বাংলাদেশকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে ছিলেন হরভজন

ছবি:

১৬ই মার্চের কথা। চলছিল নিদাহাস ট্রফির অঘোষিত সেমিফাইনাল। লঙ্কানদের ছুঁড়ে দেওয়া ১৬০ রানের লক্ষ্য অতিক্রম করতে নামা বাংলাদেশ দলের ইনিংসের শেষ ওভারে ঘটনা। ওভারের শুরুতেই মুস্তাফিজুর রহমানকে প্রথম বলে বাউন্সার দিয়েছিলেন লঙ্কান পেসার ইসুরু উদানা।
এর পরের বলটি দিয়েছেন আগের বলের চেয়েও সামান্য ওপরে। আর তখন লেগ আম্পায়ার নো বলের সিগনাল দেন, কিন্তু আরেক আম্পায়ার সেটা দেন না। ঐ মুহূর্তে মাহমুদুল্লাহকে স্ট্রাইকে আনতে গিয়ে রান আউট মুস্তাফিজ। সেই আম্পায়ার ঐ সিদ্ধান্ত কার্যকরের জন্য থার্ড আম্পায়ারের শরণাপন্ন হন।
ঐ সময়ে বাংলাদেশ দলের ড্রিঙ্কস বয় হিসেবে মাঠে ঢোকেন নুরুল হাসান সোহান। মাহমুদউল্লাহ আম্পায়ারের সাথে কথা বলেন। ওদিকে নিচে নেমে সাকিব মাঠের বাইর থেকে মাহমুদউল্লাহদের মাঠ ছাড়ার নির্দেশ দেন। ততক্ষণে নো বল গ্রাহ্য না করে মুস্তাফিজকে আউটও দেওয়া হয়েছে!
এরপরে চতুর্থ আম্পায়ার এসে সাকিবকে বোঝান। এদিকে থিসারা পেরেরার সঙ্গে উত্তপ্ত হতে দেখা যায় নুরুল হাসান সোহানকে। ঐ সময়ে মাঠের পাশে জড়ো হন খালেদ মাহমুদ সুজন সহ পুরো ড্রেসিংরুমের লাল সবুজ প্রতিনিধিরা।

শেষবারের মতো মাঠ ছাড়ার সিদ্ধান্ত দিয়ে আবারো ড্রেসিং রুমে যান সাকিব। কিন্তু স্ট্রাইকে তখনো ছিলেন মাহমুদুল্লাহ। ঠাণ্ডা মাথায় দলকে ৪ বলে দরকার ১২ রান নিয়ে দলকে অসাধারণ এক জয় পাইয়ে দেন তিনি। তবে বাংলাদেশ জিতলেও দারুণ সমালোচিত হয়েছিলো তারা।
কেননা ড্রেসিং রুমের গ্লাসও ভাঙা অবস্থায় পাওয়া যায়। যদিও তদন্ত করে জানা যায়নি ঠিক কিভাবে সেই গ্লাস ভেঙেছিল। আর এই ঘটনায় বাংলাদেশ দলের সমালোচনা করেছেন ভারতীয় স্পিনার হরভজন সিং। তাঁর মতে বাংলাদেশকে নিষিদ্ধই করা উচিৎ ছিলো। ভারতীয় মিডিয়া ইন্ডিয়া টুডে'কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন,
'যদিও আমার জীবনে এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে, তবু আমি এই ঘটনার কথা বলছি। এটা এমন একটা, যেটার দিকে তাকালে আপনি লজ্জাবোধ করবেন। যা ঘটেছে, তা ক্রিকেটের জন্য দুঃখের। বাংলাদেশ ক্রিকেট দল সম্ভবত অনেকগুলো সমর্থক হারালো।'
হরভজন আরো বলেন, 'অবশ্যই তারা যেটা করেছে, সেটা করা উচিত হয়নি। তারা কিছু ভেঙে ফেলতে পারে না। আম্পায়ারিংয়ে কিছু ভুল ছিল, তবে ম্যাচে এমন হতেই পারে। আপনি খেলোয়াড়দের বেরিয়ে যেতে বলতে পারেন না। তারপর আবার উদযাপন করতে গিয়ে জানালার কাচও ভেঙে দিলেন।'
এরপরে বাংলাদেশ দলকে নিষিদ্ধ করার দাবীতে এই ভারতীয় স্পিনার জানান, 'ক্রিস ব্রডের (ম্যাচ রেফারি) অবশ্যই সিরিয়াস নোট নেয়া দরকার ছিল। আমি বিস্মিত যে তাদের ম্যাচ ফির মাত্র ২৫ ভাগ জরিমানা করা হয়েছে। আমার মনে হয়, তাদের কয়েক ম্যাচ নিষিদ্ধ করা উচিত ছিল। পুরো দলকেই নিষিদ্ধ করা উচিত।'