রশিদের ক্যামিও ইনিংসে হায়দ্রাবাদের লড়াকু পুঁজি

ছবি:

আইপিএলে সাবেক দল কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠেছিলেন টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। রানটাকে বড় করতে পারেননি ভাগ্যের সহায় তা থাকায়। ফলে শঙ্কা জেগেছিল হায়দ্রাবাদের বড় সংগ্রহ নিয়েও।
তবে, ব্যাট হাতে ক্যামিও ইনিংস খেলে হায়দ্রাবাদকে বড় সংগ্রহ এনে দিয়েছেন আফগান অলরাউন্ডার রশিদ খান। আর তাতেই নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে দলটি। এই ম্যাচের শুরুতে টসে জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন কলকাতার দলপতি দীনেশ কার্তিক।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ঋদ্ধিমান সাহা ও শিখর ধাওয়ানের ব্যাটে দারুণ শুরু পায় হায়দ্রাবাদ। এই দুজনে ওপেনিং জুটিতে যোগ করেন ৫৬ রান। তারপর ৩৪ রান করা ধাওয়ান কুলদীপ যাদভের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে আউট হন।
অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনও বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি। তিনি মাত্র ৩ রান করে যাদভের দ্বিতীয় শিকার হয়েছেন। উইলিয়ামসন ফেরার পর সাহার সাথে যোগ দেন টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।

তবে বেশিক্ষণ সাকিবকে সঙ্গ দিতে পারেননি এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। তিনি ৩৫ রান করে চাউলার বলে স্টাম্পিং হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন। ব্যক্তিগত ২৮ রানে রান আউট হয়ে ফিরেন সাকিব।
এই অলরাউন্ডারের ফিরে যাওয়ার পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে হায়দ্রাবাদ। তবে দুই লোয়ার মিডেল অর্ডার ব্যাটসম্যান রশিদ খান ও ভুবনেশ্বর কুমারের দৃঢ়তায় নির্ধারিত ২০ ওভারে হায়দ্রাবাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রান।
রশিদ শেষ পর্যন্ত মাত্র ১০ বলে ৩৪ রান করে অপরাজিত থাকেন, ভুবনেশ্বর মাঠ ছাড়েন ২ বলে ৫ রান নিয়ে। কলকাতার হয়ে কুলদীপ যাদভ ২টি ও ১টি করে উইকেট দখল করেন সুনীল নারিন, পীযুষ চাউলা ও শিভম মভি। হায়দ্রাবাদের দুই ব্যাটসম্যান রান আউট হয়েছেন।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ (একাদশ):
শিখর ধাওয়ান, কেন উইলিয়ামসন (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান, ইউসুফ পাঠান, দীপক হুদা, রিদ্ধিমান সাহা (উইকেটরক্ষক), কার্লোস ব্র্যাথওয়েট, ভুবনেশ্বর কুমার, রশিদ খান, সিদ্ধার্থ কউল, খলিল আহমেদ।
কলকাতা নাইট রাইডার্স (একাদশ):
সুনীল নারাইন, ক্রিস লিন, রবিন উথাপ্পা, নিতীশ রানা, দিনেশ কার্তিক (অধিনায়ক), শুভম্যান গিল, আন্দ্রে রাসেল, পিযুশ চাউলা, কুলদীপ যাদব, প্রসিধ কৃষ্ণ, শিবম মভি।