শের-ই-বাংলায় হঠাৎ সাকিব-তামিমদের জরুরী সভা

ছবি:

নিদাহাস ট্রফির খেলা শেষে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন জাতীয় দলের বেশিরভাগ ক্রিকেটার। তবে বুধবার কোনো ম্যাচ ছিল না ডিপিএলের। তারপরও আজ ক্রিকেটারদের মিলন মেলা বসেছিল মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে।
ভর দুপুরে মিরপুর স্টেডিয়ামে এসে হাজির হয়েছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহদের মতো তারকারা। শুধু তারকারাই নন হাজির হয়েছিলেন ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা প্রায় সকল ক্রিকেটার।
সব ক্রিকেটাররা মিলেই শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের জিমনেশিয়ামে বসেছিলেন জরুরী এক সভায়। আলোচনার মূল বিষয়বস্তু ছিল ক্রিকেটার কল্যাণ সমিতি বা সংক্ষেপে কোয়াব। বর্তমানে বিসিবির অনেক সিদ্ধান্তের ব্যাপারে খেলোয়াড়েরা একমত নন।
সেই বিষয়গুলো নিয়েই বোর্ডের সাথে কথা বলার সামর্থ্য রাখে এই কোয়াবই। তবে এই সংগঠনটি বেশ কিছু দিন ধরেই নিষ্ক্রিয়। কোয়াবের সভাপতি নাঈমুর রহমান ও সহসভাপতি খালেদ মাহমুদ। দুজনই বিসিবির পরিচালক।

ফলে প্রশ্ন রয়েছে তাদের কর্ম ক্ষমতা নিয়েও। কোয়াবকে কার্যকর ও গতিশীল সংগঠনে রূপ দেয়ার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বাংলাদশ দলের টেস্ট ও টি২০ অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে।
তিনিই ক্রিকেটারদের সাথে আলোচনা করবেন কিভাবে কোয়াবকে এগিয়ে নেয়া যায়। আজ সেই আলোচনা সভায় মন খুলে নিজেদের সমস্যার কথা জানিয়েছেন সব ক্রিকেটাররা। আলোচনা সভায় দুটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সিদ্ধান্ত মতে, কোয়াবের একজন আইনি পরামর্শক ও অপারেশনস ম্যানেজার থাকবেন, যাদের প্রধান কাজ হবে খেলোয়াড়দের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে বোর্ড কিংবা সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হওয়া।
কোয়াবের বর্তমান কমিটি গঠিত হয়েছে প্রায় ৪ বছর আগে। এই কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি গঠন নিয়ে খুব দ্রুতই সাকিবদের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা রয়েছে বর্তমান কমিটির কর্মকর্তাদের।
এই জরুরী সভা প্রসঙ্গে কোয়াবের সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘খেলোয়াড়দের আজ বসতে বলার প্রস্তাবটা আমাদেরই। তাদের বলেছি, নিজেদের মধ্যে আগে কথা বলে নিতে। খেলোয়াড়েরা যেন মন খুলে নিজেদের সমস্যা বলতে পারে, সে কারণেই বসতে বলা। আমাদের সামনে হয়তো অনেকে মন খুলে কথা না–ও বলতে পারে। আমরা চাই, যেহেতু ব্যাপ্তিটা বড়, বর্তমান সবাইকে নিয়ে কোয়াবের একটি গতিশীল কমিটি হোক।’