আবাহনী মানেই ''জোর যার মুল্লুক তার''

ছবি:

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) সুপার লিগের বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে প্রাইম দোলেশ্বরকে ২০ রানে হারিয়েছে আবাহনী লিমিটেড। বিকেএসপিতে এনামুল হক বিজয় ও নাজমুল হোসেন শান্তর সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে রেকর্ড ৩৯৩ রান সংগ্রহ করে আবাহনী।
যা বাংলাদেশের লিস্ট 'এ' ক্রিকেটে দলীয় সর্বোচ্চ রান। এই পাহাড়সম রানের জবাবে বেশ ভালোই শুরু করেছিল প্রাইম দোলেশ্বর ৩০ ওভারে যখন তাদের রান ২ উইকেট হারিয়ে ২১৭। তখনই বৃষ্টির বাঁধায় বন্ধ হয় খেলা। তারপর আবারও বৃষ্টির মাঝেই ব্যাট করতে নামিয়ে দেয়া হয় দোলেশ্বরকে!
এমনটাই অভিযোগ করেছেন ক্রিকেটাররা। ৩৫ ওভারে তাদের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৭৮ রান। মানে, বৃষ্টির পর ৫ ওভারে তাদের করতে হতো ৬১ রান। তবে, ৩৪.১ ওভারে দোলেশ্বরের ইনিংস থামে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৪৪ রানে।
আবাহনী-প্রাইম দোলেশ্বরের বৃষ্টি বিঘ্নিত এই ম্যাচে ক্রিকেটারদের চেয়ে আবাহনীর কর্মকর্তাদের বেশি দাপট ছিল। আম্পায়ারদের বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়েই প্রশ্ন ছিল দোলেশ্বরের অধিনায়ক ফরহাদ রেজার। তবে, তার অভিযোগ আম্পায়ার নাদির শাহ কানেই তুলেন নি।

প্রাইম দোলেশ্বরের ইনিংসের মাঝে যখন বৃষ্টি হানা দেয় সেই সময় বৃষ্টি আইনে ১ রানে জিতেছিল তারা। তারপর বৃষ্টি শেষে দ্রুত খেলা শুরু করার জন্য আম্পায়ার্স কমিটিকে চাপ প্রয়োগ করেছেন আবাহনীর কর্মকর্তারা এমনটাই অভিযোগ উঠেছে।
আবাহনী কর্তাদের গলার জোড় বাড়াতে মাঠে উপস্থিত ছিলেন একদল ভাড়াটে সমর্থকও। এই ম্যাচে বৃষ্টি চলার মাঝেই উইকেট খোলা রাখার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। তারপর হঠাৎই খেলা শুরুর ঘোষণা দেন আম্পায়াররা।
প্রাইম দোলেশ্বরকে মাঠে নামার পর্যাপ্ত সময়ও দেয়া হয়নি। আর এটা নিয়েই প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করেছেন দোলেশ্বরের স্পিনার আরাফাত সানি। এই স্পিনার প্রতিবাদ দেখে অনেকেরই মনে পড়ে যেতে পারে নিদাহাস ট্রফিতে লেগ আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সাকিব আল হাসানের প্রতিবাদের কথা।
তবে এই প্রতিবাদ হালে পানি পায়নি। বাধ্য হয়েই মাঠে নামে দোলেশ্বরের দুই ব্যাটসম্যান। এই জয়ে আবাহনীর ক্রিকেটারদের চেয়ে কোনো অংশে কম অবদান নেই আবাহনী লিমিটেডের ক্লাব কর্তাদের।
সূত্রঃ ৭১ টিভি