আফগানিস্তান সিরিজের আগে নিজেদের ঝালাই করে নিতে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে মাঠে নেমেছিল টাইগাররা। এই ম্যাচে মুশফিকুর রহীমের দলকে ৪২ রানের ব্যবধানে হারায় তামিমরা।

আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৯৫ রানের পূঁজি পায় তামিমরা জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ১৫৩ রানে অল আউট হয় মুশফিকরা। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা দারুণ ছিল মুশফিকদের।

প্রথম ওভারেই আবু হায়দার রনিকে লেগ সাইডে ৪টি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ভালো করার ইঙ্গিত দেন এনামুল হক বিজয়। কিন্তু এরপরের ওভারেই রুবেল হোসেনের বলে বিদায় নেন তিনি। তারপর সৌম্য সরকারের সাথে দ্বিতীয় উইকেটে যোগ দেন মুশফিকুর রহীম।

তবে এই জুটি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। শফিউলের বলে দলীয় ৩২ রানে পয়েন্টে সাব্বিরের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন তিনি। এরপর মুশফিকও ফিরেছেন রুবেলের বলে উইকেটরক্ষক সোহানকে ক্যাচ দিয়ে।

চতুর্থ উইকেটে মোসাদ্দেক-ইমরুলের ব্যাটে বিপর্যয় সামাল দেয়ার চেষ্টা করে মুশফিকের দল। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে লং অফে রাজ্জাকের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন। পঞ্চম উইকেটে ইমরুলের সাথে যোগ দেন নাজমুল হোসান শান্ত।

দারুণ খেলতে থাকা ইমরুল কায়েস পেস বোলিং অলরাউন্ডার আরিফুলের ফুল ল্যান্থের বল সুইপ করতে গিয়ে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে আউট হন। দলের বিপর্যয়ে ব্যাট হাতে পারফর্ম করতে ব্যর্থ হয়েছেন মমিনুলও। তিনি আরিফুলের দ্বিতীয় শিকার হয়েছেন লং অনে রাজ্জাকের হাতে ক্যাচ দিয়ে।

শেষ দিকে মুশফিকদের জয়ের আশা অনেকটাই নিভিয়ে দেন টাইগার পেসার রুবেল হোসেন। আবুল হাসানকে আবু হায়দার রনির দুর্দান্ত ক্যাচে ফেরানোর পর শান্তকে মিড উইকেটে মাহমুদুল্লাহর ক্যাচ বানিয়েছেন এই পেসার।

আর আবু জায়েদ রাহী ও নাজমুল অপুকে ফিরিয়ে ইনিংস গুটিয়ে দেন মিরাজ। ফলে ১৮ ওভারে ১৫৩ রানে অল আউট হয় মুশফিকের দল। এর আগে ব্যাট হাতে দারুণ খেলে তামিম-লিটন-সাব্বিররা বড় সংগ্রহ দাঁড় করান।

মুশফিকের দলঃ মমিনুল হক, ইমরুল কায়েস, আবুল হাসান রাজু, আনামুল হক বিজয়, আবু জায়েদ রাহি, মুস্তাফিজুর রহমান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মোসাদ্দেক হোসেন, সৌম্য সরকার, নাইম হাসান এবং মুশফিকুর রহিম। 

তামিমের দলঃ সাব্বির রহমান, লিটন দাস, আরিফুল হক, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মেহেদি হাসান মিরাজ, রুবেল হোসেন, শফিউল ইসলাম, আবু হায়দার রনি, নুরুল হাসান, সাদমান ইসলাম, তাইজুল ইসলাম।