২৬ রানে তানজিমের এক উইকেট, গায়ানার জয়
ছবি: সংগৃহীত
পরবর্তীতে হাসান খান, রস্টন চেজদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ১৯তম ওভারে গিয়ে ৪ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে স্বাগতিকরা। গ্লোবাল সুপার লিগের এবারের আসরে তিন ম্যাচের মাঝে এটি তাদের দ্বিতীয় জয়। গায়ানার এমন জয়ের দিনে বল হাতে উজ্জ্বল ছিলেন তানজিম হাসান সাকিবও। বাংলাদেশের এই পেসার ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়ে সিপিএলের গত মৌসুমের রানার্সআপদের জয়ে অবদান রেখেছেন।
ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসকে দিয়ে বোলিং শুরু করা তাহির ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই তানজিম সাকিবের হাতে বল তুলে দেন। নিজের প্রথম ওভারে বোলিংয়ে এসে চতুর্থ বলেই অ্যালিস্টার ওরকে ফিরিয়ে গায়ানাকে উইকেট এনে দেন তিনি। ডানহাতি পেসারের দারুণ এক ডেলিভারিতে স্টাম্প ছেড়ে একটু পিছিয়ে অফ সাইডে খেলার চেষ্টায় বলের লাইন মিস করে বোল্ড হয়েছেন অ্যালিস্টার।
প্রথম ওভারে হ্যাম্পশায়ারের ওপেনারকে ফেরানো তানজিম সাকিব দিয়েছেন মাত্র ১ রান। চতুর্থ ওভারে আরও একবার বল হাতে নিয়েছিলেন তিনি। উইকেট না পেলেও সেই ওভারে খরচা করেছেন ৪ রান। মাঝে ১৩তম ওভারে বোলিংয়ে এসে ৫ রান দিয়ে গেছেন। প্রথম ৩ ওভারে ১০ রান দেয়া তরুণ এই পেসার ১৯তম ওভারে দুই ছক্কায় হজম করেছেন ১৬ রান। সবমিলিয়ে ৪ ওভারে তানজিম সাকিব দিয়েছেন ২৬ রান, পেয়েছেন একটি উইকেট।
জয়ের জন্য ১৪৭ রান তাড়ায় নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে গায়ানা। কেভলন অ্যান্ডারসন ও শাই হোপ সাজঘরে ফিরেছেন দ্রুতই। ভালো শুরু পেলেও ২০ রানের বেশি করতে পারেননি ওপেনার মঈন আলী। মাঝে শিমরন হেটমায়ার ও রস্টন চেজ জুটি গড়ে গায়ানাকে টেনে নেয়ার চেষ্টা করেন। ২৪ রান করা হেটমায়ার ফেরার পর চেজ আউট হয়েছেন ৩৩ রানে। শেষ দিকে হাসান অপরাজিত ২৭ ও রোমারিও শেফার্ড ৫ বলে অপরাজিত ১১ রান করে গায়ানার জয় নিশ্চিত করেন।
এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারে অ্যালিস্টারের উইকেট হারানো হ্যাম্পশায়ার প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন টিম প্রেস্ট ও শান মাসুদ। যদিও তাদের দুজনের জুটি বড় হতে দেননি শেফার্ড। জো ওয়েদারলিকে সঙ্গে নিয়ে দ্রুত রান তুলতে থাকেন শান মাসুদ। অধিনায়ক আউট হয়েছেন ৭৯ রানে। দলের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অপরাজিত ২২ রান করেছেন টবি আলবার্ট। গায়ানার হয়ে তাহির তিনটি এবং প্রিটোরিয়াস, শেফার্ড ও তানজিম সাকিব একটি করে উইকেট নিয়েছেন।