নতুন তাসকিন-মুস্তাফিজের খোঁজে চম্পাকা

ছবি:

এবারের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপটি খুব একটা ভালো যায়নি টাইগার যুবাদের। এই বিশ্ব আসরে ষষ্ঠ স্থান নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে তাদের। তবে, পুরো আসর জুড়েই বল হাতে চমক দেখিয়েছেন আফিফ হোসেন ধ্রুব-কাজী অনিকরা।
পরবর্তী যুব বিশ্বকাপের আসর বসবে ২০২০ সালে। তবে এখনই সেই বিশ্বকাপের জন্য পেসার বের করার কাজে লেগে পড়তে চান বিসবির এইচপি দলের কোচ চম্পাকা রামানায়েকে। তিনি অনূর্ধ্ব-১৮ বয়সী পেসারদের নিয়ে ১০ দিনের ক্যাম্প শুরু করেছেন।
মূলত এইচপির কোচ হলেও বিভিন্ন পর্যায়ের দল নিয়েই কাজ করেন চম্পাকা। এর আগেও দুটি ক্যাম্প আয়োজন করেছিলেন তিনি। এবার ভবিষ্যৎ প্রতিভা খোঁজার কাজে হাত দিয়েছেন এই লঙ্কান কোচ।

এই প্রসঙ্গে চম্পাকা জানিয়েছেন, ‘এই ক্যাম্পটা আসলে তরুণদের নিয়ে। তারা ১৮ বছরের কম বয়সের। তারা পরবর্তী অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের জন্য যোগ্য। তাই আমি তাদের নিয়ে ১০ দিনের জন্য ক্যাম্পের চিন্তা করলাম। আমি এর আগে দুটি ক্যাম্প করিয়েছি এবং আমি পরিকল্পনা করি জুনিয়র পর্যায় নিয়ে। তাই আমি অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ভবিষ্যত প্রতিভা খোঁজার কাজে হাত নিয়েছি। এটা আমার জন্য সনাক্তকরণ এবং নতুন তারকাদের জন্য উন্নতির মাধ্যম।’
চম্পাকা যুবা বোলারদের মধ্যে অনেক সম্ভাবনা দেখছেন। এদের মধ্যে যারা পরিশ্রম করবে তারাই ভালো করবে বলে বিশ্বাস তার, ‘তারা খুবই কাঁচা এবং কম বয়সের। তাদের সম্ভাবনা অনেক। এখন এই ছেলেদের যারা কঠোর পরিশ্রম করবে এবং সেটা চালিয়ে যাবে তারাই ভালো ভালো করবে।’
কয়েক বছরের মধ্যে নতুন তাসকিন-মুস্তাফিজরা উঠে আসবে বলে মনে করেন বিসিবির এই কোচ, ‘এইচপি এবং ‘এ’ দল থেকে অনেক নতুন বোলার উঠে এসেছে। তাই আশা করি পরবর্তী কয়েক বছরের মধ্যে আপনি নতুন কাউকে দেখতে পাবেন। তারা ঘরোয়া ক্রিকেট ভালো করছে। তাই আমি তাদের সম্ভাবনা দেখছি। তারা অবশ্যই উন্নতি করবে।’
তবে ১০ দিনের বিশেষ ক্যাম্পে চম্পাকা তরুণ পেসারদের ইন সুইং ও আউট সুইং নিয়ে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন। তারা উন্নতি করলে যেকোনো উইকেটে বল করতে শিখবে বলে মনে করেন তিনি।
চম্পাকা জানিয়েছেন, ‘ফাস্ট বোলারদের জন্য এটা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু এখানে যে পিচ তাতে আমাদের কিছু করার নেই। আমরা এতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। ইন-সুইং দিয়ে কিছু করতে হবে এবং রিভর্স-সুইং নিয়েও। তারা এটা শিখবে। বাংলাদেশের বেশির ভাগ পিচ এরকমই। তারা যে কোনো উইকেটে বল করতে শিখবে, যখন তারা উন্নতি করবে।’