কেমন গেল মুস্তাফিজের আইপিএল মিশন?

ছবি:

২০১৬ সালে হায়দ্রাবাদকে শিরোপা জেতানোর ক্ষেত্রেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। সেই আসরে সেরা উদীয়মান ক্রিকেটারের পুরষ্কার পাওয়া মুস্তাফিজকে তাই পরবর্তী আসরেও রেখে দিয়েছিলো হায়দ্রাবাদ কর্তৃপক্ষ।
তবে অবাক করা বিষয় হলো সেবার মাত্র ১টি ম্যাচে তাঁকে মাঠে নামিয়েছিলো হায়দ্রাবাদ টিম ম্যানেজমেন্ট। সুতরাং ধরেই নেয়া গিয়েছিলো আইপিএল ১১ তে আর তাঁকে রিটেইন করছে না সানরাইজার্সরা।
শেষ পর্যন্ত অবশ্য এটাই হয়েছে। দুই আসরে হায়দ্রাবাদের হয়ে খেলা ফিজকে এবারের টুর্নামেন্টে দলে ভিড়িয়েছিলো মুকেশ আম্বানির মালিকানাধীন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। কিন্তু মুম্বাইয়ের আস্থার প্রতিদান কি খুব বেশি দিতে পেরেছেন মুস্তাফিজ? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে খুব বেশি দূরে যেতে হবে না।
ফিজের বোলিং পরিসংখ্যান ঘাঁটলেই বোঝা যাবে বিষয়টি। মুম্বাইয়ের পক্ষে এবারের আসরে প্রথম ছয় ম্যাচে টানা খেলেছিলেন মুস্তাফিজ। কিন্তু এই ছয় ম্যাচে তেমন একটা মেলে ধরতে পারেননি নিজেকে। প্রথম দুই একটি ম্যাচে বল হাতে কিছুটা ঝলক দেখালেও ধীরে ধীরে অনেকটাই নিষ্প্রভ হয়ে পড়েন তিনি।
প্রথম ছয় ম্যাচে ৭ উইকেট নিলেও মুম্বাইয়ের প্রত্যাশা অনুযায়ী বল করতে পারেননি ফিজ। বোলিংয়ের পাশাপাশি ফিল্ডিংয়েও বেশ বিবর্ণ ছিলেন টাইগার এই পেসার। তাঁর কারণেই ক্যাচ মিসের মাশুলও গুণতে হয়েছিলো দলকে।
আর এহেন পারফর্মেন্সের পর স্বাভাবিকভাবেই তাঁকে টানা ৭টি ম্যাচে একাদশে রাখার কথা ভাবেনি মুম্বাইয়ের টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে নিজেদের ১৪তম এবং সর্বশেষ ম্যাচে আবারো মুস্তাফিজের ওপর আস্থা রেখেছিলো মুম্বাই।
দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের বিপক্ষে এই ম্যাচটিতে জিততে পারলে প্লে অফের স্বপ্ন বেঁচে থাকতো রোহিত শর্মার দলটির। এমন এক সমীকরণের সামনে থেকেই রবিবার মাঠে নেমেছিলো মুস্তাফিজরা।
আর এদিন অনেক বড় একটি সুযোগ ছিলো মুস্তাফিজের সামনে আবারো নিজেকে প্রমাণ করার। কিন্তু সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। এই ম্যাচে ৪ ওভার বোলিং করে ৩৪ রানে উইকেট শুন্য ছিলেন ফিজ।
অবশ্য শুধু মুস্তাফিজই নন, বাকি পেসাররাও এদিন তেমন সুবিধা করতে পারেননি। জাসপ্রিত বুমরাহ ৪ ওভারে ২৯ রানে ১ উইকেট নিতে পারলেও হার্দিক পান্ডিয়া এবং বেন কাটিংও রান দিয়েছেন ৩০ ঊর্ধ্ব এবং ছিলেন উইকেট শুন্য।
বোলাররা ছাড়াও ব্যর্থ ছিলেন ব্যাটসম্যানেরাও। দিল্লির ছুঁড়ে দেয়া ১৭৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১৬৩ রানেই অলআউট হয়ে গিয়েছিলো মুম্বাই। এভিন লুইসের ৪৮ এবং বেন কাটিংয়ের ৩৭ রান ছাড়া আর কেউই তেমন বলার মতো রান করতে পারেননি।
আর এই পরাজয়ের ফলে ব্যর্থতার দায়ভার নিয়েই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হয়েছে রোহিত বাহিনীকে। আর এর ভাগীদার হতে হয়েছে মুস্তাফিজকেও। তবে আদতে টুর্নামেন্ট শেষে মুস্তাফিজের বোলিং পারফর্মেন্স কিন্তু খুব একটা খারাপ ছিলো না পরিসংখ্যান অনুযায়ী।
আইপিএল ১১ তে দিল্লির ম্যাচটি সহ মোট ৭টি ম্যাচ খেলে ৭ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। যেখানে তাঁর ইকোনমি রেট ৮.৩৬। টি টোয়েন্টি ফরম্যাটের বিচারে এই রেট একেবারেই মন্দ নয়। আর সেরা বোলিং ফিগার ৩/২৪। কিন্তু মূলত গত কয়েক ম্যাচে আশানুরূপ পারফর্ম করতে না পারার কারণে ফিজকেই হয়তো বলির পাঁঠা হতে হবে অনেকের কাছে।

আইপিএল-১১ তে মুস্তাফিজের পারফর্মেন্সঃ
ম্যাচ সংখ্যা |
ওভার সংখ্যা |
ইকোনমি রেট |
উইকেট সংখ্যা |
সেরা |
৭ |
২৭.৩ |
৮.৩৬ |
৭ |
৩/২৪ |