উইলিয়ামসের পর আরভিন-বেনেটের সেঞ্চুরিতে জিম্বাবুয়ের ইতিহাস

ছবি: শন উইলিয়ামস (বামে) ও ক্রেইগ আরভিন (ডানে), জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট

টেস্ট ক্রিকেটে এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২০০১ সালে নয় উইকেটে ৫৬৩ রান করে ইনিংস ঘোষণা করেছিল জিম্বাবুয়ে। সেটাই ছিল দলটির সর্বোচ্চ। এ ছাড়া টেস্টের এক ইনিংসে এ নিয়ে তৃতীয়বার তিনটি সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছে জিম্বাবুয়ে। আগের দুটি ছিল ১৯৯৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে হারারেতে এবং ২০০১ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে চট্টগ্রামে।
কারান পরিবারের অপেক্ষা ফুরানো সেঞ্চুরিতে জিম্বাবুয়ের সিরিজ জয়
১৮ ফেব্রুয়ারি ২৫
ম্যাচের দ্বিতীয় দিনের সকালে অবশ্য বেশীক্ষণ টিকতে পারেননি আগের দিনের সেঞ্চুরিয়ান উইলিয়ামস। ১৪৫ রান নিয়ে খেলতে নামা উইলিয়ামসকে ফিরিয়ে দেন নাভিদ জাদরান। তার শর্ট বল বাউন্সারটি পুল করতে গিয়ে ডিপে ক্যাচ তুলে দেন উইলিয়ামস। ক্যাচটি লুফে নিতে ভুল করেননি রহমত শাহ। আরভিনের সঙ্গে তার জুটিটি ছিল ১৬৩ রানের। ফেরার আগে ১৭৪ বলে দশটি চার ও তিনটি ছক্কায় ক্যারিয়ার সেরা ১৫৪ রান করেন উইলিয়ামস।
চার উইকেটে ৩৬৩ রান নিয়ে দিন শুরু করা জিম্বাবুয়েকে এরপর টানেন আরভিন ও বেনেট। এই জুটি দলের রানের খাতায় যোগ করে আরও ৮২ রান। ৫৬ রান নিয়ে দিন শুরু করা আরভিন সেঞ্চুরি পান ১৬৭ বলে। এরপর অবশ্য ইনিংস লম্বা করতে পারেননি জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক। জিয়া-উর-রহমানের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন তিনি। এক বল পর আবারও উইকেট নেন জিয়া। ব্রেন্ডন মাভুটাকে শূন্য রানে বোল্ড করেন তিনি।

৭৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দ্রুত রান বাড়াতে থাকেন বেনেট। নাভিদের বলে ছক্কা মেরে সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। সেটি অবশ্য হতে পারত ক্যাচও। কিন্তু বল ধরে লাফিয়ে বাউন্ডারির বাইরে চলে যায় ফিল্ডার। আরেকপাশ দিয়ে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে জিম্বাবুয়ে। যদিও বেনেটের নৈপুণ্যে সাড়ে পাঁচশ পার করে ফেলে রোডেশিয়ানরা। শেষদিকে নিউম্যান নিয়ামহুরি ৩৮ বলে ২৬ এবং ব্লেসিং মুজারাবানি ৩৪ বলে ১৯ রান করে তাকে উপযুক্ত সঙ্গ দেন।
করাচিতে ‘নিজ দেশে খেলার অনুভূতি’ পেয়েছেন গুরবাজ
২২ ফেব্রুয়ারি ২৫
১২৪ বলে পাঁচটি চার ও চারটি ছক্কায় ১১০ রানে অপরাজিত থাকেন বেনেট। আফগানদের হয়ে অভিষিক্ত গাজানফার তিনটি উইকেট নেন দুটি করে উইকেট নেন নাভিদ, জহির ও জিয়া। ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই অভিষিক্ত সেদিকউল্লাহ আতালকে হারায় আফগানিস্তান। ছয় বলে তিন রান করা এই ওপেনারকে লেংথ ডেলিভারিতে বোল্ড করেন ট্রেভর গান্ডু। এরপর ৬১ রানের জুটি গড়েন রহমত এবং আব্দুল মালিক।
৫৫ বলে ২৩ রান করা মালিককে ফেরান মুজারাবানি। তার শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে ফাইন লেগ অঞ্চলে ক্যাচ তুলে দেন মালিক, লুফে নেন বেন কারান। রহমত ও হাশমতউল্লাহ শহীদির ব্যাটে দিনের বাকিটা কাটিয়ে দেয় আফগানরা। ৪৯ রানে খেলছেন রহমত, অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ আছেন ১৬ রানে।