আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হোক বা ফ্র্যাঞ্চাইজি লীগ যেকোন জায়গাতেই বর্তমানে লেগ স্পিনারের চাহিদা অনেক বেশী। বিগত কয়েক বছর ধরে সব ফরম্যাটেই রাজত্ব করে আসছেন লেগ স্পিনাররা।

বল হাতে নানা ভেরিয়েশন এবং ব্যাটসম্যানকে বোকা বানিয়ে উইকেট তুলে নিতে বেশ পারদর্শী লেগ স্পিনাররা। তাই তাদের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবদলেই দুই তিনজন করে লেগ স্পিনার রয়েছে যারা জাতীয় দল এবং ফ্র্যাঞ্চাইজি লীগে নিয়মিত খেলে যাচ্ছেন। আফগানিস্তান-নেপালের মত দেশ গুলো থেকেও উঠে আসছে বিভিন্ন লেগ স্পিনার।

যারা আইপিএলের মত ফ্র্যাঞ্চাইজি লীগে খেলে নিজেদেরকে সারা বিশ্বের কাছে পরিচিত করে তুলছেন। এছাড়াও ২০১৯ বিশ্বকাপে উইকেটের কথা মাথায় রেখেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দলগুলো লেগ স্পিনারদেরকে বেশী বেশী সুযোগ দিচ্ছেন।

কারন ইংলিশ কন্ডিশন এবং উইকেটের কথা বিবেচনা করে সেখানে ফিঙ্গার স্পিনার বা অফ স্পিনারের চাহিদা অনেক কম। যেকারণে এশিয়ার দলগুলো বিশেষ করে লেগ স্পিনারদের পাকাপোক্ত করে তুলতে উঠে পরে লেগেছেন।

পাকিস্তান, ভারত, শ্রীলংকা বা আফগানিস্তান সব দলের তুলনায় বাংলাদেশের চিত্রটা খানিকটা ভিন্ন। কারন এখনও এমন কোন লেগ স্পিনার বাংলাদেশ খুঁজে পায়নি যারা দেশের জন্য সেরাটা দিতে প্রস্তুত।

মাঝে জুবাইর হোসেন লিখন বা তানবীর হায়দাররা এলেও সময়ের সাথে সাথে নিজেদের মানিয়ে নিতে না পারায় হারিয়ে গিয়েছেন দ্রুত। কিন্তু এতেও টনকনড়েনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের।

ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে সব দল লেগ স্পিনার নিয়ে গেলেও হয়তো টাইগারদের যেতে হবে কোন লেগ স্পিনারকে ছাড়াই। বাংলাদেশের লেগ স্পিনারের অভাব কে মেটবে, এটাই এখন ক্রিকেট পাড়ার আলোচিত বিষয়।

সম্প্রতি ইংল্যান্ডে তানভির হাসান সোহাগ নামের বাংলাদেশী বংশদ্ভুত এই লেগ স্পিনারের খোজ মিলেছে। ইংল্যান্ডের স্থানীয় ক্লাবে চিংফোর্ডের হয়ে নিয়মিত খেলে যাচ্ছেন তানভির হাসান সোহাগ।

ক্লাবটির হয়ে তিন বছর ধরে খেলছেন এই লেগ স্পিনার। যেখানে নিজের প্রথম বছরেই সর্বোচ্চ উইকেট নিয়ে বানি সুইনফেন ট্রফিও জিতেছেন তিনি। ক্লাবটির হয়ে ৬২ ম্যাচ খেলে ১২১ নেয়া এই স্পিনার গেল বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ছিলেন ভারতীয় দলের সঙ্গে।

সেখানে তাদের নেট বোলার হিসেবে কাজ করেছেন তানভির। তাই বলা যায় বাংলাদেশের ছেলে হয়ে বিদেশে গিয়ে খেলা এই স্পিনারকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড চাইলে দেশে নিয়ে এসে কাজে লাগাতে পারে এবং লেগ স্পিনারের ঘাটতিও মেটাতে পারে।