র‍্যাঙ্কিংয়ে অষ্টম স্থানে উঠে আসার বড় সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের সামনে। আফগানিস্তানকে হোয়াইট ওয়াশ করলেই র‍্যাঙ্কিংয়ে দুই ধাপ উন্নতি করবে সাকিব আল হাসানের দল।

এই লক্ষ্য মাথায় নিয়েই সিরিজের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবে কোর্টনি ওয়ালশের শিষ্যরা। গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে নিজেদের সেরাটাই দিতে চাইবে বাংলাদেশ দল। যেকারণে সেরা একাদশ নিয়েই মাঠে নামবে তারা।

তবে একাদশ সাজাতে গিয়ে বিপদে পরতে হতে পারে টিম ম্যানেজম্যান্টকে। কারণ তামিমের ওপেনিং সঙ্গী হিসেবে কে নামবেন সেটা এখনও নিশ্চিত নয়। নিদাহাস ট্রফির ফর্মুলা ধরে রাখলে ওপেন করবেন লিটন দাস।

আর লিটন ওপেন করলে একাদশের বাইরে বসতে হতে পারে সৌম্য সরকারকে। কারণ নীচের দিকে আরিফুল এবং মোসাদ্দেকরা থাকায় একাদশে সৌম্য'র জায়গা পাওয়াটা একটু কঠিনই বটে।

অন্যদিকে ফিনিশার হিসেবে সাব্বির রহমানের একাদশে থাকা নিশ্চিত। তার সঙ্গে যদিও আরেকজনকে রাখতে হয় তাহলে সুযোগ পাবেন তরুণ মোসাদ্দেক। কারণ আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতার কারণে আরিফুলের চেয়ে এগিয়ে থাকবেন তিনি।

বোলিংয়ের যেহেতু মুস্তাফিজ নেই তাই দায়িত্বটা নিতে হবে রুবেল হোসেনকেই। সঙ্গী হিসেবে রুবেল পাচ্ছেন আবু জায়েদ রাহি এবং আবু হায়দার রনিকে। তবে আবুল হাসান রাজুকে একাদশে রাখলে সাইড বেঞ্চে বসতে হতে পারে রাহিকে।

এছাড়াও স্পিনারদের মধ্যে নাজমুল ইসলাম অপু হচ্ছেন দলের অটো চয়েস। অপুর সঙ্গে স্পিন বিভাগ সামাল দিবেন টাইগার কাপ্তান সাকিব আল হাসান। পাঁচ বোলার নিয়ে নামলেও ষষ্ট বোলার হিসেবে মোসাদ্দেক অথবা আরিফুলকে পাচ্ছে টাইগাররা।   

বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশঃ তামিম ইকবাল, লিটন কুমার দাস/সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, সাব্বির রহমান, আরিফুল হক/মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, রুবেল হোসেন, আবু জায়েদ রাহি/ আবুল হাসান রাজু, আবু হায়দার রনি, নাজমুল ইসলাম অপু।

আফগানিস্তানের সম্ভাব্য একাদশঃ মোহাম্মদ শাহজাদ (অধিনায়ক), আসগর স্ট্যানিকজাই (অধিনায়ক), নজিব তারাকাই, মোহাম্মদ নবী, নজিবুল্লাহ জাদরান, শফিকুল্লাহ, শরফুদ্দিন আশরাফ, গুলবদিন নায়েব, রশিদ খান, আফতাব আলম, মুজিব উর রহমান।