প্লে অফের দৌড়ে ছিটকে পড়লো মুম্বাই

ছবি:

প্লে অফ খেলা হলনা মুম্বাইয়ের। টানা হারের পর দাপুটে সব জয়ের পরও শেষ রক্ষা হলনা তাদের। দিল্লির বিপক্ষে নিজেদের শেষ ম্যাচে ১১ রানের ব্যবধানে হেরেছে তারা। দিল্লির দেয়া ১৭৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে রোহিত শর্মার দল ৩ বল বাকি থাকতেই অল আউট হয়েছে ১৬৩ রানে।
মুম্বাইয়ের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ওপেনার এভিন লুইসের ৪৮ ছাড়া আর কেউই বলার মতো রান করতে পারেননি। শেষ দিকে হার্দিক পান্ডিয়া ২৭ ও বেন কাটিংয়ের ৩৭ রান কিছুটা আশা জাগালেও দিল্লির স্পিনারদের ঘুর্নিতে কেউই পাত্তা পাননি।
দিল্লির বোলাররা একে অপরকে ছাড়িয়ে যাওয়ার লড়াইয়ে নেমেছিলেন। নেপালি স্পিনার সন্দ্বীপ লামিচান ৪ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নিয়েছেন। তাছাড়া হার্শাল প্যাটেল ২.৩ ওভারে ২৮ রান দিয়ে ও অমিত মিশ্র ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে ৩ টি করে উইকেট দখল করেন। বাকি ১ টি উইকেট গেছে ট্রেন্ট বোল্টের ঝুলিতে।
এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রান তোলে দিল্লি। আগের ম্যাচে চেন্নাইকে হারানো দিল্লি এদিন ছিল বেশি আগ্রাসী। দুই ওপেনার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও পৃথ্বী শ ওপেনিং জুটিতে তোলেন ৩১ রান।
সাত ম্যাচ পর একাদশে সুযোগ পাওয়া টাইগার পেসার মুস্তাফিজুর রহমান নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে না পারলেও, তার করা চতুর্থ ওভারের প্রথম বলেই রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরেন পৃথ্বী শ (১২)।

উইকেটে বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও। এই হার্ডহিটার মুম্বাইয়ের পেসার বুমরাহর বলে ২২ রান করে বোল্ড হলে ৩৮ রানেই দুই উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে দিল্লি। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৩৭ রান করে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন অধিনায়ক আইয়ার এবং উইকেটরক্ষক পান্ট।
আইয়ার ৬ রান করে ফিরে গেলে চতুর্থ উইকেট জুটিতে ভিজয় সঙ্করকে নিয়ে ৬৪ রানের জুটি গড়েন পান্ট। আর তাতেই লড়াইয়ের বড় পুঁজি পায় দিল্লি। পান্ট শেষ দিকে ৪টি চার এবং ৪টি ছয়ে পান্ডিয়ার বলে ৬৪ রান করে আউট হয়েছেন।
পান্ট ফিরলেও বিজয় শঙ্করের ৩০ বলে ৪০ এবং অভিষেক শর্মার ১০ বলে ১৫ রানে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় দিল্লি। মুম্বাইয়ের হয়ে ১ টি করে উইকেট নিয়েছেন ক্রুণাল পান্ডিয়া, জসপ্রিত বুমরাহ ও মায়াঙ্ক মারকান্দে। মুস্তাফিজুর রহমান ৩৪ রান দিয়ে থাকেন উইকেট শুন্য।
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স একাদশ-
সুরিয়াকুমার যাদব, এভিন লুইস, ইশান কিশান (উইকেটরক্ষক), রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), ক্রুনাল পান্ডিয়া, কাইরন পোলার্ড, হার্দিক পান্ডিয়া, বেন কাটিং, মায়াঙ্ক মারকান্দে, জাসপ্রিত বুমরাহ, মুস্তাফিজুর রহমান।
দিল্লি ডেয়ারডেভিলস একাদশ-
পৃথ্বী শ, স্রেয়াশ আইয়ার (অধিনায়ক), রিশাভ পান্ট (উইকেটরক্ষক), গ্ল্যান ম্যাক্সওয়েল, বিজয় শঙ্কর, অভিষেক শর্মা, হার্শাল প্যাটেল, অমিত মিশ্রা, সন্দ্বীপ লামিচানে, ট্রেন্ট বোল্ট, লিয়াম প্ল্যাংকেট।