তরুণ ক্রিকেটারদের অধারাবাহিকতায় চিন্তিত বিসিবি

ছবি:

সময়টা মোটেই ভালো যাচ্ছে না বাংলাদেশ দলের তরুণ ক্রিকেটারদের। ব্যাট হাতে নিয়মিতই ব্যর্থ হচ্ছেন সৌম্য সরকার-সাব্বির রহমানরা। সদ্য শেষ হওয়া নিদাহাস ট্রফিতেও ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি তারা।
সদ্য শেষ হওয়া সিরিজে আরেক তরুণ ক্রিকেটার লিটন দাস একটি মাত্র ম্যাচে দারুণ ব্যাটিং করেছেন। তাছাড়া পুরো টুর্নামেন্টেই ভালো করতে পারেননি সৌম্য সরকার। ফাইনালে দুর্দান্ত এক অর্ধশতক করলেও পুরো সিরিজেই অধারাবাহিক ছিলেন এই তরুণ।
শুধু ব্যাটসম্যানরাই নয় এই সিরিজে হতাশ করেছে তরুণ বোলারদের পারফরমেন্সো। অভিজ্ঞ রুবেল হোসেন ছাড়া আর কেউই ধারাবাহিক ছিলেন না। ছন্দে ছিলেন না তাসকিন আহমেদ ও আবু হায়দার রনিরা।

তরুণদের এই অফফর্ম চিন্তায় ফেলে দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকেও (বিসিবি)। বৃহস্পতিবার (২২ মার্চ) সংবাদ মাধ্যমের সাথে আলাপকালে একথা জানিয়েছেন বিসিবির গেমস ডেভেলপমেন্ট প্রধান ও সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন।
সুজন বলেছেন, ‘এটা নিয়ে আমরা খুবই চিন্তিত। কোর্টনি ওয়ালশ হয়তো দুই-চারদিনের মধ্যে ফিরবে ঢাকায়, তখন হয়তো বসে প্ল্যান করা হবে। যেহেতু প্লেয়াররা এখন প্রিমিয়ার লিগ এবং পরে বিসিএল খেলবে, ওদেরকে ম্যাচ খেলতে দেয়া উচিত। যত খেলবে ততো শিখবে। আমরা খুবই উদ্বিগ্ন যে, আমাদের ধারাবাহিকতা একদম হচ্ছে না ইয়াং প্লেয়ারদের।’
তরুণদের অফ ফর্মের কারণে সিনিয়র খেলোয়াড়দের বিশ্রাম দেয়া যাচ্ছে না বলেও জানিয়েছেন তিনি। শেষ কয়েকবছর ধরে সিনিয়র খেলোয়াড়রা যেভাবে পারফরমেন্স করছেন সেভাবে তরুণরা পারফরমেন্স করতে পারছেন না বলেও অভিযোগ করেছেন এই বিসিবি কর্মকর্তা।
এই প্রসঙ্গে সুজন বলেন, ‘লাস্ট কয়েকটা বছর ধরে রিয়াদ, মুশফিক, তামিম তারা যেভাবে পারফর্ম করছে জুনিয়র প্লেয়াররা সেভাবে করতে পারছে না। যদি লিটন, সাব্বির, সৌম্যর মাঝে সেই ধারাবাহিকতটা থাকতো তাহলে হয়ত এক-দুইটা প্লেয়ারকে হয়ত পরের সিরিজে বিশ্রাম দিতে পারতাম। সামনের দুই বছর টাইট সিডিউল বাংলাদেশের। এটা কনসার্ন (উদ্বেগ)।’