ইতিহাস গড়া ম্যাচেও হারল বাংলাদেশ

ছবি:

টি২০ ক্রিকেটে এতদিন অর্ধশতক বাংলাদেশের মেয়েদের অধরাই ছিল। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা নারী দলের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি২০তে প্রথম বারের মতো অর্ধশকের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। ব্যাটসম্যান শামীমা সুলতানার ব্যাটে ধরা দিয়েছে সেই অধরা অর্ধশতক।
তবে এই ম্যাচেও হেরে মাঠ ছাড়তে হয়েছে বাংলাদেশের মেয়েদের। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১৭০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৩২ রানে হেরেছে তারা। ফলে সহজ জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ২-০ ব্যবধানে সিরিজ নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েরা।
১৭০ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৩৭ রানে থেমেছে বাংলাদেশের ইনিংস। যা বাংলাদেশ নারী দলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ সংগ্রহ। এর আগে ২০১৬ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৬ উইকেটে ১১৭ রান করেছিল বাংলাদেশের মেয়েরা।
ব্লুমফন্টেইনের ম্যানগাউং ওভালে শনিবার টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি প্রোটিয়াদের। তারা দলীয় ৪ রানেই হারিয়েছে ওপেনার লিজেলি লিকে। ম্যাচের প্রথম বলেই চার দিয়ে শুরু করা লিকে ম্যাচের দ্বিতীয় বলেই ফিরিয়ে দেন নাহিদা আক্তার।

আরেক ওপেনার তাজমিন ব্রিটসকে ফেরান পান্না ঘোষ। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ফন নিকার্কের সঙ্গে সুনে লুসের ৯৬ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহের স্বপ্ন দেখে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৪২ বলে ১১টি চার ও একটি ছক্কায় ৬৬ রান করা নিকার্ককে বোল্ড করে জুটি ভাঙেন নাহিদা।
ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধশতক তুলে নায় লুস টাইগার বোলার পান্নার দ্বিতীয় শিকার। ৫৭ বলে ৯টি চারে ৭১ রান করে আউট হয়েছেন লুস। জোড়া অর্ধশতকে ৪ উইকেটে ১৬৯ রানের বড় সংগ্রহ গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। বাংলাদেশের হয়ে নাহিদা ও পান্না ২ টি করে উইকেট দখল করেন।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে কোনো রান না করেই সাজঘরে ফিরেন ওপেনার সানজিদা ইসলাম। এরপর রুমানা ফিরেছেন মাত্র ৫ রান করে। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৭৭ রান যোগ করে প্রতিরোধ গড়েন শামীমা ও ফারজানা হক।
৩৭ বলে চারটি চারে ৩৭ রান করে ফারজানা ফিরে গেলে আবারও চাপে পড়ে বাংলাদেশ দল। ৩৯ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়ে, ৪৩ বলে খেলা ৫০ রান করে আউট হয়েছেন শামীমা সুলতানা। তার এই ঐতিহাসিক ইনিংসটি ৬টি চার ও একটি ছক্কায় সাজানো ছিল।
শেষের দিকে নিগার সুলতানা, ফাহিমা খাতুন আর পান্নার ব্যাটে পরাজয়ের ব্যবধানই শুধু কমাতে পেরেছে বাংলাদেশ। জয়ের দেখা পাওয়া হয়নি। একই ভেন্যুতে রবিবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশের নারীরা।