তুষারে ম্লান লিটন-আফিফের সেঞ্চুরি

ছবি:

বাংলাদেশ ক্রিকেট লীগের চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচে দক্ষিণাঞ্চলের দেয়া ৪১৫ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে জয়ের জন্য চেষ্টাই করেনি পূর্বাঞ্চল। দিনের খেলা বাকি ছিল ৬০ ওভার। যদিও এই লক্ষ্যটা অসাধ্যই ছিল।
তবে, নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট হাতে দারুণ পারফরমেন্স করেছেন পূর্বাঞ্চলের দুই ব্যাটসম্যান লিটন দাস ও আফিফ হোসেন। এই দুজনের ব্যাটে সহজ ভাবেই ড্র করেছে দলটি।
লিটন-আফিফ দুজনই সেঞ্চুরি তুলে নিলেও ম্যাচের সব আলো নিজের করে নিয়েছেন বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের তারকা ব্যাটসম্যান তুষার ইমরান। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগের দিনের ৩ উইকেটে ১৪২ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামে দক্ষিণাঞ্চল।
শেষ দিনে ৯ রান যোগ করতেই সৌম্য সরকারের উইকেট হারায় দক্ষিণাঞ্চল। তারপর, চতুর্থ উইকেটে মোহাম্মদ মিঠুনের সঙ্গে জুটি গড়েন তুষার। এই দুজনের ব্যাটেই দ্বিতীয় ইনিংসে বড় পুঁজি পায় দক্ষিণাঞ্চল।
আগের দিন ৪৬ রানে অপরাজিত থাকা তুষার ইমরান এদিন ক্যারিয়ারের ২৮তম সেঞ্চুরি তুলে নেন। আগের ইনিংসেও সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে ক্যারিয়ারে প্রথম বারের মতো দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করলেন তিনি।

১৪৫ বলে ১২টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ১০৩ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। তুষার ইমরানের সঙ্গী মিঠুন খেলেন ৬৬ রানের ইনিংস। এর আগে সৌম্য আউট হয়েছেন ৩৫ রান করে। পূর্বাঞ্চলের হয়ে ৮২ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট নিয়েছেন সোহাগ গাজী।
২টি করে উইকেট নেন আবু জায়েদ রাহী ও মোহাম্মদ আশরাফুল। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি পূর্বাঞ্চলের। তারা দলীয় ১৯ রানেই ওপেনার ইমতিয়াজ হোসেনের উইকেট হারায়।
তারপর দ্বিতীয় উইকেটে আফিফ ও লিটনের অবিচ্ছিন্ন ২০৫ রানের জুটিতে ম্যাচ ড্র করে মাঠ ছাড়ে পুর্বাঞ্চল। মাত্র ১২৯ বলে ১১টি চার ও ৪টি ছক্কায় ফাস্ট ক্লাস ক্রিকেটের দশম সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ১১৩ রান করে অপরাজিত থাকেন জাতীয় দলের তারকা ব্যাটসম্যান লিটন দাস।
আর ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে ১৩১ বলে ১০টি চার ও ৩টি ছক্কায় ১০০ রান করে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন তরুণ অলরাউন্ডার আফিফ হোসেন। দক্ষিণাঞ্চলের হয়ে ১ টি উইকেট নিয়েছেন কামরুল ইসলাম রাব্বি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
(তৃতীয় দিন শেষে)
ইসলামী ব্যাংক দক্ষিণাঞ্চল
প্রথম ইনিংস : ৪০৩
দ্বিতীয় ইনিংস : ৩১১/৭ ডিঃ (নাফীস ২৪, বিজয় ০, মাহমুদ ৪২, তুষার ১০৩, সৌম্য ৩৫, মিঠুন ৬৬, নুরুল ১০, দেলোয়ার ০, নাঈম ৮*, রাজ্জাক ১৯* ; রাহী ২/৬৩, গাজী ৩/৮২, খালেদ ০/৩১, আশরাফুল ২/৬১, সাইফউদ্দিন ০/৫৩, আফিফ ০/১, কাপালী ০/১৮)।
প্রাইম ব্যাংক পূর্বাঞ্চল
প্রথম ইনিংস : ৩০০
দ্বিতীয় ইনিংস : ২২৪/১ (ইমতিয়াজ ৯, লিটন ১১৩*, আফিফ ১০০*; রাব্বি ১/৩২, নাঈম ০/৮৯, রাজ্জাক ০/৭৪, দেলোয়ার ০/১৬, মাহমুদ ০/১২)