লর্ডসে আবারো বিতর্কে পাকিস্তানিরা

ছবি:

ইংল্যান্ডে খেলতে গিয়ে ফের বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন পাকিস্তানী ক্রিকেটাররা। যেকারণে শাস্তির মুখে পরতে পারেন পাকিস্তানের দুই ক্রিকেটার। লর্ডস টেস্টের প্রথম দিন স্বাগতিক ইংলিশরা অলআউট হয়েছে মাত্র মাত্র ১৮৪ রানে।
এদিন বল হাতে দুর্দান্ত ছিলেন পাকিস্তানী বোলাররা। সঙ্গে ফিল্ডিংও দারুণ করেছেন তারা। আর ফিল্ডিংয়ের সময়েই বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন পাকিস্তানের দুই ক্রিকেটার আসাদ শফিক এবং বাবর আজম।
দুজনই অ্যাপেল ব্রান্ডের স্মার্ট ওয়াচ পরে ফিল্ডিং করছিলেন। যা ক্রিকেটে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কারণ সাধারণত এসব ঘড়িতে ইন্টারনেট সংযোগ থাকে যার মধ্যে দিয়ে ক্রিকেটাররা ফিক্সার এবং বিভিন্ন বেটিং ওয়েব সাইটের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
আইসিসির অ্যান্টি করাপশন ইউনিটের অফিসের পিটার ও'শে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন যে, মাঠে অ্যাপলের এসব ঘড়ি পরে নামা সম্পূর্ণ রুপে নিষিদ্ধ। কোন ক্রিকেটার এমন করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পরবর্তীতে ম্যাচ চলাকালীন সময়ে পাকিস্তানী ক্রিকেটারদের এই ব্যাপারে সতর্ক করা হয়। যেকারণে ঘড়ি খুলেই ফিল্ডিং করতে নামেন তারা দুইজন। এই ব্যাপারে পাকিস্তানী পেসার হাসান আলী জানান,
'অ্যান্টি করাপশন অফিসিয়ালরা আমাদের কাছে এসে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত করার পর আমরা জানতে পারি। পরবর্তীতে এমন ভুল আর করবোনা আমরা।'
এছাড়াও পাকিস্তানী ফিল্ডারদের আঙ্গুলে কয়েক ধরনের টেপ লাগানো ছিল, যা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বল টেম্পারিং করার সময় ডেভিড ওয়ার্নের হাতেও ছিল। যদিও এখন পর্যন্ত টেম্পারিংয়ের কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে আরও দুইবার ইংল্যান্ডে গিয়ে বিতর্কে পরতে হয়েছে পাকিস্তান দলকে। ২০০৬ ওভাল টেস্টে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ইনজামাম উল হকের নেতৃত্বে মাঠ ছেড়ে বের হয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান দল।
এছাড়াও ২০১০ সালের লর্ডস টেস্টে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের দায়ে পাকিস্তানের তিন ক্রিকেটার মোহাম্মদ আমির, মোহাম্মদ আসিফ এবং সালমান বাটকে ক্রিকেট থেকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়।