উইকেটরক্ষক দাসের অর্ধশতক, সেঞ্চুরির পথে মাইশুকুর

ছবি:

সাভারে রেলিগেশন লীগের শেষ ম্যাচে মাঠে নেমেছে অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব এবং ব্রাদার্স ইউনিয়ন। বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টায় শুরু হওয়া এই ম্যাচে সৌম্য-নাফিসদের অগ্রণী ব্যাংকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় ব্রাদার্স ইউনিয়ন।
৪৯.২ ওভারে অলআউট হয়ে ব্রাদার্সকে ৩৩৫ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় সৌম্যরা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু করেন ব্রাদার্সের দুই ওপেনার জুনায়েদ সিদ্দিকী ও মিজানুর রহমান।
জুনায়েদ ৮৩ রান করে আউট হয়েছেন আব্দুর রাজ্জাকের বলে। আরেক ওপেনার মিজানুর ৪৫ বল খেলে নয়টি চার এবং দুটি ছয়ের সাহায্যে করেছেন ৬২ রান করে ফিরে গেছেন। মাইশুকুর রহমান ৭১ রান করে অপরাজিত আছেন।
তার সঙ্গী উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান দেবব্রত দাস মাত্র ৪৫ বলে দারুণ এক অর্ধশতকের করেছেন। এই রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত ব্রাদার্স ইউনিয়নের সংগ্রহ ৪৩.২ ওভারে ২ উইকেটে ২৮৬ রান।

এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেন অগ্রণী ব্যাংকের দুই ওপেনার সৌম্য সরকার এবং শাহরিয়ার নাফিস। উদ্বোধনী জুটিতে ৪৪ রান যোগ করে ২৪ রান করে নাফিস বিদায় নিলেও উইকেটে থিতু হয়ে খেলতে থাকেন সৌম্য।
বাকি ব্যাটসম্যানরা ভালো শুরুর পর উইকেট বিলিয়ে দিলেও সৌম্য নেন ফিফটি। অর্ধশতক হাঁকানোর পরও থেমে যাননি তিনি। তুলে নেন সেঞ্চুরি। শতক হাঁকানোর ইনিংসটাকে আরও লম্বা করতে থাকেন তিনি। খেলাঘরের বোলারদের বেধড়ক পিটিয়ে সৌম্য তুলে নেন দেড়শ।
লিস্ট 'এ' ক্রিকেটে এটি তার প্রথম দেড়শ। এরপর অবশ্য ১৫৪ রানে সাজঘরে ফিরেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ১২৭ বলে ৯টি চার এবং ১১টি ছক্কার সাহায্যে ইনিংসটি সাজান তিনি। সৌম্যর বিদায়ের পর অবশ্য বাকি ব্যাটসম্যানরা আসা যাওয়ার মধ্যেই ছিলেন।
শেষ ৪৯.২ ওভারে ৩৩৪ রানে অল আউট হয় সৌম্যরা। অগ্রণী ব্যাংকের পক্ষে রিশি ধাওয়ান ৮০ রান নিয়ে ক্রিজে অপরাজিত থাকেন। ব্রাদার্সের পক্ষে শাখাওয়াত হোসেন ৪৩ রান দিয়ে নেন ৩টি উইকেট।
ব্রাদার্স ইউনিয়ন স্কোয়াডঃ ইয়াসির আলী চৌধুরী, খালেদ আহমেদ, সোহরাওয়ার্দী শুভ, ইফতেখার সাজ্জাদ, মেহেদী হাসান রানা, শাকিল হোসেন, মেহরাব হোসেন জোশি, রনি হোসেন, নাজমুস সাদাত, অলক কাপালী, জুনায়েদ সিদ্দিক, মিজানুর রহমান, মাইশুকুর রহমান, নিহাদ-উজ-জামান।
অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব স্কোয়াডঃ আল আমিন হোসেন, ধীমান ঘোষ, সালমান হোসেন, শাহবাজ চৌহান, সাইমন আহমেদ, ইসলামুল আহসান, গোলাম কবীর, সৌম্য সরকার, শাহরিয়ার নাফীস, আব্দুর রাজ্জাক, শফিউল ইসলাম, আজমীর আহমেদ।