বাংলাদেশের বিশ্বকাপ ভাবনায় কারস্টেন

ছবি:

তিন দিনের সফরে রবিবার রাতেই ঢাকায় পা রেখেছেন গ্যারি কারস্টেন। প্রথমে বাংলাদেশ দলের পরামর্শক হিসেবে কাজ করার কথা থাকলেও, তিনি দীর্ঘ মেয়াদে কাজ করতে চাচ্ছেন না বলেই জানা গেছে। আপাতত কোচ নিয়োগের ব্যাপারেই সহায়তা করবেন তিনি।
সংবাদ মাধ্যমের সাথে আলাপকালে একথার সত্যতা স্বীকার করেছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন সুজন। মূলত কারস্টেন বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকার কারণেই সল্প মেয়াদে বাংলাদেশ দলের সাথে কাজ করবেন তিনি।
"উনি পরামর্শক হিসেবে কাজ করছেন। আগে আমাদের পরিকল্পনা ছিলো উনি দীর্ঘ মেয়াদে আমাদের সাথে কাজ করবেন, বিশ্বকাপ পর্যন্ত; প্রাথমিকভাবে তিনি সম্মতিও দিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে উনার অন্যান্য কাজের ব্যস্ততার কারণে তিনি জানিয়েছেন যে, আপাতত কোচ নিয়োগ প্রক্রিয়া পর্যন্ত তিনি আমাদের সাথে কাজ করবেন।"

বাংলাদেশ দলের কোচ নির্বাচনে সহায়তা করার সাথে, আইসিসি বিশ্বকাপ, ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টিকে সামনে রেখে কিভাবে দলকে উন্নত করা যায় তার পরামর্শ দেবেন ভারতের এই বিশ্বকাপ জয়ী কোচ। এই বিষয়ে বোর্ডকে প্রতিবেদন জমা দেবেন বলেও জানিয়েছেন নিজাম উদ্দিন সুজন।
"আসলে গ্যারি কারস্টেন আপাতত বাংলাদেশ দলের একটি ‘ইন্টার্নাল অডিট’ করছেন। সামনে আইসিসির যে সব কম্পিটিশন আছে, আইসিসি বিশ্বকাপ, ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টি; এগুলো সামনে রেখে কিভাবে বাংলাদেশ দলকে উন্নত করা যায়, কোন কোন জায়গায় কাজ করতে হবে, এই বিষয়গুলো পর্যালোচনা করছেন। তিনি বোর্ডকে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিবেন।"
কোচ নিয়োগের চেয়ে দল পর্যালোচনাকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে বিসিবি। এরই ধারাবাহিকতায় টাইগারদের তিন সিনিয়র খেলোয়াড় তামিম, মাশরাফি ও মুশফিকের সাথে আলোচনায় বসেছিলেন কারস্টেন। দল নির্বাচক ও বোর্ড পরিচালকদের সাথেও আলাদা করে বসার পরিকল্পনা রয়েছে তার। এই ব্যাপারে সব রকমের সহযোগীতা করছে বিসিবি। এমনটাই জানিয়েছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী।
"টিম পর্যালচোনাটা আমাদের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। উনি ইন্টারনাল অডিট করছেন, এতে আলাদা প্রত্যেক খেলোয়াড়ের সঙ্গে উনি বসার চেষ্টা করছেন। এ ছাড়া জাতীয় দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গেও উনি বসবেন। বিশেষ করে দল নির্বাচক, বোর্ড পরিচালকদের সঙ্গে আলাদা আলাদাভাবে বসার পরিকল্পনাও তার রয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি আপনাদের জানাতে চাচ্ছি যে, উনি খুব স্বাধীনভাবে কাজ করতে চাচ্ছেন এবং সেভাবেই তিনি কাজ করছেন। উনাকে শুধুমাত্র আমরা লজিস্টিক সাপোর্ট দিচ্ছি। উনার যার সাথে প্রয়োজন, তার সাথে যোগাযোগ করে তিনি নিজেই মিটিং টাইম ঠিক করে নিচ্ছেন।"