বৃথা গেল থিসারার অপরাজিত সেঞ্চুরি, ঢাকার হ্যাটট্রিক হার
ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি
জবাবে খেলতে নেমে ৬ উইকেটে ১৫৩ রানে থেমেছে ঢাকার ইনিংস। খুলনার দেয়া বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বিপাকে পড়ে ঢাকা। তারা ৪০ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে। আগের দুই ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও ব্যর্থ হয়েছেন লিটন দাস। তিনি ফিরেছেন ২ রান করে। রানের খাতাই খুলতে পারেননি স্টিভেজ এস্কিনাজি।
শাহাদাত হোসেন দিপু আউট হয়েছেন ৩ রান করে। শুভম রঞ্জনে ফিরেছেন ৬ রান করে। এর মধ্যে মেহেদী হাসান মিরাজই নেন ৩টি উইকেট। বাকি দুটি উইকেট পান আবু হায়দার। থিসারা পেরেরাকে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি আলাউদ্দিন বাবু। তিনি কোনো রান না করেই জিয়াউর রহমানের শিকার হন।
বড় শটের নেশায় মিড উইকেটে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের হাতে ধরা পড়েছেন এই ব্যাটার। এরপর চতুরাঙ্গা ডি সিলভাকে নিয়ে ঢাকার ইনিংস টেনেছেন থিসারা। ৩৯ বলে তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরিও। জিয়াউরকে কাভার দিয়ে চার মেরে পঞ্চাশে পৌঁছান থিসারা। হাফ সেঞ্চুরির পরও আক্রমণাত্মক ব্যাটিং অব্যাহত রাখেন ঢাকার অধিনায়ক।
তিনি ব্যক্তিগত ৮৫ রানে উইলিয়ামস বসিস্তোর হাতে জীবন পান ডিপ স্কয়ার লেগে। বসিস্তোকে স্ট্রেইট ড্রাইভ করে চার মেরে ইনিংসের শেষ বলে সেঞ্চুরিতে পৌঁছান থিসারা। তবে তাও তার দলের জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না। সপ্তম উইকেটে থিসারা ও ডি সিলভা মিলে যোগ করেন ১১২ রান। এর মধ্যে মাত্র ১১ রান এসেছে ডি সিলভার ব্যাট থেকে।
খুলনার সবচেয়ে সফল বোলার মিরাজই। তিনি ৪ ওভারে মাত্র ৬ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন। আর দুটি উইকেট পেয়েছেন আবু হায়দার। তবে ৪ ওভারে তিনি খরচ করেছেন ৪৭ রান। বাকি একটি উইকেট যায় জিয়াউরের ঝুলিতে। এর আগে সম্মিলিত পারফরম্যান্সে লড়াইয়ের পুঁজি পায় খুলনা।
তাদের কেউই পাননি হাফ সেঞ্চুরি। সর্বোচ্চ ৩২ রানের ইনিংস খেলেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। এ ছাড়া ৩০ রানের ইনিংস খেলেছেন মোহাম্মদ নাইম শেখ। ২৬ রান আসে আরেক ওপেনার বসিস্তোর ব্যাট থেকে। এর বাইরে ২২ রান করেছেন জিয়াউর। আর ২১ রানে অপরাজিত ছিলেন রনি। এর মধ্যে ইনিংসের শেষ ওভারেই তিনি মারেন তিনটি ছক্কা। তাতেই লড়াইয়ের পুঁজি পেয়ে যায় খুলনা।