বিধ্বংসী রিটায়ার্ড একাদশ

ছবি:

ব্যাট-প্যাড তুলে রাখা অনেক ক্রিকেটারের না শুনলেই এখনও বোলার-ব্যাটসম্যানদের মুখ কালো হয়ে যায়। এখনও তারা সামর্থ্য রাখেন প্রতিপক্ষ বোলার-ব্যাটসম্যানদের রাতের ঘুম কেড়ে নিতে। ২০১৫ থেকে ২০১৮— এই তিন বছরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন অনেক ্তারকা ক্রিকেটারই।
তাঁদের নিয়েই কলকাতার দৈনিক আনন্দবাজার বানিয়েছে রিটায়ার্ড ইলেভেন। ক্রিকফ্রেঞ্জির পাঠকদের জন্য একাদশটি দেয়া হলো। যারা এখনও যেকোনো ব্যাটিং-বোলিং লাইনআপকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করতে পারেন।
বীরেন্দ্র শেওয়াগ (ভারত): এক মাত্র ভারতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে ২টি ট্রিপল সেঞ্চুরির মালিক এই সাবেক ভারতীয় ওপেনার। বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ওপেনারদের সংজ্ঞাটাই যেন বদলে দিয়েছিলেন তিনি। অসাধারণ ব্যাটিং সামর্থ্যের কারণেই রিটায়ার্ড একাদশের ওপেনার তিনি।
ব্রেন্ডন ম্যাককালাম (নিউজিল্যান্ড): বিশ্বের অন্যতম সেরা উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান ধরা হয় নিউজিল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটার ম্যাককালামকে। প্রথম কিউই ব্যাটসম্যান হিসাবে টেস্টে ট্রিপল সেঞ্চুরি রয়েছে ম্যাকালামের। তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটেই ব্যাটিং সামর্থ্যের কারণেই শেওয়াগের সঙ্গী হিসেবে রাখা হয়েছে তাকে।
মাহেলা জয়াবর্ধনে (শ্রীলঙ্কা): শ্রীলঙ্কার সর্বকালের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানদের তালিকার সবার উপরের দিকে থাকবেন এই লঙ্কান ব্যাটিং তারকা। ২০০৭ এবং ২০১১ সালে বিশ্বকাপ ফাইনালে ওঠা শ্রীলঙ্কা দলের সদস্য ছিলেন তিনি। লঙ্কান ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের মধ্যেও সবার উপরের দিকে থাকবে।

কুমার সঙ্গাকারা (শ্রীলঙ্কা): শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটে সাঙ্গাকারার অবদানের কথা কখনও ভলা যাবে না। তিনিই বিশ্বের একমাত্র ব্যাটসম্যান যাঁর বিশ্বকাপে চারটি শতরান আছে। তাছাড়া, পুরো ক্যারিয়ার জুড়েই ব্যাট হাতে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন আন্তর্জাতিক আঙিনা।
মাইকেল ক্লার্ক (অস্ট্রেলিয়া): তাঁর নেতৃত্বে ২০১৫ সালে বিশ্বকাপ জেতে অস্ট্রেলিয়া। ২০১২ সালে উইজডেনের বর্ষসেরা ক্রিকেটার হয়েছিলেন তিনি। অসাধারণ নেতৃত্ব গুণের কারণে এই সাবেক অজি ক্রিকেটারকে রিটায়ার্ড একাদশের অধিনায়ক করা হয়েছে।
শেন ওয়াটসন (অস্ট্রেলিয়া): অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটের সেরা অলরাউন্ডারদের মধ্যে অন্যতম শেন ওয়াটসন। ব্যাটে বলে সামান পারদর্শী ছিলেন এই অজি ক্রিকেটার।তিনিই একমাত্র অস্ট্রেলিয়ান যিনি ক্রিকেটের তিন ফর্ম্যাটেই বর্ষসেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন। সব মিলিয়ে ৭ বার বর্ষসেরা হয়েছিলেন তিনি।
শাহিদ আফ্রিদি (পাকিস্তান): এই সাবেক পাকিস্তানি অলরাউন্ডার পুরো ক্যারিয়ার জুড়েই দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ভুগিয়েছেন বোলারদের। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তাঁর ৩৭ বলে করা সেঞ্চুরি ভোলার নয়। তাছাড়া সীমিত ওভারের ক্রিকেটে তার বোলিংও বেশ কার্যকরী।
ড্যানিয়েল ভেট্টরী (নিউজিল্যান্ড): তাঁর বাঁহাতি স্পিনে নাস্তানাবুদ হয়েছেন বিশ্বের অনেক ব্যাটসম্যান। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার ছিলেন একসময়। লোয়ার মিডলে তাঁর ব্যাটিং গড়ও বেশ ভাল। অনেক ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে অলরাউন্ড নৈপূণ্যে জিতিয়েছেন এই অলরাউন্ডার।
মিচেল জনসন (অস্ট্রেলিয়া): আধুনিক ক্রিকেটের অন্যতম সেরা পেসার ধরা হয় অজি তারকা পেসার মিচেল জনসনকে। টানা ১৪৫ কিলোমিটার গতিতে বল করতে পারতেন তিনি। ২০১৩ অ্যাশেজে তাঁর বোলিংয়ে দুমড়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। এই দুর্দান্ত পেস বোলিংই তাকে এই একাদশে জায়গা করে দিয়েছে।
আশিষ নেহরা (ভারত): গত বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন ভারতীয় পেসার আশিষ নেহরা। প্রায় দু’দশক ভারতীয় ক্রিকেট দলের সদস্য ছিলেন বাঁহাতি এই পেসার। সাফল্যের সাথে দীর্ঘদিন ভারতকে সার্ভিস দিয়েছেন।
জাহির খান (ভারত): মুম্বইয়ের এই বাঁহাতি পেসারের ওয়ান ডে অভিষেক হয় ২০০০ সালে। ২০১১ বিশ্বকাপে তিনি যুগ্ম সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হয়েছিলেন। পুরো ক্যারিয়ার জুড়েই দুর্দান্ত বোলিং করে অনেক ম্যাচ জিতিয়েছেন ভারতকে।