ক্রিকেটে ফিরতে চান রবিউল

ছবি:

২০১০ সালে লর্ডসে সাদা পোষাকে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক হয় টাইগার পেসার রবিউল ইসলামের। তবে উইকেট নিয়ে শুরুটা রাঙাতে পারেননি তিনি। তবে দারুণ গতির সাথে বাউন্স দিতে পারা এই পেসারের উপর বিশ্বাস ছিলো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)।
সেই আস্থার প্রতিদানই দিয়েছিলেন ২০১৩ সালে জিম্বাবুয়ে সফরে। ২ ম্যাচে ১৫ উইকেট নিয়ে সিরিজের সেরা বোলার হিসেবে সিরিজ সেরার পুরষ্কার জিতেছিলেন তিনি। যা প্রথম বারের মতো কোনো টাইগার পেসার করে দেখিয়েছিলেন।
২০১৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের পর হুট করেই ছন্দ পতন হয় তার। ইনজুরি আর অফফর্মে জায়গা হারিয়ে বসেন জাতীয় দলে। অনিয়মিত হয়ে পড়েন ঘরোয়া ক্রিকেটেও। গত সাড়ে তিন বছরে মাত্র ৪ টি ম্যাচ খেলেছেন সেখানে।
তারপরও এই পেসার জাতীয় দলে ফেরার স্বপ্ন দেখেন এখনও। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি একটি ফিটনেস ট্রেনিংয়ের জন্য বিসিবির সহযোগীতা চেয়েছেন। এটা তাকে মাঠে ফেরাতে সাহয্য করবে বলে বিশ্বাস রবিউলের।

"ক্রিকেট ছাড়ার কোনো ইচ্ছে আমার নেই। ক্রিকেট বোর্ড যদি আমাকে এক দেড় মাসের একটি ফিটনেস ট্রেনিংয়ের সুযোগ করে দেয় তাহলে আমার জন্য অনেক উপকার হবে। ক্রিকেটে এখনও আমার দেয়ার মতো অনেক কিছু আছে।"
দল থেকে যে সময় বাদ পড়েছেন, তখন খেলার মতো ফিট ছিলেন বলেই বিশ্বাস রবিউলের। প্রশ্ন তুলেছেন সেই সময় বাদ পড়ার প্রক্রিয়া নিয়েও। নিজের সেই সময়ের পারফরমেন্স প্রসঙ্গে এই পেসার বলেছেন,
"এখন হয়তো ফিট না আমি। তবে, যে সময় বাদ পড়েছিলাম সেই সময় যে আমি ফিট ছিলাম না এটা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আমি একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছিলাম। টানা ১৩ ওভার বোলিং করেছিলাম। নিয়েছিলাম ২ উইকেট।"
ঢাকা প্রিমিয়ার লীগের কোনো দলে তার জায়গা হয়না। জায়গা পাননি প্রথম বিভাগের কোনো দলেও। একসময় প্রথম বিভাগের দল ইন্দিরা রোড তার প্রতি আগ্রহ দেখালেও, অজানা কারণে দলটি তার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। তা নিয়ে আক্ষেপ করে রবিউল বলেছেন,
"প্রথম বিভাগে ইন্দিরা রোড যখন আমাকে সাড়া দিয়েছিলো, তখন ভালো লেগেছিলো। ঢাকা প্রিমিয়ার লীগের ১২ দল, প্রথম বিভাগের দল ২০ টি। এদের মধ্যে ৩১ টি দলই আমাকে কোনো সাড়া দেয়নি, একটি দলতো সাড়া দিয়েছে। এই ভেবে আনন্দিত হয়েছিলাম। পরে অবশ্য তারা আমাকে জানিয়েছিলো, তারা আমাকে খেলাতে আগ্রহী না। ৯ ম্যাচে ২৫ উইকেট।"