ফিক্সিংয়ের অভিযোগ অস্বীকার করলেন রাজা

ছবি:

প্রায় ২২ বছর আগে টেস্ট অভিষেকেই দারুণ এক রেকর্ড করেছিলেন পাকিস্তানি ক্রিকেটার হাসান রাজা। সবচেয়ে কনিষ্ঠ টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে এখনও রেকর্ডে তার নাম সবার উপরে রয়েছে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ফয়সালাবাদে মাত্র ১৪ বছর ২২৭ দিন বয়সে খেলতে নেমেছিলেন রাজা!
দীর্ঘদিন পর আবারও আলোচনায় এসেছেন এই পাকিস্তানি ক্রিকেটার। তবে নেতিবাচক কারণেই সংবাদের শিরোনাম হচ্ছেন তিনি। পাকিস্তানি এই ব্যাটসম্যানের নাম জড়িয়েছে ফিক্সিংয়ের সাথে। দুবাই ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ম্যাচ ফিক্সিংয়ে তার জড়িত থাকার প্রমাণ।
তার সাথে নাম জড়িয়েছে সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটার রবিন মরিসেরও। ডকুমেন্টারিতে দেখা গেছে, একটি কক্ষে বসে টিভি চ্যানেলটির ছদ্মবেশী প্রতিবেদকের সঙ্গে মরিস কথা বলছেন স্পট ফিক্সিংয়ের জন্য একটি টি-টোয়েন্টি লিগ আয়োজন নিয়ে। তখন সেখানে ছিলেন রাজাও।
সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমের সাথে আলাপকালে রাজা তার বিরুদ্ধে ওঠা ফিক্সিংয়ের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মরিসের সাথে টি২০ লীগের জন্য কিছু খেলোয়াড়ের যোগাযোগ করিয়ে দেয়ার জন্য মিলিত হয়েছিলেন তিনি।

"আমি রবিন মরিসকে সাক্ষাৎ করতে সম্মত হয়েছিলাম কিন্তু আমি তার সাথে মিলিত হয়েছিলাম শুধু টি -২০ লীগের জন্য কিছু খেলোয়াড়ের সাথে যোগাযোগ করিয়ে দেয়ার জন্য। ম্যাচ বা পিচ ফিক্সিংয়ের বিষয়ে আলোচনায় আমার কোন ভূমিকা নেই,"
সেই আলোচনায় এক বিদেশীও যুক্ত হয়েছিল বলে জানিয়েছেন এই পাকিস্তানি ক্রিকেটার। "আমাদের কথোপকথনের সময়, একজন বিদেশী যোগ দিয়েছিলেন।" ক্রিকেটারদের সাথে দেখা করতে শ্রীলঙ্কা যাওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন তিনি।
নিষিদ্ধ টি২০ আসর আইসিএলে মরিস ও রাজা একসঙ্গে খেলেছিলেন মুম্বাই চ্যাম্পস দলে। ফলে তাদের সম্পর্ক অনেক দিনের। রাজা বলেছেন একজন ক্রিকেটার হওয়ায় অনেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারের সাথেই তার পরিচয় রয়েছে। এটা ফিক্সিংয়ের সাথে তার জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ করে না।
"আমরা আরব আমিরাতে দেখা করেছিলাম এবং আমি কোনো খেলোয়াড়ের সাথে দেখা করতে শ্রীলঙ্কা যাইনি। একজন ক্রিকেটার হওয়ার কারণে আমার অনেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারের সাথেই যোগাযোগ আছে। কিন্তু এটাই শুধু ম্যাচ ফিক্সিংয়ে আমার ভূমিকা প্রমাণ করে না।'
তার ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্যই এই অভিযোগ আনা হয়েছে বলেই মনে করেন তিনি। প্রয়োজনে মামলা লড়তে আইনজীবী নিয়োগের কথাও ভাবছেন এই পাকিস্তানি তারকা।
"আমি বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী টেস্ট ক্রিকেটারের রেকর্ডের অধিকারী এবং এই অভিযোজ্ঞুলো আমার ইমেজ ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। যদি প্রয়োজন হয়, আমি আমার মামলা লড়তে আইনজীবী নিয়োগ দিবো।"