বাংলাদেশ নিজেদের সামর্থ্যকে পুরোপুরি কাজে লাগায়নি, মন্তব্য বদ্রির
ছবি: ক্রিকফ্রেঞ্জি
গোটা ম্যাচে ১৫৫টি ডটবল খেলেছে বাংলাদেশ। চার নম্বরে নেমে মিরাজ ৭৪ রান করতে খেলেন ১০১ বল। শেষ দিকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৪৪ বলে ৫০ এবং জাকের আলী অনিক ৪০ বলে ৪৮ রান করেন। হাত খুলে খেলার সুযোগ ছিল তাদের সামনেও।
ম্যাচ শেষে ক্রিকফ্রেঞ্জিকে বদ্রি বলেন, 'আমার মনে হয় প্রথম ২৫ ওভার, বিশেষ করে প্রথম ১০ ওভার বেশ ভালো ছিল। লাইন লেংথ বেশ সঠিক পর্যায়ে ছিল। এটা আমার ভালো লেগেছে। ব্যাটিংয়ের দিক থেকে আমি বলব তারা বেশ কিছু জুটি গড়েছে, বাংলাদেশকে সচরাচর এমন করতে দেখা যায় না। ২৯৪ রান করেছে এটা ভালো প্রচেষ্টা।'
'তবে এই ধরনের উইকেটে ব্যাটিং আরও ভালো হতে পারত, তারা নিজেদের সামর্থ্যকে আরও ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারত। এই উইকেটে তিনশর বেশি রান সহজেই করতে পারত। তবে তাদের বোলিং ভালো হয়েছে। টেস্ট সিরিজেও আমি তাদের বোলিং দেখেছি যা দুর্দান্ত ছিল।'
সিরিজের বাকি এখনও দুটি ম্যাচ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এমন কন্ডিশনে সিরিজ জেতা সহজ হবে না টাইগারদের জন্যে, এমনটাও জানিয়ে রাখলেন বদ্রি। বাংলাদেশের সামর্থ্যের প্রতি সম্মান থাকলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে বাস্তবতা দেখিয়ে দিলেন বদ্রি।
তিনি বলেন, 'ওয়েস্ট ইন্ডিজে শর্টার ফরম্যাটে ৫০ ওভারের ম্যাচ অনুযায়ী বাংলাদেশ ভালোই খেলেছে। গত বেশ কয়েকটি সিরিজে এই দুটি দল বেশ ভালো খেলেছে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ভালো খেলেছে, আজও জিতল। আবার এই ধরনের কন্ডিশনে বাংলাদেশ ভালোই করছে। শেষ যখন বাংলাদেশ এখানে এসেছিল তখন ওয়ানডে সিরিজ ছিল গায়ানাতে। স্পিনবান্ধব উইকেট ছিল।'
'এবার স্যাবেইনা পার্কে খেলা, যা স্পিনবান্ধব নয়। তাই বাংলাদেশের জন্য এটা কঠিন ছিল। আমি এখনও মনে করি তাদের দলটি বেশ কোয়ালিটিফুল। তাদের মেহেদী হাসান মিরাজের মতো স্পিনার আছে, যার অনেক অভিজ্ঞতা আছে। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের কথা বলতে হয়। এটা তাদের জন্য কঠিন কিছু নয়। তবে এই ফরম্যাটে এখানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলাটা চ্যালেঞ্জিং।'