রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে বল হাতে ব্যর্থ হয়েছেন টাইগার তারকা সাকিব আল হাসান। এই অলরাউন্ডারের ব্যর্থতার দিনে অন্য বোলাররাও ছিলেন বেশ খরুচে। ফলে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২১৮ রান সংগ্রহ করে বেঙ্গালুরু।

হায়দ্রাবাদের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে খরুচে ছিলেন বাসিল থাম্পি। তিনি ৪ ওভারে ৭০ রান দিয়ে থাকেন উইকেট শুন্য। তাছাড়া সন্দিপ শর্মা ও সিদ্ধার্থ কউল ওভার প্রতি দশের উপরে রান দিয়েছেন।

এদিকে,  এই ম্যাচের শুরুতে টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন হায়দ্রাবাদ দলপতি কেন উইলিয়ামসন। আগে ব্যাট করতে নেমে অবশ্য শুরুটা ভালো হয়নি বেঙ্গালুরুর তারা দলীয় ৬ রানেই ওপেনার পার্থিব প্যাটেলের উইকেট হারায়।

এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মাত্র ১ রান করে সন্দিপ শর্মার বলে সিদ্ধার্থ কউলের হাতে থার্ডম্যানে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন। বেঙ্গালুরুর দলপতি ভিরাট কোহলি মাত্র ১২ রান করে রশিদ খানের বলে বোল্ড হয়ে আউট হন।

অবশ্য তৃতীয় উইকেট জুটিতে ১০৭ রান যোগ করে প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেয়ার সাথে বড় সংগ্রহের ইঙ্গিত দেন এবি ডি ভিলিয়ার্স ও মঈন আলী। ভিলিয়ার্স মাত্র ৩৯ বলে ৬৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে ডিপ স্কয়ার লেগে ধাওয়ানকে ক্যাচ দিয়েছেন রশিদ খানের বলে।

মঈন আলীকে নিজের তৃতীয় শিকার বানিয়েছেন রশিদ। ৩৪ বলে ৬৫ রান করা মঈন উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন। তারপর শেষদিকে গ্র্যান্ডহোমের ঝড়ো ১৭ বলে ৪০ ও সরফরাজ খানের ৮ বলে ২২ রানের ইনিংসে বড় পুঁজি পায় বেঙ্গালুরু। হায়দ্রাবাদের হয়ে রশিদ খান ৩ টি, সিদ্ধার্থ কউল ২ টি ও সন্দিপ শর্মা ১ টি উইকেট দখল করেন।

সানরাইজার্স হায়দরাবাদঃ

শিখর ধাওয়ান, অ্যালেক্স হেলস, কেন উইলিয়ামসন (অধিনায়ক), মনিশ পান্ডে, দীপক হুদা, সাকিব আল হাসান, শ্রীভাতস গোস্বামী (উইকেটরক্ষক), রশিদ খান, সিদ্ধার্থ কউল, সন্দীপ শর্মা, বাসিল থাম্পি।

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুঃ 

ভিরাট কোহলি (অধিনায়ক), পার্থিব প্যাটেল (উইকেটরক্ষক), মঈন আলী, এবি ডি ভিলিয়ার্স, মানদীপ সিং, সরফরাজ খান, কলিন দ্য গ্র্যান্ডহোম, টিম সাউদি, উমেশ যাদব, মোহাম্মদ সিরাজ, যুজভেন্দ্র চাহাল।