promotional_ad

উইলিয়ামসের পর আরভিন-বেনেটের সেঞ্চুরিতে জিম্বাবুয়ের ইতিহাস

ক্রিকফ্রেঞ্জি ডেস্ক
শন উইলিয়ামস (বামে) ও ক্রেইগ আরভিন (ডানে), জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট
প্রথম দিনে শন উইলিয়ামসের সেঞ্চুরির পর বুলাওয়ে টেস্টের দ্বিতীয় দিন সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন ক্রেইগ আরভিন এবং ব্রায়ান বেনেট। তিন সেঞ্চুরিতে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৫৮৬। টেস্ট ক্রিকেটে আগে কখনোই এতো বেশি রান করেনি দলটি। জবাবে দুই উইকেটে ৯৫ রান তুলেছে আফগানিস্তান। সফরকারীরা পিছিয়ে আছে ৪৯১ রানে।

promotional_ad

টেস্ট ক্রিকেটে এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০০১ সালে নয় উইকেটে ৫৬৩ রান করে ইনিংস ঘোষণা করেছিল জিম্বাবুয়ে। সেটাই ছিল দলটির সর্বোচ্চ। এ ছাড়া টেস্টের এক ইনিংসে এ নিয়ে তৃতীয়বার তিনটি সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছে জিম্বাবুয়ে। আগের দুটি ছিল ১৯৯৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে হারারেতে এবং ২০০১ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে চট্টগ্রামে।


ম্যাচের দ্বিতীয় দিনের সকালে অবশ্য বেশীক্ষণ টিকতে পারেননি আগের দিনের সেঞ্চুরিয়ান উইলিয়ামস। ১৪৫ রান নিয়ে খেলতে নামা উইলিয়ামসকে ফিরিয়ে দেন নাভিদ জাদরান। তার শর্ট বল বাউন্সারটি পুল করতে গিয়ে ডিপে ক্যাচ তুলে দেন উইলিয়ামস। ক্যাচটি লুফে নিতে ভুল করেননি রহমত শাহ। আরভিনের সঙ্গে তার জুটিটি ছিল ১৬৩ রানের। ফেরার আগে ১৭৪ বলে দশটি চার ও তিনটি ছক্কায় ক্যারিয়ার সেরা ১৫৪ রান করেন উইলিয়ামস।


চার উইকেটে ৩৬৩ রান নিয়ে দিন শুরু করা জিম্বাবুয়েকে এরপর টানেন আরভিন ও বেনেট। এই জুটি দলের রানের খাতায় যোগ করে আরও ৮২ রান। ৫৬ রান নিয়ে দিন শুরু করা আরভিন সেঞ্চুরি পান ১৬৭ বলে। এরপর অবশ্য ইনিংস লম্বা করতে পারেননি জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক। জিয়া-উর-রহমানের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন তিনি। এক বল পর আবারও উইকেট নেন জিয়া। ব্রেন্ডন মাভুটাকে শূন্য রানে বোল্ড করেন তিনি।


promotional_ad

৭৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দ্রুত রান বাড়াতে থাকেন বেনেট। নাভিদের বলে ছক্কা মেরে সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। সেটি অবশ্য হতে পারত ক্যাচও। কিন্তু বল ধরে লাফিয়ে বাউন্ডারির বাইরে চলে যায় ফিল্ডার। আরেকপাশ দিয়ে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে জিম্বাবুয়ে। যদিও বেনেটের নৈপুণ্যে সাড়ে পাঁচশ পার করে ফেলে রোডেশিয়ানরা। শেষদিকে নিউম্যান নিয়ামহুরি ৩৮ বলে ২৬ এবং ব্লেসিং মুজারাবানি ৩৪ বলে ১৯ রান করে তাকে উপযুক্ত সঙ্গ দেন।


১২৪ বলে পাঁচটি চার ও চারটি ছক্কায় ১১০ রানে অপরাজিত থাকেন বেনেট। আফগানদের হয়ে অভিষিক্ত গাজানফার তিনটি উইকেট নেন দুটি করে উইকেট নেন নাভিদ, জহির ও জিয়া। ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই অভিষিক্ত সেদিকউল্লাহ আতালকে হারায় আফগানিস্তান। ছয় বলে তিন রান করা এই ওপেনারকে লেংথ ডেলিভারিতে বোল্ড করেন ট্রেভর গান্ডু। এরপর ৬১ রানের জুটি গড়েন রহমত এবং আব্দুল মালিক।


৫৫ বলে ২৩ রান করা মালিককে ফেরান মুজারাবানি। তার শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে ফাইন লেগ অঞ্চলে ক্যাচ তুলে দেন মালিক, লুফে নেন বেন কারান। রহমত ও হাশমতউল্লাহ শহীদির ব্যাটে দিনের বাকিটা কাটিয়ে দেয় আফগানরা। ৪৯ রানে খেলছেন রহমত, অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ আছেন ১৬ রানে।



আরো খবর

সম্পাদক এবং প্রকাশক: মোঃ কামাল হোসেন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জগতে এক অপার আস্থার নাম ক্রিকফ্রেঞ্জি। সুদীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট বিষয়ক সকল সংবাদ পরম দায়িত্ববোধের সঙ্গে প্রকাশ করে আসছে ক্রিকফ্রেঞ্জি। প্রথমে শুধুমাত্র সংবাদ দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে ক্রিকফ্রেঞ্জি একটি পরিপূর্ণ অনলাইন মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।

মেইল: [email protected]
ফোন: +880 1305-271894
ঠিকানা: ২য় তলা , হাউজ ১৮, রোড-২
মোহাম্মাদিয়া হাউজিং সোসাইটি,
মোহাম্মাদপুর, ঢাকা
নিয়োগ ও বিজ্ঞপ্তি
বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ
নিয়ম ও শর্তাবলী
নীতিমালা
© ২০১৪-২০২৪ ক্রিকফ্রেঞ্জি । সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
footer ball