অশ্রাব্য ভাষায় কথা বলেছিলেন পেরেরা

ছবি:

নিদাহাস ট্রফির অঘোষিত সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক থিসারা পেরারার সঙ্গে নিজের অপ্রীতিকর ঘটনার কারণ জানিয়েছেন টাইগার দলের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহান।
সোমবার দেশে ফিরে মিডিয়ার মুখোমুখি হয়ে সোহান জানান, 'আমি মাঠে ঢুকে রিয়াদ ভাইয়ের সাথে কথা বলছিলাম। এমন সময় লেগ আম্পায়ার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন দেখে তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, প্রথম বলটা বাউন্স দেয়া হয়েছি কি না।
'তখন থিসারা এসে বলে তুমি কথা বলার কে? তুমি যাও। তোমার কথা বলা লাগবে না। আমি বলেছি তোমার সাথে আমি আমি কথা বলছি না। তখন ও আমাকে গালি দিয়েছে। আমি বলেছি এটা তোমার দেখার বিষয় নয়।'
প্রসঙ্গত, বিতর্কিত এই ঘটনার শুরুটা হয়েছিলো লঙ্কানদের ছুঁড়ে দেওয়া ১৬০ রানের লক্ষ্য অতিক্রম করতে নামা বাংলাদেশ দলের ইনিংসের শেষ ওভারে। ওভারের শুরুতেই মুস্তাফিজুর রহমানকে প্রথম বলে বাউন্সার দিয়েছিলেন উদানা।

এর পরের বলটি দিয়েছেন আগের বলের চেয়েও সামান্য ওপরে। আর তখন লেগ আম্পায়ার নো বলের সিগনাল দেন, কিন্তু আরেক আম্পায়ার সেটা দেন না। ঐ মুহূর্তে মাহমুদুল্লাহকে স্ট্রাইকে আনতে গিয়ে রান আউট মুস্তাফিজ।
সেই আম্পায়ার ঐ সিদ্ধান্ত কার্যকরের জন্য থার্ড আম্পায়ারের কাছে সিদ্ধান্ত হস্তান্তর করেন। ঐ সময়ে বাংলাদেশ দলের ড্রিঙ্কস বয় হিসেবে মাঠে ঢোকেন নুরুল হাসান সোহান। মাহমুদউল্লাহ আম্পায়ারের সাথে কথা বলেন।
ওদিকে নিচে নেমে সাকিব মাঠের বাইর থেকে মাহমুদউল্লাহদের মাঠ ছাড়ার নির্দেশ দেন। ততক্ষণে নো বল গ্রাহ্য না করে মুস্তাফিজকে আউটও দেওয়া হয়েছে! এরপরে চতুর্থ আম্পায়ার এসে সাকিবকে বোঝান।
এদিকে থিসারা পেরেরার সঙ্গে উত্তপ্ত হতে দেখা যায় নুরুল হাসান সোহানকে। ঐ সময়ে মাঠের পাশে জড়ো হন খালেদ মাহমুদ সুজন সহ পুরো ড্রেসিংরুমের লাল সবুজ প্রতিনিধিরা। শেষবারের মতো মাঠ ছাড়ার সিদ্ধান্ত দিয়ে আবারো ড্রেসিং রুমে যান সাকিব।
কিন্তু স্ট্রাইকে তখনো ছিলেন মাহমুদুল্লাহ। ঠাণ্ডা মাথায় দলকে ৪ বলে দরকার ১২ রান নিয়ে দলকে অসাধারণ এক জয় পাইয়ে দেন তিনি। এদিকে এই ঘটনার জন্য কিছুটা অনুশোচনাও আছে সোহানের।
সাংবাদিকদের সামনে আরও জানান, 'আমার হয়তবা চুপ থাকা উচিত ছিল। রাগের মাথায় আমিও হয়তবা কথার জবাব দিয়েছি। এটাই ঘটনা।'