promotional_ad

কে এই ইয়াসিন আরাফাত মিশু?

promotional_ad

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের রোল মডেল হিসেবেই আখ্যায়িত করা হয় মাশরাফি বিন মর্তুজাকে। বিশেষ করে তরুণ পেসারদের জন্য তিনি স্বপ্নেরই নায়ক। দুই হাঁটুতে সাতটি অস্ত্রোপচারের পরও খেলে যাচ্ছেন নিয়মিত।


মাশরাফিকে আদর্শ মেনে পথ চলা তরুণদের সংখ্যা এদেশে কম নেই। তবে তাদের মধ্যে থেকে কেউ অকালে ঝড়ে পরেন, আবার কেউ নিজের সামর্থ্যের শতভাগ উজাড় করে দিয়ে খেলে যান নিয়মিত। তেমনই একজন পেসারের নাম ইয়াসিন আরাফাত মিশু। ১৯ বছর বয়সী এই তরুণ পেসারকেও ইনজুরিতে পড়তে হয়েছে বেশ কয়েকবার। কিন্তু মাশরাফির মতোই ইনজুরি তাঁকে কখনো পিছু হটতে দেয়নি।  


নোয়াখালীর প্রত্যন্ত অঞ্চলে জন্ম নেয়া মিশুর ছোটবেলা থেকেই প্যাশন ছিলো ক্রিকেটের প্রতি। পড়া ফাঁকি দিয়েও ক্রিকেট খেলতে চলে যেতেন মাঠে। মিশুর ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহ দেখে তাঁর বাবা মাকে সাভারের বিকেএসপিতে পাঠানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন গৃহশিক্ষক।


তাঁর পরামর্শেই পরবর্তীতে বিকেএসপিতে ভর্তি করা হয় মিশুকে। আর সেখানে ভর্তি হয়েই নিজের জাত চেনান তরুণ এই প্রতিভাবান পেসার। বয়সভিত্তিক ক্রিকেট দলের হয়ে খেলার সুযোগ এখান থেকেই হয় মিশুর। আর বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে নিজেকে প্রমাণ করে ছোট থেকে লালন করা স্বপ্নের দ্বারপ্রান্তেও চলে যান তিনি।



promotional_ad

সুযোগ আসে প্রথমবারের মতো অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে খেলার। কিন্তু গত বিশ্বকাপের ঠিক আগে ইনজুরিতে পড়ে সেই স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে যায় তাঁর। সেসময়েই হয়তো দাঁতে দাঁত চেপে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন নতুন উদ্যমে ফিরে আসার ঠিক যেভাবে বারংবার ফিরে এসেছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। 


যার সর্বশেষ উদাহরণ দেখা গিয়েছে চলমান ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) আসরে। ইনজুরি থেকে ফিরে গাজি গ্রুপের হয়ে খেলা অমিত সম্ভাবনার এই তরুণ প্রবল প্রতিপক্ষ আবাহনীকে রীতিমত একাই ধ্বসিয়ে দিয়েছেন। ডিপিএলে বুধবার মাত্রই নিজের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন তিনি। আর সেই ম্যাচেই নিজেকে প্রমাণ করে ছাড়লেন মিশু। 


নাসির, মাশরাফিদের বিপক্ষে ৪০ রানে একাই ৮ উইকেট শিকার করেন এই উঠতি তরুণ। আর তাঁর এই বিধ্বংসী স্পেলে মাত্র ১১৩ রানে গুঁটিয়ে যায় শক্তিশালি আবাহনী। আর এই ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে লিস্ট 'এ' ক্রিকেটে ৮ উইকেট শিকার করার বিরল রেকর্ড গড়লেন ১৯ বছর বয়সী মিশু।


শুধু তাই নয়, বিশ্ব ক্রিকেটের অষ্টম সেরা বোলিং ফিগারের মালিকও বনে গিয়েছেন তিনি। আর তাঁর এই পারফর্মেন্সে যে মাশরাফিই ছিলেন মূল প্রেরণা তা বলাই বাহুল্য। মিশুর কথাতেই তাই ফুটে উঠলো মাশরাফি স্তুতি। নিজের রোল মডেলকে নিয়ে তিনি বলছিলেন,



'আমার রোল মডেল হলেন মাশরাফি ভাই। আমি ভাবি, উনি দুই হাঁটুতে সাতটা অপারেশন নিয়েও যতো সুন্দর খেলছেন, আমি কেনো পারবো না। ওনার তুলনায় আমার ইনজুরি তো কিছু না। আমি ওনাকে দেখেই স্বপ্ন দেখি।'


মূলত কোচ সালাউদ্দিনের কথা অনুযায়ী বোলিং করেই সাফল্য পেয়েছেন মিশু। তার ওপর উইকেটও ছিলো বোলিং সহায়ক। ফলে এর ফলাফলটি ভালোভাবেই পেয়েছেন তিনি। মিশু বলেন, 'উইকেট খুব বোলিং সহায়ক ছিলো। আমরা টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিলাম। আমি বাড়তি কিছু করিনি। স্যার যেমন বলেছেন, জায়গায় বল করা এবং ব্যাটসম্যানের দুর্বলতা মাথায় রেখে বল করা, সেটা করেছি। ভালো বোলিংয়ের ফল পেয়েছি।'


মিশুর মতো প্রতিভাবান পেসাররা যেন অকালে হারিয়ে না যায় এর জন্য এগিয়ে আসতে হবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকেই। দেশের ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থা এগিয়ে আসলেই শুধুমাত্র বাংলাদেশ দল হয়তো আরেকজন স্পীড স্টার উপহার পাবে ভবিষ্যতে। 



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: cricfrenzy@gmail.com
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball