাদের সাথে কমিটমেন্ট থাকায় তারা হয়তো ফ্রি থাকছেন না বা পুরো সময়টা দিতে পারছেন না। আমরা এমন কাউকে চাইছিলাম যে পুরো সময়টা দিতে পারবেন এবং এধরণের কাজে দলকে সাহায্য করবেন।'
এছারাও কোচের তালিকা থেকে রোডসকেই টাইগারদের জন্য বেশী যোগ্য মনে হয়েছে বিসিবির। দলের সঙ্গেও বেশী সময় থাকতে পারবেন দেখেই তার কাঁধেই দায়িত্ব তুলে দিতে চাইছে ক্রিকেট বোর্ড। আরও জানা যায়,
'আমাদের লক্ষ্য ছিলো পুরো সময়টা দলের সাথে থাকতে পারবেন এমন কাউকে নিয়োগ দেয়া। সেই লক্ষ্য থেকেই কোচ খোঁজার চেষ্টা করছিলাম এবং আমাদের কাছে যে নামগুলো এসেছে তাঁর মধ্যে তাঁকেই যোগ্য বলে মনে হচ্ছিলো।
সেই কারণেই তাঁকে দেয়া। আর সুপারিশের কথা যেটি বলছেন, আপনারা জানেন যে গ্যারি কারস্টেন আমাদের সাথে পরামর্শক হিসেবে কাজ করছেন। সবার সাথে আলোচনা করেই পরিকল্পনামাফিক আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।'