মুস্তাফিজের চোট ভাবাচ্ছে বিসিবিকে

ছবি:

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) নিজের প্রথম আসর থেকে ২০১৬ সালে চোট নিয়ে ফিরেছিলেন টাইগার পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। একই বছর সাসেক্সের হয়ে কাউন্টি খেলতে গিয়ে কাঁধের ইনজুরিরতে পড়েছিলেন তিনি। ফলে মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছিল প্রায় ছয় মাস।
আইপিএলের এবারের আসরে প্রায় অর্ধেকটা সময় সাইড বেঞ্চে বসে কাটালেও নিজের শেষ ম্যাচে আবারও পায়ে আঘাত পান মুস্তাফিজ। এই চোটই তাকে ছিটকে দিয়েছে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের আসন্ন টি২০ সিরিজ থেকে।
শুরুতে মুস্তাফিজ বুঝতে পারেননি চোটটা গুরুতর কিনা। দেশে ফিরে অনুশীলন করেছেন। প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছেন জাতীয় দলের সাথে। তবে আফগান সিরিজের একবারে আগ মুহূর্তে এসে জানা গেছে তার পায়ের বুড়ো আঙুলের চোটটা বেশ গুরুতর! এখানে অবশ্য মুস্তাফিজের অবহেলা দেখছেন না জাতীয় দলের নির্বাচক হাবিবুল বাশার।

‘ও কিন্তু আইপিএল থেকে ফিরেই চোটের বিষয়টা জানিয়েছিল। আইপিএলে নিজেদের শেষ ম্যাচ যেহেতু ব্যথাটা পেয়েছিল, মুম্বাই ইন্ডিয়ানসে সেভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়নি। যেখানে ব্যথা পেয়েছে, সেখানে ফুলতেও দেখা যায়নি। প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার পর দেখে ব্যথা বেড়েছে। পরে এক্স-রে করে দেখা গেল এই চোট নিয়ে খেলা চালিয়ে যাওয়াটা কঠিন।’
ফ্র্যাঞ্চাইজি লীগ এক আতঙ্কের নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে মুস্তাফিজের জন্য। ফ্র্যাঞ্চাইজি লীগে খেলতে গিয়ে ঘন ঘন চোটে পড়াটা স্বাভাবিক ভাবে দেখছে না বিসিবি। মুস্তাফিজের মতো যারা বাইরের লীগে নিয়মিত খেলেন তাদের ব্যাপারে আরও কড়াকড়ি হতে চাইছে বিসিবি। এমনটাই জানিয়েছেন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা কমিটির প্রধান আকরাম খান।
‘এবার আমরা এটা নিয়ে গুরুতরভাবে চিন্তা করছি। এর আগে সে (মোস্তাফিজ) চোট নিয়ে ফিরেছে, বাংলাদেশ ক্রিকেট এটার মূল্য দিয়েছে। এবারও একই সমস্যা। এটা বোর্ড মিটিংয়ে তোলা হবে। কোন খেলোয়াড়কে খেলতে দেব আর কোন খেলোয়াড়কে খেলতে দেব না, এটা নিয়ে আমরা কঠোর হব। সত্যি এটা চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।’